Khutbah – জুমার প্রথম ও ২য় খুৎবা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার খুৎবা এবং বিবাহের খুৎবা। 

 

Jumar 1st Khtbah

 

 

Jumar 1st Khtbah – জুমার প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله الذي امتن علي عباده بنبيه المرسل . صلى الله عليه وسلم و كتابه المنزل , حتى ا تسع على اهل الافكار طريق الاعتبار بما فيه من القصص والاخبار وتضح به سلوك المنهج القويم والصراط المستقيم
بما فصل فيه من الاحكام, و فرق بين الحلال والحرام, ونشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له, ونشهد ان سيدنا ومولانا محمدا عبده ورسوله, الذي نزل الفرقان عليه ليكون للعالمين نذيرا, صلى الله عليه وسلم وعلى اله واصحابه الذين تذ كروا بالقران, وذكروا به الناس تذكير ا

اما بعد فقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: خيركم من تعلم القران وعلمه وقال عليه الصلاه والسلام: يقال لصاحب القران اقرا وارتق ورتل كما كنت ترتل في الدنيا فان منزلتك عند اخر ايه تقرؤها,

وقال عليه الصلاه والسلام: ان الذي ليس في جوفه شيء من القران كالبيت الخرب. وقال عليه الصلاه والسلام: من قرا حرفا من كتاب الله تعالي فله حسنه والحسنه بعشر امثالها, وقال عليه الصلاه والسلام: من قرا القران فاستظهره فأحل حلاله وحرم حرمه ادخله الله الجنه وشفاعه في عشره من اهل بيته كلهم قد وجبت له النار, اعوذ بالله من الشيطان الرجيم. فلا اقسم بمواقع النجوم. وانه لقسم لو تعلمون عظيم. انه لقران كريم. في كتاب مكنون. لا يمسه الا المطهرون.

 

الخطبه الاخيره للجميع خطب الرساله – জুমার ২য় খুৎবা ( জুমা, বিবাহ এবং দুই ঈদে এই সানি খুৎবা পড়তে পারেন )

Jumar 2nd Khtbah

 

 

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Eid ul Fitr Khutbah – ঈদুল ফিতরের খুৎবা 

 

eid ul fitr khutbah

 

 

ঈদুল আযহার খুৎবা

 

eid ul adha khutbah

 

বিবাহের খুৎবা 

bibaher khutbah

 

জুমার খুতবা আরবীতে হতে হবে নাকি বাংলা ভাষায়?

 

জুমার খুতবা আরবীতে হতে হবে নাকি বাংলা ভাষায়? (একটি গবেষণাধর্মী দলিলভিত্তিক পর্যালোচনা)

আবহমান কাল থেকে এই বিষয়ে বিতর্ক চলে আসছে। কেউ বলছেন খুতবা আরবি ভাষা দিতেই হবে, মাতৃভাষায় খুতবা দেওয়া মাকরূহে তাহরীমী। আবার কেউ বলছেন যে মাতৃভাষাও দেওয়া যায়েজ কিংবা উত্তম। আবার কেউ কেউ বলেছেন মাতৃভাষায় খুতবা দেওয়া ওয়াজিব। আমরা উভয় পক্ষের যুক্তিগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব যে, আসলে কোনটা সত্যের বেশি নিকটবর্তী। মহান আল্লাহর তৌফিক কামনা করছি

#যারা আরবি ভাষায় খুতবা দেওয়াকে বাধ্যতামূলক মনে করেন তাদের কাছে কোনো দলিল নাই তবে এর স্বপক্ষে কিছু যুক্তি রয়েছে। তাদের #প্রথম যুক্তি হচ্ছে যে, রাসূল (সা), সাহাবায়ে কেরাম ও প্রাচীন মুসলিমগণ সব সময়ই আরবিতে খুতবা প্রদান করেছেন এবং অন্য কোনো ভাষা ব্যবহার করেননি। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বৈঠকে কখনো কখনো অনারবী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতো কিন্তু কোনো আয়াত থেকে জানা যায় না যে, তিনি তাদেরকে বোঝানোর জন্য আরবি ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন ।

#খণ্ডনঃ যারা এই যুক্তি দিয়ে থাকেন তাদের এখানে একাধিক গলদ রয়েছে। #প্রথমত তারা শরীয়ত সম্মত কর্মকাণ্ড এবং প্রথাসিদ্ধ ও স্বভাবসুলভ কর্মকাণ্ডের মধ্যে এবং সুন্নত ও তার উপকরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেন না। মূলত খুতবা হচ্ছে এবাদত, ভাষা তার উপকরণ, যেমন হজ হচ্ছে এবাদত বাহন তার উপকরণ। যদি বাহনকে এবাদত ধরা হয় তাহলে রাসুলুল্লাহ উঠে চড়ে হজে গিয়েছিলেন, আমাদেরকেও উঠে চড়ে হজে যাওয়া লাগবে। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কার‌ও পক্ষেই ফরজ আদায় করা সম্ভব নয়। অনুরূপ ভাষাকে এবাদত মনে না করে উপকরণ হিসেবে ধরলে আর কোনো সমস্যা থাকে না।

#দ্বিতীয়তঃ রাসুলের ভাষা আরবি ছিল। যাদের সাথে তার কথা বলার সম্পর্ক ছিল তারা সকলে হয় আরবি ছিল অথবা এমন অনারব ছিল যারা আরবি এলাকায় বসবাস করত এবং আরবি ভাষা সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিল । যেমন হযরত সালমান ফারসী (রাঃ)। তাদের সামনে তিনি আরবী ছাড়া আর কোন ভাষায় খুতবা দিবেন? অনুরূপ সাহাবায়ে কেরামও বিভিন্ন দেশে গিয়ে যে সব লোকদের সামনে বক্তৃতা দিয়েছেন তাদের অধিকাংশ লোকই আরবী জানতো , তাই আরবি ভাষাভাষী নবী বা তাঁর অনুসারীরা আরব-অনারব জনগণের সামনে আরবিতে বক্তৃতা দিবেন, এটা তো একটা স্বভাবসুলভ কাজ । এটাকে শরীয়তের ব্যাপারে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা কিভাবে যুক্তিসঙ্গত হতে পারে? তিনি যদি বলতেন যে, খুতবা আরবি ভাষায় দিতে হবে এবং অন্য কোনো ভাষায় দেওয়া যাবে না, তাহলে সেটা অবশ্যই শরীয়তের ব্যাপারে দলিল হত।
,
#দ্বিতীয় যুক্তি হিসেবে তারা খুতবাকে সালাতের স্থলাভিষিক্ত করেছেন। তারা বলেন যে, জুমার সালাত জোহরের মতো চার রাকাত ছিল । খুতবার জন্য দুই রাকাত কমিয়ে তার পরিবর্তে দুইটি খুতবা চালু করা হয়েছে। কেননা, কোনো কোনো বর্ণনা থেকে জানা যায়, হযরত ওমরসহ কিছু সাহাবী ও তাবেয়ী বলেছেন যে, খুতবার কারণে জুমার সালাত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ।

#খণ্ডনঃ প্রথমত তারা সাহাবী ও তাবেয়ীদের এই কথার মর্মার্থ বুঝতে পারেননি। এখানে সলফে সালেহীন খুতবার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেছেন যে, খুতবায় উপস্থিতি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এর জন্য সালাতকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে । তারা খুতবাকে সালাতের স্থলাভিষিক্ত করেননি। কয়েকটা কারণে তাদের এই যুক্তি সঠিক নয়।
১) নামাজের জন্য অজু শর্ত কিন্তু খুতবার জন্য অজু শর্ত নয়।
২) নামাজের জন্য কেবলা মুখী হওয়ার শর্ত কিন্তু খুতবার জন্য তা জরুরী তো নয় বরং কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে মুক্তাদির দিকে মুখ করে খুতবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) নামাজের মধ্যে কথা বললে নামাজ নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু খুতবার সময় প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা জায়েজ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা)ও খুতবার মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন।
৪) দাঁড়িয়ে ইমামতি করা ফরজ কিন্তু দাড়িয়ে খুতবা দেওয়া ফরজ নয়। হেদায়া গ্রন্থকার বলেন, ولو خطب قاعدا او على غير طاهرا جاز لحصول المقصود ” ইমাম সাহেব যদি বসে খুতবা দেন কিংবা অপবিত্র অবস্থায় খুতবা দেন তাহলে তা জায়েয, কেননা তাতেও উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় । (হেদায়া 1/82)

ইমাম ইবনে খুযাইমা বলেন، ان الخطبة ليست بالصلاه “খুতবা সালাতের অংশ নয়”। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, ২/২৫২)
হানাফী মাযহাবের ইমাম ও ফকীহ আল্লাহ সারাখসী বলেন, والاصح انها لا تقوم مقام الشطر الصلاه “সঠিক মত হল খুতবা সালাতের অংশ নয় বা দুই রাকাতের স্থলাভিষিক্ত‌ও নয়। কারণ খুতবায় কিবলামুখী হতে হয় না, কথাবার্তা বললে খুতবা নষ্ট হয় না ,ওযু ছাড়া খুতবা দিলেও তা আদায় হয়ে যায়। (আল মাবসূত, ২/৩১৩)।

#তৃতীয় যুক্তি হিসেবে তারা বলেন যে, কুরআনে বলা হয়েছে, فسعوا الى ذكر الله । এখানে জিকির বলতে খুতবাকে বোঝানো হয়েছে । আর জিকির আরবি ভাষায় হতে হবে।

#খণ্ডনঃ প্রথম নাম্বার কথা হচ্ছে জিকির আরবি ভাষায় হতে হবে এটা হানাফী মাযহাব বিরোধী ফতোয়া। কেননা, ইমাম আবু হানিফা বলেছেন, الذكر يحصل بكل لسان “যে কোনো ভাষাতেই জিকিরের উদ্দেশ্য হাসিল হতে পারে”। (আল মাবসূত 1/36) । এছাড়া এই জিকির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কার‌ও মতে খুতবা উদ্দেশ্য, আবার কারো মতে খুতবা ও সালাত দুটি উদ্দেশ্য আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, শুধু সালাত উদ্দেশ্য। এখানে জিকির দ্বারা উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, যারাই জিকির দ্বারা খুতবা উদ্দেশ্য নিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই খুতবা বলতে ইমামের ওয়াজ, নসিহত ও উপদেশ বুঝিয়েছেন। আর এগুলোতো মাতৃভাষায় হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।

সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব বলেন, এই আয়াত দ্বারা বোঝানো হয়েছে, موعظة الامام “অর্থাৎ ইমামের নসিহত।” (আইনী, উমদাতুল কারী , 6/162)
ইমাম ইবনে হুমাম বলেন, فالظاهر ان المراد بالذكر الصلاة ويجوز كون المراد به الخطبه “এই আয়াতে জিকির অর্থ বাহ্যত সালাত তবে খুতবা অর্থ‌ও হতে পারে। (ফাতহুল কাদীর, 2/49)
ইমাম যারকানী বলেন,
موعظة الامام بالخطبة أو الصلاة أو هما معا
“এই আয়াত দ্বারা খুতবার মাধ্যমে ইমামের নসিহত অথবা সালাত অথবা একসাথে দুটোই বুঝায়” (শরহে যারকানী 1/389)
তাফসীরে তাবারীতেও বলা হয়েছে, মাওইযাতুল ইমাম। (23/384)
ইমাম সরাখসী বলেন, والخطبة كلها وعظ وامر بمعروف “খুতবা তো পুরাপুরি ওয়াজ ও ন্যায়ের আদেশ” । (আল মাবসূত ২/৩২৫) ।
বিভিন্ন হাদীসেও জুমার খুতবাকে ওয়াজ বলা হয়েছে। (সহীহ আবু দাউদ, ১/৯৫; মুসনাদে আহমদ, (৫/৯৯; ৪/২৬৮; হাইসামী , মাজমাউয যাওয়াইদ , ২/১৮৮)। আর ওয়াজ তো মাতৃভাষাতেই হতে হবে। وما ارسلنا من رسول الا بلسان قومه ليبين لهم

#চতুর্থ যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, বাংলা খুতবা দিলে বাংলায় নামাজ‌ও পড়তে হবে।

#খণ্ডনঃ তাদের এই যুক্তি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা দুইটার মৌলিকত্ব ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। নামাজের নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং নির্দিষ্ট শব্দাবলী রয়েছে , এর বাহিরে যাবার কোনো সুযোগ নেই । তাই যে ব্যক্তি আরবি জানেন তিনি সামান্য একটু সময় ব্যয় করলেই সহজে তার অনুবাদ মুখস্ত কিংবা মর্মার্থ বুঝে নিতে পারেন। কেননা এর শব্দ বিন্যাস একেবারেই সীমিত। কিন্তু খুতবার ব্যাপারটা ঠিক এর বিপরীত। এর কোনো শাব্দিক রূপ নেই। প্রত্যেক জুম্মার একটা নতুন খুতবা দিতে হয় । এবং আগ থেকে তা অনুবাদ করে বুঝে নেওয়া বা বাড়ি থেকে হৃদয়াঙ্গম করে আসা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

১) তাই সবার জন্য আরবিকে বাধ্যতামূলক করার নিশ্চিত ফল এই হবে যে, আরবি না জানা লোকদের জন্য তার নিজ একটা নিরর্থক জিনিস এবং একটা নিস্প্রান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। এতে করে খুতবা প্রবর্তনের শরীয়তে যেসব উদ্দেশ্য নিহিত ছিল শেষ হয়ে যাবে। একজন সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারে যে, তুর্কি ভাষাভাষীর সামনে জার্মানি ভাষায় বক্তৃতা করা একটা অহেতুক অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছু নয়। যে মহাবিজ্ঞানী শরীয়তের বিধান প্রণয়ন করেছেন তার সম্পর্কে কিভাবে এরূপ ধারণা করা চলে যে, ইসলামের নির্দেশনা বলে বুঝানো এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদানের জন্য তিনি আদৌ বুঝতে পারে না এমন বক্তৃতা দেওয়ার নির্দেশ দেবেন?

২) যদি রাসুলের অনুসরন করুনার্থে আরবি ভাষায় খুতবা দেওয়া জরুরি হইত তাহলে খুতবার মধ্যে রাসুলুল্লাহ যেসব শব্দের প্রয়োগ করেছেন সাহাবায়ে কেরাম সেই রকম শব্দ প্রয়োগ করে তাঁর পূর্ণ অনুসরণ করতেন কিন্তু কোনো সাহাবী রাসুলুল্লাহ এই অনুসরণ করেননি বরং প্রত্যেকেই সৃজনশীল পদ্ধতিতে খুতবা দিয়েছেন।

৩) বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল সা খুতবার মাধ্যমে বিভিন্ন উপদেশ দিতেন , নির্দেশ দিতেন, বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতেন । আর এগুলো তো এমন ভাষায় হওয়া বাঞ্চনীয় , যে ভাষায় বললে শ্রোতা বুঝতে পারে।

৪) রাসূল (সা)ও তাঁর সাহাবারা খুতবা দিতেন, ওয়াজ করতেন কিন্তু আমরা তো খুতবা দেই না বরং খুতবা পড়ি। বই দেখে আবেগহীন সুরে কিছু আরবী তেলাওয়াত করি অথচ এই রকম পড়া সুন্নত নয়, সুন্নত হচ্ছে আবেগময় ওয়াজ করা।

৫) যদি আরবিতে খুতবা দিতেই হয় তাহলে একটি বই দেখে না বুঝে কিছু আরবী বাক্য পাঠ করার চাইতে তো কোরআন তেলাওয়াত করাই উত্তম। কেননা কুরআন তেলাওয়াত করলে আর্থ না বুঝলেও অন্তত প্রতি অক্ষরের ১০-১০ করে নেকি পাওয়া যাবে।

#ইমাম আবু হানিফার মতঃ
ইমাম আবু হানিফার মতে মাতৃভাষায় খুতবা দেওয়া জায়েজ। তিনি বলেন, “যে কোনো ভাষাতেই জিকিরের উদ্দেশ্য হাসিল হতে পারে”। (আল মাবসূত 1/36) ।” বলাবাহুল্য যে, খুতবা একটি জিকির। তাঁর মতে সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ফারসি ভাষায় বললে তা জায়েয হবে। আর হানাফী মাযহাবের সর্বসম্মতি ফ‌ত‌ওয়া হচ্ছে যে, আরবি ভাষা জানেন এমন ব্যক্তিও প্রাণী জবাই করার সময় ফার্সিতে (মাতৃভাষায়) আল্লাহর নাম নিলেও তার প্রাণী হালাল হয়ে যাবে। (আল মাবসূত, ১/৩৬-৩৭)

মাতৃভাষায় তাকবীরে তাহরীমা বললে যদি তা জায়েয হয়, পশু জবাই করার সময় যদি মাতৃভাষা জিকির করা জায়েজ হয় , যে কোনো ভাষাতেই জিকির করলে যদি উদ্দেশ্য হাসিল হয় তাহলে খুতবা দেওয়ার সময় মাতৃভাষায় বক্তব্য দিলে নাযায়েজ হ‌ওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বরং উদ্দেশ্যের দিকে লক্ষ রেখে মাতৃভাষাতেই খুতবা দেওয়া উত্তম।

(এটা আমার সামান্য গবেষণা । যদি শুদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আর যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে।)  প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন। info@IslamiDawahCenter.com

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com