Only Allah can make you successful in life – একমাত্র আল্লাহই আপনাকে জীবনে সফল করতে পারেন

বাবা যখন আমায় ত্যাজ্য করেন তখন পকেটে ছিল মাত্র দশ টাকা। দুইটা পাঁচ টাকার কয়েন! বাবার সাথে যখন আমার শেষ কথা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন,” তুই যখন ফিরে আসবিই না, তখন মুসলমানদের ফিতরা খেয়ে বেঁচে থাক।”

তখন শুধু বাবাকে এতটুকুই বলেছিলাম,
“আমাকে মুসলিমদের ফিতরা খেয়ে বাঁচতে হবে না,
সময় হলে আমিও যাকাত দিব, ইনশা-আল্লাহ।”
আজ প্রায় সাত বছর হতে চলল, বাবার সাথে আর কথা হয়না, কিন্তু তাঁর বলা কথাগুলো এখনও কানে বাজে! কখনও মোনাজাতে, কখনওবা আকাশের পানে চেয়ে আরশে আযীমের অধিপতির নিকট বলি-
” ইয়া রব,তুমি ছাড়া আমার কেও নাই,তুমি ছাড়া আমার কিছু নাই! আমাকে তুমি কারও বোঝা বানায়ওনা, তুমি ব্যতীত অন্যের নিকট আমায় দারস্থ করোনা।”
আলহামদুলিল্লাহ, আজ পর্যন্ত আমি কখনও দ্বীনকে ব্যবহার করে দুনিয়া কামাই করিনি। বরং আমার রব আমায় এমন সব নিয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত করে রেখেছেন যে অন্যের নিকট চাওয়ারই (সওয়াল করার) প্রয়োজন মনে করি না। আর চাইবই বা কেন? না চাইতেই যদি আমার রব সবকিছুর বন্দোবস্ত করে দেন তবে মাখলুকের দিকে মুখাপেক্ষী হওয়ার কি দরকার!
একটু ভাবুন তো, একজন ব্যক্তি কিভাবে একা একা মোর দ্যান সিক্স ইয়ারস কাটাতে পারে! না আছে তার জমিজমা, না আছে বাসাবাড়ি! পরিচয় দেওয়ার মত কিছুই নেই! যাযাবর ঠিক না, তবে বাস্তুহারা খুবই মানানসই!
এ অবস্থায়ও আমার রব আমায় ছেড়ে যাননি। অথচ বাবার একটিমাত্র কথার অবাধ্যতা করেছিলাম তাতেই তিনি আমায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ যাবতীয় বিষয় হতে বঞ্চিত করেছেন, ঊনি নিজেকে আমার রিজিকদাতা ভেবেছিলেন তবে আমি আমার রিজিকদাতা ভাবতাম অন্যজনকে। যিনি ১৭ বৎসর লাগাতার তাঁর অবাধ্যতা করার পরও আমার রিজিক বন্ধ করেননি, তিনিই তো আমার রব!
যখন কোন ডেলিসাস ফুড সামনে আসে অথবা যখন দামী কোন পোষাক বা জুতা পরিধান করি তখন কিছু ঘটনা নাড়া দিয়ে যায়। আহঃ কি সময়টা পার করে এসেছি!!!
এইতো সেদিনের কথা! মাত্র ৬ বছর আগের!
দ্বীন পালনের জন্য ১০ দিন লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। যতটুকু মনে পড়ে, এই ১০ দিনের প্রথম রাত্রে শুধু ছোটমাছ আর ডাল দিয়ে ক’টা ভাত খেয়েছিলাম। বাকি ন’টা দিন শুধু ঢেঁড়স ভাঁজি! তিন বেলাতেই সেইম রেসিপি!
অথচ বাসায় থাকতে এটা আমার প্লেট পর্যন্তও খুব একটা আসতো না! তখন মনে হত, ইস, আজ যদি ডাল দিয়ে ভাত খেতে পারতাম! এভাবেই কাটতে লাগল একেকটা দিন, তবে আমার নিকট (?)। কখনও আধাপেট, কখনওবা নামমাত্র খাবার খেয়ে পানি খেয়ে থাকতাম, তবে স্টাডি ঠিকই করতাম কারন কিছুদিন পর ভার্সিটির এডমিশন টেস্ট ছিল! সেই দশ দিনের একদিন শুক্রবার ছিল (শেষের দিকে)।
পাশের বাসা থেকে গোস্তের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। ভেবেছিলাম অনন্ত শুক্রবারে স্পেশাল কিছু হবে। আশায় গুড়েবালি। দুপুরে সেই সুপরিচিত খাবার! তখন এটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি!
মনে পরে কি প্রিয়, রসুল সা: এর সেই হাদিস! হয়তোবা না, আর আপনাদের মনে পড়ার কথাও না। তবে আমার খুব মনে পড়ে,খুব। তাইতো মাঝে মাঝে এখন যখন রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যাই তখন একজন অভুক্ত, গরীব বা অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজি, শুধু তার ইচ্ছানুযায়ী একবেলা আহার করানোর জন্য!
আমার স্যালারি থেকে মান্থলি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা এজন্যই রাখি যাতে আল্লাহর কোন বান্দাকে তাঁর পছন্দসই খাবার খাওয়াতে পারি! তাঁদের খাবার খাওয়ার দৃশ্যটা আচমকাই চোখের কোণে পানির সৃষ্টি করে! আনন্দাশ্রু!
অবশেষে ভার্সিটিতে চান্স পেলাম। নতুন পরিবেশ। নতুন মুখ। মুদ্রার ওপিঠট তো আগে থেকেই দেখা শুরু হয়েছে! তখন আমার পাঞ্জাবী ছিল মাত্র দু’টা, একটা অলিভ অন্যটা চকোলেট কালারের সলিড ডায়েড প্রেসিডেন্ট টরে কাপড়ের। পায়ে ১০০ টাকার প্লাস্টিকের জুতা! আমি কখনও লুংগি পড়ে নিজেদের বাড়ীর পাশের বাজারটাও অতিক্রম করেছিলাম কিনা মনে পড়েনা অথচ লুঙী পড়ে রংপুরে তাবলীগ জামাতে গিয়েছিলাম! তখন যদি আমার বাবা-মা অথবা রিলেটিভস আমায় দেখতেন তবে কেমনভাবে ভর্ৎসনা করতেন তা সহজেই অনুমান করা যায়!
শীতের শুরুতে ফজরের নামাজ পড়তে মেস থেকে ক্যাম্পসে যেতাম, দমকা হাওয়ায় ঠান্ডা লাগতো, বেশ কষ্ট হত! নিরুপায় হয়ে ভ্যানটাওয়ার (ফুতপাতে ভ্যানে করে সাজিয়ে পণ্য বিক্রির জায়গা) থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ইউজড একটা সোয়েটার কিনেছিলাম যেটা পাঞ্জাবির নিচে পড়ে ফজরের নামাজে যেতাম! পরে অবশ্য ইউসুফ ভাই এটা জানতে পেরে ৮৫০/= দিয়ে একটা সোয়েটার কিনে দিয়েছিলেন।
সম্ভবত তখন ২/২ এর মিড ভ্যাকেশন। অনেকেই যার যার মত বাসায় গিয়েছে। ফাইনাল ইয়ারের ভাইয়াদের থিসিস থাকায় হলে মিল চলছিল। আমি তখন জুবায়ের ভাইয়ের (টেক্সটাইল) কার্ডে হলে মিল চালাতাম। পার ডে ৪০ টাকা। মাসের শেষ হতে তখনও ৪ দিন বাকি, তাই টিউশনির টাকা পাওয়ারও সম্ভবনা নেই।
অথচ হাতে অবশিষ্ট ৩০ টাকা ছিল। তাই মিল চালাতে পারিনি। প্রতি বেলায় ১০ টাকা দিয়ে রুটি কলা খেতাম।
৩০ টাকা শেষ। চিন্তা করলাম না খেয়েই যেহেতু থাকতে হবে সেহেতু রোজা রাখাই ভাল হবে। পরে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, খাবারের ব্যবস্থা থাকলে কি আমি রোজা রাখতাম??
পরক্ষণেই শুধু পানি খেয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম শুধু রোজা ভাংগার জন্য। দ্বিতীয় দিন দুপুরের খাবার ভার্সিটির এক টিচারের বাসায় খেয়েছিলাম, উনার সাথে একটা কাজে গিয়েছিলাম তাই। দ্বিতীয় দিনের রাত্রি থেকে তৃতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত শুধু পানি খেয়ে ছিলাম,
আর দোয়া করতাম,”ইয়া আল্লাহ,আমি যে অভুক্ত আছি তার ছাপ আমার চেহারায় যেন না বোঝা যায়, কেও যাতে বুঝতে না পারে যে আমি অভুক্ত, কোন বেদ্বীন (আমার বেশকিছু অন্যধর্মের বন্ধু ছিল) যেন আমার দিকে আংগুল তুলে এমন কথা বলতে না পারে যে বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়ার দরুন আমাকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে “।
যোহরের নামাজ ক্যাম্পাস মসজিদের উত্তর পার্শ্বের বারানায় আদায় করে ট্যাব থেকে আবার পানি খেয়ে মসজিদ থেকে মেসের উদ্দেশ্যে বের হলাম। ক্যাম্পাসের মেইন গেইটের কাছে আসতেই পিছন থেকে কামরুলের (আমার ক্লাসমেট) ডাক শুনে দাঁড়ালাম।
কাছে এসেই জিজ্ঞাসা করল,
“কিরে বন্ধু, দুপুরে খাইছিস?তুই না হলে খাস?”
-না।
একটু পর তো ডাইনিং ক্লোজ হয়ে যাবে,খাবি কখন?
-মিল চালায় নি।
মিল চালাস নি মানে?
-টাকা ছিলনা, তাই?
টাকা ছিলনা তো বলবি না, মেসে গেস্ট মিল দিতাম😠 এই বলে পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট হাতে দিয়ে বলল, “ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নে, ইন্সট্যান্ট এ ক’টাকাই আছে”।
আমি টাকাটা নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে ৩৫ টাকা দিয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। অবশিষ্ট ১৫ টাকা রাতের জন্য!
ক্যাম্পাসের তাবলীগের সাথী ভাইদের নিকট আমি ছিলাম খুবই পরিচিত মুখ। বিশেষ একটা পরিচয়ের জন্য স্যারদের কাছে সুপরিচিত ছিলাম। আমি যদি মুখ ফুটে বলতাম তবে আমার সামনে দস্তরখানা বিছিয়ে পড়ত, হাত বাড়ালেই টাকা পেতাম। তবে সেই হাদিসখানাকে ভয় পেতাম, “যে ব্যক্তি অন্যের নিকট ভিক্ষার দরজা খোলে আল্লাহ তায়ালা তার উপর অভাবের দরজা খুলিয়া দেন”। এছাড়া আরেকটা হাদিস পড়ে ছিলাম যারা ভাবার্থ ছিল কিছুটা এমন,
যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয় এবং আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারও মুখাপেক্ষী না হয় তবে আল্লাহ তায়ালা তার রিজেক প্রশস্ত করিয়া দেন”।
আরেকটা, “যে ব্যক্তি অভাবের কারনে ৩ দিন অভুক্ত থাকে এবং কেবলমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নিকট পেশ না করে তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ১ বছরের হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দেন”। আর এটাই ছিল ৩ দিন অভুক্ত থাকার মেইন উদ্দেশ্য!
৩ দিনের বদৌলতে যদি ৩৬৫ দিনের হালাল রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে যায় তবে ৩ দিনের না খেয়ে থাকার একটা ইনভেস্টমেন্ট করাই যায়! আমি বড্ড লোভী, তাই এই অফারটা এভোয়েড করিনি! লুফে নিয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা তাঁর ওয়াদা রেখেছেন। পরের মাস থেকেই নতুন আরেকটা টিউশনি পাই, সেই সাথে আমার লাইফ স্টাইলও চেঞ্জ হতে থাকে। এটার ডিউরেশন ছিল ১ বছর!!!
ইবনে ওমর, ইবনে আব্বাস অথবা ইবনে মাসউদ রাযি: এই তিন জনের যেকোন একজনের ব্যাপারে পড়েছিলাম যে উনি (রাযি:) সওয়াল ব্যতিত যা কিছু উনার (রাযি:) নিকট আসতো তা তিনি গ্রহন করতেন কেননা সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আর এজন্যই আমি কামরুলের দেওয়া ৫০ টাকা নিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত সেই ৩ হাদিস এবং সেই সাহাবী রাযি: এর আমলের অনুসরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ।
সম্ভবত ৩/১ এর ক্লাসে মুমিনুল (বেস্ট ফ্রেন্ড, ক্লাসমেট) নতুন একটা “মুজিব কোট” পড়ে এসেছিল। ওটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু আমার তো আর আবদার করার মত দুনিয়ায় কেও নাই! একথা ভাবতেই চোখ দিয়ে পানি পড়ার উপক্রম। কোনমতে নিজেকে সংবরণ করে নিলাম। যোহরের নামাজের পর দুই রাকাত সালাতুল হাজতের নামাজ পড়ে দোয়া করতে লাগলাম,”ইয়া ওয়াহহাব,আজ তুমি ছাড়া আমার আবদার পেশ করার কোন জায়গা নাই। আমি জানিনা তুমি কিভাবে আমায় ওটা (মুজিব কোট) দিবা, কিন্তু আমার ওটা লাগবে” এভাবে বলেছিলাম আর বাচ্চাদের মত কাঁদছিলাম ! কিছুদিন পর কিভাবে যেন টাকা ম্যানেজ হয়ে গেল! “অরবিন্দ ” থেকে ৪৪০০/= দিয়ে সেই মুজিব কোট বানালাম, আলহামদুলিল্লাহ। এখনও আছে সেটা।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। ৪র্থ বর্ষে ওঠার পর আমার ১০ সেট পাঞ্জাবি-পায়জামা হয়ে যায়! পায়ে থাকতো তখন Bata এর Scholl (2490/=), Bata এর Weinbrenner (1799/=), Apex (3490/=) এবং আফজাল সুজ (১৭৫০/=) এর জুতা!
শীতের পোশাকও বেশ কয়েকটা জমে গিয়েছিল। একটার দাম ২৬০০/=, আরেকটা দাম ১৫০০/=, আর হুডিটার দাম ছিল ১০৫০/=, আর ইউসুফ ভাইয়ের দেওয়াটা তো ছিলই।
ও হ্যাঁ, ১৫০ টাকার একটা ম্যাগী হাতা সোয়েটারও ছিল।
খাবারেরও আর কোন কষ্ট ছিল না। আল্লাহ তায়ালা এমন এমন খাবার খাইয়েছেন, হয়তো ফ্যামিলির সাথে থাকলে সেগুলো চোখেও দেখতাম না!
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আমি কোন তিনটা দিন সবচেয়ে ভাল ছিলাম তবে আমি একবাক্যে বলবো,
“সেই তিনটা দিন যখন আমি কখনও রুটি খেয়ে, কখনও পানি পান করে আবার কখনও একবেলা ভাত খেয়ে দিন অতিবাহিত করেছিলাম!”
গত বছর Asus এর একটা ল্যাপটপ কেনার জন্য মাত্র পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা যোগার করতে পারিনি। এর ওর ল্যাপটপ দিয়ে কাজ ছেড়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ, এখন Apple এর MacBook কেনার সামর্থ আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন!
মনে কি পড়ে প্রিয়, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযি: এর সেই কথা যা তিনি তাঁর মৃত্যুর পূর্বে হযরত ওসমান রাযি: কে বলেছিলেন?
“আমি আমার মেয়েদের সূরা ওয়াক্বিয়ার শিক্ষা দিয়েছি”!
আমার মনে নেই যে লাস্ট কবে এই সূরার আমল আমার থেকে ছুটে গিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
“সূরা ওয়াক্বিয়াতো আমাদের অভাব ঠিকই দূর করছে আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু যারা সকাল-বিকাল এই সূরার ফাযায়েল বয়ান করতে করতে মজমা গরম করে ফেলেন তাদের অধিকাংশকেই অভাবের ভয় কুঁকড়ে যেতে দেখেছি!”
“জমিন যদি পুড়ে তামা হয়ে যায়,আসমান হতে যদি একফোঁটা বৃষ্টিও না পড়ে তবুও আল্লাহ তায়ালা তাঁর মাখলুকদের (সৃষ্টি) রিজিক দিতে সক্ষম” বলনেওয়ালা ব্যক্তিটিও মনের অজান্তেই টাকাওয়ালাদের রিজিকদাতা বানিয়ে নেয়!!!
সুতরাং, কারও বর্তমান অবস্থার উপর ভিত্তি করে তাকে অবজ্ঞা করে লাভ কি প্রিয়, তুমি তো জানো না তার ভবিষ্যত কি! সেই সাথে তুমি এটাও জানোনা না যে ভবিষ্যতে তোমার ভবিষ্যত কি!
আজ যে রাজা, কাল সে ফকির!
“প্রিয়, তোমরা আমাদের আল্লাহর রাহে কুরবানি করার ফাজায়েল শোনাও, অথচ তোমাদের অধিকাংশের কুরবানিতো চতুষ্পদ জন্তু জবাই এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ! আর আমরা না-লায়েক! আমারদের কুরবানি তো আমাদের বাবা-মা, ভাইবোন, রিলেটিভস তো বটেই,
আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিকেও ছাড় দেয়না!”
IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )