বেশি না বলায় ভালো / Not-Much-To-Say-Good

 

 

Not-Much-To-Say-Good

 

 

বেশি না বলায় ভালো / Not-Much-To-Say-Good

অপ্রিয়, অস্বস্তিকর ও বিপদজনক হলেও এই সময়ে কিছু কথা না লিখে মরে গেলে অপরাধ হবে। আমি এক ছেলেকে চিনতাম। ফেসবুকে প্রায়ই আমাকে নক দিতো, আমি কেমন আছি কোথায় আছি এইসব প্রশ্ন ট্রশ্ন আর কি! �আমি জানতাম তারপর সে কি বলবে, তিন লাইন লিখে তারপর সেই একই আলাপ- – ভাইয়া, সিভিটা কোথাও দিয়েছিলেন? আমি গতানুগতিক বলতাম, চেষ্টা করছি। ছেলেটা আমার প্রতিটা লেখায় লাইক দিতো, জানি না কেন দিতো। আমাকে খুশি করে সে একটা চাকরি পাবে নাকি সত্যিই সে আমার লেখা ভালোবাসতো! জানি না! এভাবেই চলছিল, তারপর একদিন হুট করে নক করে জানালো- �সে গ্রামে চলে যাচ্ছে। মেসেজ সিন করার পর আমি একটা রিপ্লাই দিয়েছিলাম। সেই মেসেজ এখনো আমি মাঝে মাঝে খুলে দেখি, এখনো আনসিন, এখনো সে দেখেনি। ছেলেটা মুহসিন হলে থাকতো। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পড়তো। মাস্টার্স শেষ করে বসেছিল ২ বছর। �টিউশনিই ভরসা। আজ ছেলেটার কথা এইজন্যই মনে আসছে যে, সে কিন্তু মেধাবী ছিল, লাখ লাখ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সে ঢাবিতে ভর্তি হতে পেরেছিল। তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়তে হয়েছিল অনিচ্ছা সত্ত্বেও, আমাদের এডুকেশন সিস্টেমের গৎবাঁধা গ্যাঁড়াকলে সে পড়ে গিয়েছিল। পরের দিকে এমন হয়েছিল আমাকে সে এমন করে রিকোয়েস্ট করতে লাগলো যেন আমি তাকে অন্তত মেস ভাড়া আর খাওয়ার টাকা জোগাড় হয় এমন একটা চাকরি হলেও যেন দিই। পারিনি, একটা কল সেন্টার এজেন্ট অফিসে শেষ পর্যন্ত পাঠিয়েছিলাম। সেখানেও কথায় আঞ্চলিক টোন থাকায় তারা তাকে নেয়নি, ট্রেনিং এ সময় দেয়নি। এরপর বেশ কিছুদিন চলে গেল, তারপর ব্যস্ততায় সেও হারাল। আজ কথাগুলো মনে পড়ার কারণ হল, আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন এক সেকেলে ও অমানবিক কাঠামো দিয়ে তৈরি যেখানে একটা মেধাবীর কর্ম সংস্থান হয় না কিন্তু একটা গুণ্ডা চাঁদাবাজ রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে ১০ কোটি টাকা অফিসে নিয়ে বসে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বরাদদের চেয়ে টেন্ডারবাজ চাঁদাবাজদের পেছনে সরকারের বরাদ্দ বেশি। অসৎ মন্ত্রী এমপি এরা তো আছেই। অগণতান্ত্রিক সিস্টেমকে আগলে রাখতে, ভোটের বাক্স ডাকাতির জন্য এসব তাদের পুষতে হয়, তা জানি! � তারপর এই যে প্রতিটা বছর লাখ লাখ যুবক রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, বাংলায় অনার্স মাস্টার্স করে বের হচ্ছে- এই রাষ্ট্র কি কখনো ভেবে দেখেছে এই সাবজেক্টগুলো পড়ে এই কর্মক্ষম যুবকদের কর্মসংস্থানে কিভাবে কাজে লাগবে? এই সেদিন, আমার অফিসে সিকিউরিটি ইনচার্জের একটা চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। অবাক হলে সত্য এক এম বি এ করা যুবক সেখানে এপ্লাই করেছে, তাঁর একটা যোগ্যতা সেটা হল তাঁর উচ্চতা মিনিমাম আমরা যা চেয়েছিলাম তাঁর থেকে ৩ ইঞ্চি বেশি, ৫ ফুট ৮। এটাই বাস্তব। এটাই সত্য। বেশি না বলায় ভালো, সবিই তো সয়ে যাচ্ছে। সবি আমরা দেখছি। আমরা দেখতে দেখতে বুঝতেই পারিনি এ রাষ্ট্র কখন যে হাতছাড়া হয়ে গেছে। যে ফ্যানাটিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে সেই চেতনার চর্চা স্বয়ং দলের ভেতরেই নেই, রাষ্ট্র অনেক পরে। এমনকি এরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবের মধ্যেও জুয়ার আসর বসিয়েছে। তাহলে সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধ গেল কই? যে ইনসাফ ও সাম্যর মূলমন্ত্রে অগ্রজেরা যুদ্ধে গেল, জীবন দিল- তাঁর কোন মূল্যই কি নেই? আমি আজকেও সেই মেসেজটা খুলে দেখলাম, আনসিন মেসেজটা যদি বাংলাদেশের পতাকায় লিখে দিতে পারতাম, মনেহয় আজকের দিনে শান্তি পেতাম। আমি জানি, ছেলেটা হয়ত আর কোনদিনই আভিমানে, ক্ষোভে আমার মেসেজটা দেখবে না। কিন্তু ওকে জানানো দরকার, আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি ক্ষমতাহীন এক নাগরিক। আমার কিচ্ছু করার নেই। Mirza Muzahid ভাই এর লেখা (মনের কথা লিখছেন ভাই) আমরা আসলেই এতিম জাতি!!!

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )