Surah Soffat – সূরা সাফফাত ও সূরা সাফফাতের ফযিলত

Sura-Soffat

37) সূরা আস-সাফফাত – Surah As-Saffat (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 182)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِশুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(1 وَالصَّافَّاتِ صَفًّا

শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,

By those who range themselves in ranks,

 

(2 فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا

অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,

And so are strong in repelling (evil),

 

(3 فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا

অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-

And thus proclaim the Message (of Allah.!

 

(4 إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ

নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।

Verily, verily, your Allah is one!-

 

(5 رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ

তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।

Lord of the heavens and of the earth and all between them, and Lord of every point at the rising of the sun!

(6 إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।

We have indeed decked the lower heaven with beauty (in) the stars,-

 

(7وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ

এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।

(For beauty) and for guard against all obstinate rebellious evil spirits,

 

(8 لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ

ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।

(So) they should not strain their ears in the direction of the Exalted Assembly but be cast away from every side,

 

(9 دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ

ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।

Repulsed, for they are under a perpetual penalty,

 

(10 إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ

তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

Except such as snatch away something by stealth, and they are pursued by a flaming fire, of piercing brightness.

 

(11 فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ

আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।

Just ask their opinion: are they the more difficult to create, or the (other) beings We have created? Them have We created out of a sticky clay!

(12 بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ

বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।

Truly dost thou marvel, while they ridicule,

(13 وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ

যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।

And, when they are admonished, pay no heed,-

(14 وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ

তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।

And, when they see a Sign, turn it to mockery,

(15 وَقَالُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ

এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।

And say, “This is nothing but evident sorcery!

(16 أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?

“What! when we die, and become dust and bones, shall we (then) be raised up (again)

(17 أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ

আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?

“And also our fathers of old?”

(18 قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ

বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।

Say thou: “Yea, and ye shall then be humiliated (on account of your evil).”

(19 فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ

বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।

Then it will be a single (compelling) cry; and behold, they will begin to see!

(20 وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَذَا يَوْمُ الدِّينِ

এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।

They will say, “Ah! Woe to us! This is the Day of Judgment!”

(21 هَذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ

বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।

(A voice will say,) “This is the Day of Sorting Out, whose truth ye (once) denied!”

(22 احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ

একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।

“Bring ye up”, it shall be said, “The wrong-doers and their wives, and the things they worshipped-

(23 مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَى صِرَاطِ الْجَحِيمِ

আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,

“Besides Allah, and lead them to the Way to the (Fierce) Fire!

(24 وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ

এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;

“But stop them, for they must be asked:

(25 مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ

তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?

“‘What is the matter with you that ye help not each other?’”

(26بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ

বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।

Nay, but that day they shall submit (to Judgment);

(27 وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ

তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

And they will turn to one another, and question one another.

(28 قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ

বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।

They will say: “It was ye who used to come to us from the right hand (of power and authority)!”

(29 قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ

তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।

They will reply: “Nay, ye yourselves had no Faith!

 

(30 وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ

এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।

“Nor had we any authority over you. Nay, it was ye who were a people in obstinate rebellion!

(31  فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ

আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।

“So now has been proved true, against us, the word of our Lord that we shall indeed (have to) taste (the punishment of our sins).

(32 فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ

আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।

“We led you astray: for truly we were ourselves astray.”

(33 فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
Truly, that Day, they will (all) share in the Penalty.
(34 إِنَّا كَذَلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।
Verily that is how We shall deal with Sinners.
(35 إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
For they, when they were told that there is no god except Allah, would puff themselves up with Pride
(36 وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
And say: “What! shall we give up our gods for the sake of a Poet possessed?”
(37 بَلْ جَاء بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
Nay! he has come with the (very) Truth, and he confirms (the Message of) the apostles (before him).
(38 إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ
তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
Ye shall indeed taste of the Grievous Penalty;-
(39 وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
But it will be no more than the retribution of (the Evil) that ye have wrought;-
(40 إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।
But the sincere (and devoted) Servants of Allah,-
(41 أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ
তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।
For them is a Sustenance determined,
(42 فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُونَ
ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।
Fruits (Delights); and they (shall enjoy) honour and dignity,
(43 فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।
In Gardens of Felicity,
(44  عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ
মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।
Facing each other on Thrones (of Dignity):
(45 يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِن مَّعِينٍ
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।
Round will be passed to them a Cup from a clear-flowing fountain,
(46 بَيْضَاء لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ
সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
Crystal-white, of a taste delicious to those who drink (thereof),
(47 لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ
তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
Free from headiness; nor will they suffer intoxication therefrom.
(48 وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
And beside them will be chaste women, restraining their glances, with big eyes (of wonder and beauty).
(49 كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ
যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
As if they were (delicate) eggs closely guarded.
(50 فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
Then they will turn to one another and question one another.
(51 قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ
তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।
One of them will start the talk and say: “I had an intimate companion (on the earth)
(52 يَقُولُ أَئِنَّكَ لَمِنْ الْمُصَدِّقِينَ
সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
“Who used to say, ‘what! art thou amongst those who bear witness to the Truth (of the Message)?
(53 أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَدِينُونَ
আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?
“‘When we die and become dust and bones, shall we indeed receive rewards and punishments?’”
(54 قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ
আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?
(A voice) said: “Would ye like to look down?”

(55 فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاء الْجَحِيمِ

অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।

He looked down and saw him in the midst of the Fire.

 

(56 قَالَ تَاللَّهِ إِنْ كِدتَّ لَتُرْدِينِ

সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।

He said: “By Allah. thou wast little short of bringing me to perdition!

 

(57 وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ

আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।

“Had it not been for the Grace of my Lord, I should certainly have been among those brought (there)!

 

(58 أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ

এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।

“Is it (the case) that we shall not die,

 

(59 إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ

আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।

“Except our first death, and that we shall not be punished?”

 

(60 إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।

Verily this is the supreme achievement!

 

(61

لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلْ الْعَامِلُونَ

এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।

For the like of this let all strive, who wish to strive.

 

(62 أَذَلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ

এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?

Is that the better entertainment or the Tree of Zaqqum?

 

(63 إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ

আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।

For We have truly made it (as) a trial for the wrong-doers.

 

(64 إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ

এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।

For it is a tree that springs out of the bottom of Hell-Fire:

 

(65 طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُؤُوسُ الشَّيَاطِينِ

এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।

The shoots of its fruit-stalks are like the heads of devils:

 

(66 فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ

কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।

Truly they will eat thereof and fill their bellies therewith.

 

(67 ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ

তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,

Then on top of that they will be given a mixture made of boiling water.

 

(68 ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ

অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।

Then shall their return be to the (Blazing) Fire.

 

(69 إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءهُمْ ضَالِّينَ

তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।

Truly they found their fathers on the wrong Path;

 

(70 فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ

অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।

So they (too) were rushed down on their footsteps!

 

(71 وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ

তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।

And truly before them, many of the ancients went astray;-

(72 وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ

আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।

But We sent aforetime, among them, (apostles) to admonish them;-

 

(73 فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ

অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।

Then see what was the end of those who were admonished (but heeded not),-

 

(74 إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ

তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।

Except the sincere (and devoted) Servants of Allah.

 

(75 وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ

আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।

(In the days of old), Noah cried to Us, and We are the best to hear prayer.

 

(76 وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ

আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।

And We delivered him and his people from the Great Calamity,

 

(77وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمْ الْبَاقِينَ

এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।

And made his progeny to endure (on this earth);

 

(78 وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ

আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,

And We left (this blessing) for him among generations to come in later times:

 

(79 سَلَامٌ عَلَى نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ

বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

“Peace and salutation to Noah among the nations!”

 

(80 إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।

Thus indeed do we reward those who do right.

 

(81 إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ

সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।

For he was one of our believing Servants.(82

ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ

অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।

Then the rest we overwhelmed in the Flood.

 

(83 وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ

আর নূহপন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।

Verily among those who followed his Way was Abraham.

 

(84 إِذْ جَاء رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ

যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,

Behold! he approached his Lord with a sound heart.

 

(85 إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ

যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?

Behold! he said to his father and to his people, “What is that which ye worship?

 

(86 أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ

তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?

“Is it a falsehood- gods other than Allah. that ye desire?

 

(87 فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ

বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?

“Then what is your idea about the Lord of the worlds?”

 

(88 فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ

অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।

Then did he cast a glance at the Stars.

 

(89 فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ

এবং বললঃ আমি পীড়িত।

And he said, “I am indeed sick (at heart)!”

 

(90 فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ

অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।

So they turned away from him, and departed.

 

(91 فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ

অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?

Then did he turn to their gods and said, “will ye not eat (of the offerings before you)?.

 

(92 مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ

তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?

“What is the matter with you that ye speak not (intelligently)?”

 

(93 فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ

অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।

Then did he turn upon them, striking (them) with the right hand.

 

(94 فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ

তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।

Then came (the worshippers) with hurried steps, and faced (him).

 

(95 قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ

সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?

He said: “Worship ye that which ye have (yourselves) carved?

 

(96 وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ

অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।

“But Allah has created you and your handwork!”

 

(97 قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ

তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।

They said, “Build him a furnace, and throw him into the blazing fire!”

 

(98 فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ

তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।

(This failing), they then sought a stratagem against him, but We made them the ones most humiliated!

 

(99 وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ

সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।

He said: “I will go to my Lord! He will surely guide me!

 

(100 رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।

“O my Lord! Grant me a righteous (son)!”

 

(101 فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ

সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।

So We gave him the good news of a boy ready to suffer and forbear.

 

(102 فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ

অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।

Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: “O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!” (The son) said: “O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!”

 

(103 فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ

যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।

So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

 

(104

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ

তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,

We called out to him “O Abraham!

 

(105 قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

“Thou hast already fulfilled the vision!” – thus indeed do We reward those who do right.

 

(106 إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ

নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।

For this was obviously a trial-

 

(107 وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ

আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।

And We ransomed him with a momentous sacrifice:

 

(108 وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ

আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,

And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

 

(109 سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ

ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

“Peace and salutation to Abraham!”

 

(110 كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

Thus indeed do We reward those who do right.

 

(111 إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ

সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।

For he was one of our believing Servants.

 

(112 وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ

আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।

And We gave him the good news of Isaac – a prophet,- one of the Righteous.

 

(113 وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَقَ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ

তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।

We blessed him and Isaac: but of their progeny are (some) that do right, and (some) that obviously do wrong, to their own souls.

 

(114 وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ

আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।

Again (of old) We bestowed Our favor on Moses and Aaron,

 

(115 وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ

তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।

And We delivered them and their people from (their) Great Calamity;

 

(116 وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ

আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।

And We helped them, so they overcame (their troubles);

 

(117 وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ

আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।

And We gave them the Book which helps to make things clear;

 

(118 وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।

And We guided them to the Straight Way.

 

(119 وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ

আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,

And We left (this blessing) for them among generations (to come) in later times:

 

(120 سَلَامٌ عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ

মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

“Peace and salutation to Moses and Aaron!”

 

(121 إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

Thus indeed do We reward those who do right.

 

(122 إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ

তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।

For they were two of our believing Servants.

 

(123 وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنْ الْمُرْسَلِينَ

নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।

So also was Elias among those sent (by Us).

 

(124 إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ

যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?

Behold, he said to his people, “Will ye not fear ((Allah))?

 

(125 أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ

তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।

“Will ye call upon Baal and forsake the Best of Creators,-

 

(126 وَاللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ

যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?

“(Allah), your Lord and Cherisher and the Lord and Cherisher of your fathers of old?”

 

(127 فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ

অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।

But they rejected him, and they will certainly be called up (for punishment),-

 

(128 إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ

কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।

Except for the sincere and devoted Servants of Allah (among them).

 

(129 وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ

আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,

And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

 

(130 سَلَامٌ عَلَى إِلْ يَاسِينَ

ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!

“Peace and salutation to such as Elias!”

 

(131 إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

Thus indeed do We reward those who do right.

 

(132 إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ

সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।

For he was one of our believing Servants.

 

(133 وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ

নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।

So also was Lut among those sent (by Us).

 

(134 إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ

যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;

Behold, We delivered him and his adherents, all

 

(135 إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ

কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।

Except an old woman who was among those who lagged behind:

 

(136 ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ

অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।

Then We destroyed the rest.

 

(137 وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ

তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়

Verily, ye pass by their (sites), by day-

 

(138 وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?

And by night: will ye not understand?

 

(139 وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ

আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।

So also was Jonah among those sent (by Us).

 

(140 إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ

যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।

When he ran away (like a slave from captivity) to the ship (fully) laden,

 

(141فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنْ الْمُدْحَضِينَ

অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।

He (agreed to) cast lots, and he was condemned:

 

(142 فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ

অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।

Then the big Fish did swallow him, and he had done acts worthy of blame.

 

(143 فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْمُسَبِّحِينَ

যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,

Had it not been that he (repented and) glorified Allah,

 

(144 لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ

তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।

He would certainly have remained inside the Fish till the Day of Resurrection.

 

(145 فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاء وَهُوَ سَقِيمٌ

অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।

But We cast him forth on the naked shore in a state of sickness,

 

(146 وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ

আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।

And We caused to grow, over him, a spreading plant of the gourd kind.

 

(147 وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِئَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ

এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।

And We sent him (on a mission) to a hundred thousand (men) or more.

 

(148 فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ

তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।

And they believed; so We permitted them to enjoy (their life) for a while.

 

(149 فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ

এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান।

Now ask them their opinion: Is it that thy Lord has (only) daughters, and they have sons?-

 

(150 أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ

না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?

Or that We created the angels female, and they are witnesses (thereto)?

 

(151 أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ

জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,

Is it not that they say, from their own invention,

 

(152 وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ

আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।

“(Allah) has begotten children”? but they are liars!

 

(153 أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ

তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন?

Did He (then) choose daughters rather than sons?

 

(154 مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ

তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?

What is the matter with you? How judge ye?

 

(155 أَفَلَا تَذَكَّرُونَ

তোমরা কি অনুধাবন কর না?

Will ye not then receive admonition?

 

(156 أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ

না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?

Or have ye an authority manifest?

 

(157 فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ

তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।

Then bring ye your Book (of authority) if ye be truthful!

 

(158  وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ

তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।

And they have invented a blood-relationship between Him and the Jinns: but the Jinns know (quite well) that they have indeed to appear (before his Judgment- Seat)!

 

(159 سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ

তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।

Glory to Allah. (He is free) from the things, they ascribe (to Him)!

 

 

(160 إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ

তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।

Not (so do) the Servants of Allah, sincere and devoted.

 

(161 فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ

অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,

For, verily, neither ye nor those ye worship-

 

(162 مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ

তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

Can lead (any) into temptation concerning Allah,

 

(163 إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ

শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।

Except such as are (themselves) going to the blazing Fire!

 

(164 وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ

আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।

(Those ranged in ranks say): “Not one of us but has a place appointed;

 

(165 وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ

এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।

“And we are verily ranged in ranks (for service);

 

(166 وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ

এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।

“And we are verily those who declare ((Allah)’s) glory!”

(167

وَإِنْ كَانُوا لَيَقُولُونَ

তারা তো বলতঃ

And there were those who said,

 

(168 لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنْ الْأَوَّلِينَ

যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,

“If only we had had before us a Message from those of old,

 

(169 لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ

তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।

“We should certainly have been Servants of Allah, sincere (and devoted)!”

 

(170 فَكَفَرُوا بِهِ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ

বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,

But (now that the Qur’an has come), they reject it: But soon will they know!

 

(171 وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ

আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,

Already has Our Word been passed before (this) to our Servants sent (by Us),

 

(172 إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ

অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।

That they would certainly be assisted,

 

(173 وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ

আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।

And that Our forces,- they surely must conquer.

 

(174 فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ

অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।

So turn thou away from them for a little while,

 

(175 وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ

এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।

And watch them (how they fare), and they soon shall see (how thou farest)!

 

(176 أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ

আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?

Do they wish (indeed) to hurry on our Punishment?

 

(177 فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاء صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ

অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।

But when it descends into the open space before them, evil will be the morning for those who were warned (and heeded not)!

 

(178وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ

আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।

So turn thou away from them for a little while,

 

(179 وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ

এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।

And watch (how they fare) and they soon shall see (how thou farest)!

 

(180 سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ

পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।

Glory to thy Lord, the Lord of Honour and Power! (He is free) from what they ascribe (to Him)!

 

(181 وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ

পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

And Peace on the apostles!

 

(182 وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।
And Praise to Allah, the Lord, and Cherisher of the Worlds.

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@poripurno.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.comwww.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )