Reading memorization technique

Reading memorization technique -পড়া মুখস্থ করার টেকনিক

পড়া মনে রাখার ১০ টি বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক উপায় – পড়া মুখস্থ করার টেকনিক

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ইসলামিক উপায়
বন্ধুরা আমরা সবাই প্রায় আমাদের সাদ্য মত ইসলাম কে অনুসরনের চেষ্টা করি। আর তাই আমরা প্রায় চেষ্টা করে থাকি বিভিন্ন দোয়া ও কোরআনের ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করতে। কিন্তু আমরা অনেক চেষ্টা করে ও মুখস্থ করতে পারছি না বা মুখস্থ রাখতে পারি না। এর কারন হিসেবে আমরা ভাবি যে আমাদের স্মৃতি শক্তি কমে গেছে৷ তাই আজকে আমরা জানবো যে ইসলামিক কিছু নিয়ম ফলো করে আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায়

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ইসলামিক উপায়:

আমরা প্রায় কোন গুরুত্বপূর্ণ সুরা কিংবা আয়াত মুখস্থ করার চেষ্টা করে থাকি। এবং আমরা মুখস্থ করার পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভুলে যাই। ইসলামিক কিছু রীতি নীতি অনুসরন করে আমরাও চাইলে যেকোনো কিছু দীর্ঘদীন পর্যন্ত মনে রাখতে পারি।

(১) ইখলাস বা নিয়ত : কোন কিছু মুখস্থ করার আগে আপনাকে অবশ্যই ঔই বিষয়ের প্রতি আন্তরিকতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি একটি নির্দষ্ট সুরা মুখস্থ করতে ইচ্চে করেন তাহলে আগে আপনাকে আপনার নিয়ত পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর আপনার মধ্যে এমন বাসনা তৈরি করতে হবে যে আপনি যেকোন ভাবেই হোক না কেন আপনি আপনার কাঙ্খিত বিষয় টি মুখস্থ করবেন।

আপনার যদি ব্রেনে সমস্যা থাকে অর্থাৎ আপনার মেধার যদি সঠিক ভাবে বিকাশ না ঘটে তাহলে আপনার নিয়ত এমন হওয়া চাই যে আল্লাহ যেন আমাকে স্মরন শক্তি বাড়িয়ে দেন।

(২) দুয়া ও যিকির : আমরা সকলেই জানি যে দুয়া করার মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর কাছ থেকে অসম্ভব কিছু ও পেতে পারি। আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে দুয়া করা তিনি যেন আমাদের স্মরণশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং আমাদের কে কল্যান জ্ঞান হাসিল করার সমার্থ দান করেন।

নিয়মিত আল্লাহর যিকির করলে আপনার অন্তর ভালো থাকবে এবং অন্তর থেকে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। তাই দুয়া ও যিকিরের যৌথ প্রচেষ্টায় আপনার মেধা বা স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

(৩) পাপ কাজ ছেড়ে দেওয়া : পাপ কাজ করলে স্মৃতি শক্তি কমে যায়। তাই পাপকাজ ছেড়ে ভালো কাজ করতে হবে যেকোনো বিষয় সহজে মুখস্থ করার জন্য। জ্ঞান আর মুর্খতা একজায়গায় স্থায়ী হয় না। কারন জ্ঞান হলো আলো আর মুর্খতা হলো অন্ধকার। আর আলো আর অন্ধকার কখনো একসাথে থাকতে পারে না। তাই জ্ঞান অর্জন করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে গুনাহের কাজ গুলো ছাড়তে হবে।

(৪) বিভিন্ন উপায় অবলম্বন : আমরা কেউ বসে বসে টেবিলে পড়তে ভালোবাসি আবার কেউ হেঁটে পড়তে পছন্দ করি আবার কেউ শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ করে ফেলি। অর্থাৎ যে যে পরিবেশে পড়তে ভালোবাসি সেই পরিবেশে পড়া মুখস্থ করা উচিত। আর কোরআন শরিফ মুখস্থ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি গ্রন্থ পড়া উচিত সবসময়। এতে ওই গ্রন্থের আয়াত সুরা ইত্যাদি বিষয় গুলো সুন্দর করে স্মৃতিতে গেথে যাবে।

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
স্মরণশক্তি মহান আল্লাহর দান করা একটি বিশাল নিয়ামত। তাই স্মরণশক্তি বৃদ্ধি আল্লাহর কাছে ন্যাস্ত। স্মরণশক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে কোরআনের নিয়ম পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হল।

একটা সময় রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব কিছু ভুলে যেতেন। অর্থাৎ জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে ওহী নিয়ে আসলে তিনি মনে রাখতে পারছেন না। তাই স্মরণশক্তি বাড়াতে এই দোয়া পড়া উচিত যে আল্লাহ আমার স্মরণশক্তি বাড়িয়ে দেন আমাকে উত্তম জ্ঞান দান করুন।

পড়া মনে রাখার ১০ টি কৌশল
(১) যা পড়া তা অন্যকে শিখানো : পড়ালেখা মনে রাখার প্রাচীনতম উপায় এটি। নিজ পড়ে অন্যকে পড়ালে আপনার মধ্যে পড়াটি দৃঢ়ভাবে আটকে যায়। তাই যাই পড়া তা অন্যকে বুঝিয়ে পড়ালে নিজের দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি পড়াটিও আজিবন মনে থাকে।

(২) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো : একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো অবশ্যই উচিত। একাধিক বার গবেষণার মাধ্যমে প্রমানিত হলো যে একটি মনুষের স্মৃতিতে তখনি একটি বিষয় সংরক্ষিত হয় যখন সে ঘুম যায়। আট ঘন্টার কম ঘুম গেলে স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে।

(৩) মিনমিক বানিয়ে নেওয়া : আমদের ব্রেইন বা স্মৃতি কখনোই অগোছালো জিবন মনে রাখতে পারে না। তাই আমাদের একটি গোছানো জিবন যাপন করা উচিত।

(৪) পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন : আমরা অনেকেই মনে এই ধারনা পুষে থাকি যে দিন রাত ভালোকরে পড়লে পড়া বেশি মনে থাকে আসলে এটি ভুল। বরং নিয়মমাফিক কম করে পড়লে ও আমাদের পড়া বেশি মনে থাকবে। এর জন্য বিকেলের পর থেকে পড়া উচিত।

(৫) অধ্যায় তৈরি করা : কোন বিষয় পড়ার আগে ঐ বিষয় টি সম্পর্কে ভালো করে জানা। এরপর বিষয়টিকে বিভিন্ন অধ্যায় ভিত্তিক ভাগ করা। এভাবে পড়া তাড়াতাড়ি ও বেশি মনে থাকে।

(৬) ছবি অংকন করে বা লিখে : পড়া পড়ার পাশাপাশি লিখলে বেশি মনে থাকে। নিয়োরো সায়েন্সের মতে ছবিযুক্ত পড়া বেশি মনে থাকে এবং তাড়াতাড়ি স্থায়ীস্মৃতিতে আটকে যজয়।

 

(৭) বেশি করে পড়া : আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক সেটাই বেশি মনে রাখে যা বার বার ব্রেইনে রাখা হয়। এজন্য যে পড়া মুখস্থ করা দরকার তা বারবার পড়ার পর লিখে ফেললে মুখস্থ হয়ে যাবে সহজে।

(৮) পড়াশোনা কে আকর্ষণ করা : আমাদের অনেকেই আচেন যাদের পড়তে ইচ্ছে করে না কিন্তু তারা ইচ্চার বিরুদ্ধে পড়ে। এভাবে পড়া মুখস্থ করা যায় না। পড়া মুখস্থ করতে হলে অবশ্যই আকর্ষণ করে পড়তে হবে। এর জন্য আপনি চাইলে বই বিভিন্ন রংয়ের কলম দিয়ে মার্ক করতে পারেন।

(৯) পড়তে বসার আগে হাঁটা : পড়তে বসার আগে দশ মিনিট হাঁটা। এতে আমাদের ব্রেইন ১০ শতাংশ কার্যক্ষম হয়ে যায়।

(১০) ছোট ছোট করে পড়া : ছোট করে পড়লে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়।

দ্রুত পড়া মনে রাখার উপায়
(১) আওয়াজ করে পড়লে দ্রুত পড়া মুখস্থ হয়৷ যা পড়েছেন তা যদি কানে ও ডুকে তাহলে আপনার পড়া মুখস্থ তাড়াতাড়ি হবে। এজন্য শব্দ করে পড়া উচিত।

(২) পড়তে বসলে একটা টাইম ধরে পড়ুন নাহলে আপনি পড়াতে মনোযোগ হারাবেন এবং সময়ের অপচয় হবে। তাই একটি সময় ধরে পড়ুন।

(৩) নিজে যখন পড়ে কোন কিছু মুখস্থ করতে চান তখন নিজের ভুল নিজে ধরুন নিজে নিজের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করুন। আপনি আপনার নিজ থেকে পরিক্ষা নিন।

(৪) ইন্টারনেটের এই যুগে পড়া মুখস্থ করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে সুবিধা আদায় করে না নিয়ে ছাড়াবেন না। আপনি যে বিষয় মুখস্থ করতে চান সেই বিষয়টি লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিনে পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।

(৫) বিরতি নিন। একটানা পড়লে পড়া মুখস্থ করা যায় না। তাই বিরতি নিয়ে নিয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ পড়ার পর একটু হাঁটুন আবার পড়ুন। এভাবে পড়লেও পড়া মুখস্থ করা যায়।

(৬) চুংইগাম চিপাতে পারেন। গভেষণায় দেখা গেছে চুইংগাম খেতে থাকরে আর পড়লে পড়া বেশি মনে থাকে। তাই এটি করে দেখতে পারেন।

(৭) বিশ কিছু ক্ষণ পড়ার পর বিশ বা ২৫ মিনিট হাঁটুন। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং পড়া ও তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।

তো বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদেরকে জনাতে চেষ্টা করেছি যে কিভাবে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করা যায়। আমাদের অন্যান পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইল।

আজকের আলোচিত বিষয়

(১) পড়া মনে রাখার উপায়

(২) স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর উপায়

(৩) স্মরণশক্তি বাড়ানোর দোয়া

(৪)পড়া মনে রাখার বৈজ্ঞানিক কৌশল

(৫) কঠিন পড়া মনে রাখার কৌশল

(৬)দ্রুত পড়া রাখার উপায়

IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )