strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনে অনুমতি

strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য কি তাঁর অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ?
কয়েকদিন ধরে একটি নিউজ চোখে পড়ছে যে, strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনে অনুমতি না নিলে স্বামীর জন্য ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবে কি না?!!!! Fantastic ! প্রাথমিক চিকিৎসা স্বরুপ এসব জ্ঞানপাপীদেরকে উত্তম মধ্যম দেয়া অত্যন্ত সমীচীন ! আসুন জেনে নিই ইসলাম ধর্ম কি বলে ?
মহানবী (সা:) বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।” (সুনানে তিরমিযি ১১৬০, ছহীহুল জামে ৫৩৪)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩, ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬, সুনানে আবু দাউদ ২১৪১, নাসাঈ)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত হয়ে ঘুমায় ।” (তাবরানী ১০৮৬, সুনানে তিরমিযি ৩৬০, হাকেম
সিলসিলা ছহীহা ২৮৮)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫, ছহীহ মুসলিম ২৪১৭, দারেমী ১৭২০, সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।” (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, বাযযার ২৩৪৯, তাবরানী, হাকেম ২৭৭১, বাইহাক্বী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।” (ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।” (মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩, নাসাঈ, হাকিম, বায়হাক্বী)
মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।” (তিরমিযি ১১৭৪, ইব্নে মাজাহ ২০১৪)
মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন । (সূরা আল বাক্বারা ২৩৪, ছহীহুল বোখারি ১২৮০, ছহীহ মুসলিম ৩৮০২)
IDC Partner
উপরের আলোচনা থেকে আশাকরি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে যে, strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন আছে কি না। স্বামী- স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন আছে কি না তার চেয়ে বেশী চিন্তা করা দরকার একজনের কারনে অন্য জনের হক নষ্ট হচ্ছে কি না। আমাদের আলোচ্য বিষয়, যৌন মিলন এমন একটি প্রক্রিয়া যা স্বামী-স্ত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতা ব্যাতীত কখনো সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভব না। আর বিবাহিত মানুষ মাত্রই জানে, যৌন মিলনের জন্য উভয়েরই যে একসাথে ইচছা জাগে এমন না।স্বামী-স্ত্রীর যে কারোর ই মিলনের ইচছা জাগতে পারে আর তারপরে একে অন্যকে নানা ভাবে প্ররোচিত বা নানা ক্রিয়া কর্মের মাধ্যমে মিলনে আগ্রহী করে তুলে এবং শেষ পর্যন্ত উভয়ের মিলনের মাধ্যমে তার সমাপ্তি হয়।এখানে কে আগে আগ্রহী হয়েছে বা কে কাকে প্ররোচিত করেছে তা বিবেচ্য বিষয় নয় এবং স্বামী-স্ত্রী সাধারনতঃ এটা নিয়ে মাথা ঘামায়ও না।তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই পুরুষ ই সবসময় একাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে তাহলে এটাও দোষের কিছু নয়।কারন প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষ বর্হিমুখী আর নারী অর্ন্তমুখী। স্বামী-স্ত্রীর যেই আগে আগ্রহী বা উদ্যোগী হোক না কেন উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টায় ই একটি সফল এবং আনন্দদায়ক যৌন মিলন সম্পন্ন হয় এবং এ দুনিয়াতে স্বর্গীয় সুখ লাভ করে। স্বামী-স্ত্রীর এ সম্পর্ক একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয়। আর একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয় বিষয় বাহিরে এনে জ্ঞানপাপীরা কি অর্জন করতে চাচ্ছে তা বোধগম্য নয়। অস্থিতিশীল এ দুনিয়ায় এমনিতেই মানুষে মানুষে ভালবাসা-সহযোগীতা-সহানুভূতি কমে যাচ্ছে বা নেই বললেই চলে সেই ক্ষেত্রে সমাজের নানা রকম অস্থিরতা তথা হাজারো সমস্যার প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত একটা মুহূর্তকে সর্বসমক্ষে টেনে বের করে এনে strir sathe milone onumoti/স্ত্রীর সাথে মিলনে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন আছে কি না তথা আইন প্রণয়ন করে কি অর্জন হবে তাই জিজ্ঞাসা।

আইডিসির সাথে যোগ  য়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )