শেখ ইসমাঈলের দরদভরা কথাগুলো / The-Words-Of-Sheikh-Ismail

 

 

 

The-Words-Of-Sheikh-Ismail

 

 

শেখ ইসমাঈলের দরদভরা কথাগুলো / The-Words-Of-Sheikh-Ismail

গতকাল কাজ শেষ করে মসজিদে গিয়েছিলাম ইফতারি করার জন্য। শেখ ইসমাঈলের দরদভরা কথাগুলো হৃদয়ে সবসময় দাগ কাটে। ২য় খলীফা হযরত ওমর রাঃ এর কথা বলছিলেন। খলীফা মানে তখন তিনি সারা মুসলিম দুনিয়ার প্রেসিডেন্ট। খলীফা রমজান মাসে ইফতারী করতেন ইয়াতীম, অভাবীদের সাথে নিয়ে। মোনাজাতও করতেন তাদের নিয়ে। কারণ-শিশুরা হলো সবচেয়ে পবিত্রতম। আর ইয়াতীমরা হলো সবচেয়ে অসহায়। রাব্বুল আলামীন পবিত্র আর অসহায় এ দু ধরণের মানুষের প্রার্থণা কবুল করেন সবচেয়ে বেশি। খলীফার স্ত্রী প্রতিদিন দীনহীনদের ঘরে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন। এমনকি নিজে গিয়ে রান্নাও করে দিয়ে আসতেন। খলীফার ইফতারের আয়োজনে ধনী সাহাবাদের কেউ সাথে থাকতোনা। তাদেরকে তিনি এসময় আমন্ত্রণও জানাতেন না। বরং ইফতারির সময় হয়ে আসার আগে তিনি তাদের নিজগৃহে গিয়ে পরিজনদের সাথে অথবা গরীব প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে ইফতারী করার নির্দেশ দিতেন। সেই ইফতারি আয়োজন আজ পুরোটাই বদলে গেছে। এখন ইফতারী হলো পার্টি। এখন ইফতারী হলো উৎসব। এখন ইফতারি হলো মুঠোয় রাখার চুক্তিপত্র।

 

সারাদিন উপোস থেকে যার ইফতারী সবচেয়ে বেশী দরকার সে হয়তো উপোসই পড়ে আছে। আর যার ফ্রিজ ভর্তি খাবার উপচে পড়ছে-সে ইফতারীর দাওয়াত পাচ্ছে। একটি ইফতারী পার্টিতে যে পরিমাণ খরচ হয় আর খাবারের অপচয় হয়-তা দিয়ে কমপক্ষে দশটি দীনহীন পরিবারের সারা বছরের খাবারের সুব্যবস্থা করা যায়। পাড়ায়, পাড়ায়, মহল্লায়, মহল্লায়, দামী রেস্তোরায় যে ইফতার পার্টির কালচার আজ গড়ে ওঠেছে এগুলোর সবকিছুই ইসলামী নীতি বিরুদ্ধ। শুধুমাত্র ইয়াতীম, অসহায়, দীনহীন গরীব মানুষদের সাথে নিয়ে ইফতারি করা ছাড়া। কোনো হুজুররা কি হযরত ওমর রাঃ এর ইফতারী করার এই ওয়াজ কোনোদিন করেছেন? ছবিতে দেখা যাচ্ছে- রাজা-বাদশাহরা ইফতারী করছেন- যাদের ঘরে খাবার উপচে উপচে পড়ছে। আর রাস্তার বসে এই অসহায় মানুষগুলো ইফতারী করছে- যাদের ঘরে কিছু নাই বললেই চলে। নবী-রাসুল, ধর্ম-আল্লাহ খোদার সাথে এই যে বাটপারী আপনারা শুরু করেছেন- এর সবগুলোর জন্য যারা এসব ইফতারীর আয়োজন করে এবং যারা এতে উপস্থিত হয়- সবাইকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সেদিনের সেই শ্বাসত, সুন্দর ইসলামকে আজ আপনারা একটা তামাশায় পরিণত করেছেন। আর এই তামাশার ভিতর থেকে আল্লাহর দরবারে হাত ওঠাচ্ছেন হেদায়াতের জন্য, জাতির উন্নতির জন্য।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী

( এম. এ. ইন ইংলিশ )