অলসতা, ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদির জন্য রুকইয়াহ / Ruqyah-For-Laziness

 

 

Ruqyah-For-Laziness

 

 

অলসতা, ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদির জন্য রুকইয়াহ / Ruqyah-For-Laziness

আলী রা.থেকে বর্ণিত, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা একবার খবর পান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কয়েকজন বন্দী আনা হয়েছে। তিনি আটা পিষার কষ্টের কথা জানিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে একজন খাদিম চাওয়ার জন্য গেলেন। (অন্য বর্ণনায় কূপ থেকে পানি তোলার কষ্টের কথাও আছে) কিন্তু তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেলেন না, তখন বিষয়টা আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার কাছে জানালেন। পরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা  তাঁকে বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এলেন। তখন আমরা বিছানায় শুয়েছিলাম। আমরা (তাকে দেখে) উঠতে লাগলাম। তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ জায়গায় থাক। আমি আমার বুকে তাঁর পায়ের স্পর্শ অনুভব করলাম। (অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ উনার বুকের কাছে বসলেন)

এরপর বললেন,

‘তোমরা যা চেয়েছ, আমি কি তোমাদের তার চাইতে উত্তম বস্তুর সন্ধান দিব? যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করবে, তখন চৌত্রিশ বার ‘আল্লাহ আকবার’ তেত্রিশবার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ এবং তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। এটা তোমরা যা চেয়েছো তোমাদের জন্য তার চাইতে উত্তম। (বুখারী, কিতাবুল জিহাদ ওয়াস সিয়ার, হাদিস নং ২৮৯৩) হাদিসটা আমরা অনেকেই জানি। শুধু জানি না, ভালোভাবেই জানি। এই হাদিসটির প্রতি লক্ষ্য রেখেই আমাদের দেশে প্রচলিত তাসবিহ গুলোতে একশটা করে গুটি থাকে। এই হাদিসটা বয়ান করার সময় সাধারণত এভাবে বলা হয়, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তারা দুনিয়াবী প্রয়োজন নিয়ে এসেছিলেন আর রাসুলুল্লাহ তাদেরকে আখেরাত মুখি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অথবা এরকম কিছুই বলে..।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, হাদিসটির ফজিলত আমরা অনেকেই খেয়াল করিনি। আমরা হাদীসটিকে আরেকবার দৃষ্টিপাত করি, এর সারাংশ এরকম, ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার ঘরের কাজে কষ্ট হচ্ছিল, তাই তিনি খাদেমের জন্য রাসূলুল্লাহর কাছে গিয়েছিলেন। রাসুল্লাহ তাদেরকে ঘুমের আগে ৩৩বার সুবহানাল্লাহ ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৪বার আল্লাহু আকবার পড়তে বললেন। আমি নিজে দেখেছি এবং বেশ কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা আমার কাছে বর্ণনা করেছে, এই হাদীসের উপর আমল করলে সত্যি কর্মক্ষমতা বাড়ে, অলসতা দূর হয়, একটুতেই ক্লান্ত হওয়ার ভাব চলে যায়।

সেদিন ফুফু বলছিল, নামাযে বা অন্যান্য ইবাদাতে আলসেমি লাগে, এরকম সমস্যা থাকলে এই সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার পড়লে সেটা চলে যায়। এবার আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, গতমাসে মাঝের দিকে বেশ দৌড়ের উপর ছিলাম, পাসপোর্ট অফিসে একটু কাজ ছিল, সেটা শেষ করে বাজারে এরপর ব্যাংকে যাওয়া লাগবে, ওখানে কাজ সেরে এক বড় ভাইয়ের দোকানে যাওয়া লাগবে, এরপর আবার বাসে করে বহুদূরে আমার বাড়ি।

সবমিলিয়ে হঠাৎ করেই বেশ বড় ধকল, আর অল্প সময়ের মাঝে অনেকগুলো কাজের চাপ পড়ে গেল। দুপুরে যখন আমি ব্যাংকে যাব ক্লান্তিতে পা চলছিলই না। রাজশাহী নিউমার্কেট থেকে রেলগেটের রিক্সা-অটোরিকশা স্টপেজ ৩-৪ মিনিটের রাস্তা, এতোটুকুই আমি যেতে পারছিলাম না। ক্লান্তিতে মনে হচ্ছিল রাস্তার মধ্যেই বসে পড়ি। তখন হঠাৎ আমার মাথায় ৩ তাসবির কথা আসলো, আমি সম্ভবত দশবার করে পড়ছিলাম, তিনটা পড়া শেষ হয়নি, কখন ক্লান্তি চলে গেছে, আমি ফ্রি হয়ে ফাস্টট্র‍্যাকে টাকা জমা দিয়ে রিক্সাতে উঠে অনেক দূর চলে গেছি টেরই পাইনি!

অনেকক্ষণ পর মনে হল “অহহো! আমি না তাসবিহ পড়ছিলাম!!” আলহামদুলিল্লাহ। . সবচেয়ে মজাদার এবং শেষ কথা হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ যে বলেছেন “এটা তোমরা যা চেয়েছিলে তার থেকে উত্তম” তার কারন বুঝতে পারছেন? – এতে ক্লান্তি দূর হচ্ছে, কাজ সহজেই হয়ে যাচ্ছে, খাদেমের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বেঁচে যাচ্ছে। উপরন্তু ১০০বার তাসবিহ পড়ার জন্য আখিরাতের একাউন্টে অনেক সম্পদ জমে যাচ্ছে। এর চেয়ে উত্তম টিপস কি হতে পারে!!  

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )