turky/তুরস্ক

তুরস্কের অতীত, বর্তমান এবং এরদোয়ান
উসমানীয় পরিবারকে turky/তুরস্ক থেকে নির্বাসন দেয়া হয় ১৯২৩-১৯২৪। তাদের পরবর্তী বংশধরসহ কেউ আর turky/তুরস্কে ঢুকতে পারবে না। স্বয়ং খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। একটুকুও সম্মান দেয়া হয়নি। সকল ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে, তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এটাই ছিল ৬২৫ বছর শৌর্য বীর্য নিয়ে টিকে থাকা ৩ মহাদেশ শাসনকারী, মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক, একসময়ের বিশ্বপরাশক্তি, খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন দেভলেতে আলিয়ে উসমানীয়দের নির্মম পতন।
turky/তুরস্কে (১৯১৯-১৯২২) স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুস্তাফা কামাল পাশার নেতৃত্বে পশ্চিমা ধারার বিশেষত ফ্রান্সের মতো রাষ্ট্রকাঠামো প্রবর্তন করলো। যে দেশ ৬২৫ বছর শরিয়াহ আইনে চলল, সে রাষ্ট্র রাতারাতি হয়ে গেলো সেক্যুলার, পুজিবাদী অর্থব্যবস্থা প্রবর্তন করলো। আরবীতে আজান নিষিদ্ধ হলো। কুরআন পড়া নিষিদ্ধ হলো। পাবলিকলি নামাজ নিষিদ্ধ হলো। ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ হলো। নারীরা হিজাব পড়তে পারবে না। ধর্মীয়সব কিছু নিষিদ্ধ হলো। মসজিদগুলোতে ঘোড়াদের লালনপালন করা হতো, তারপর মসজিদে মদপান হতো। মুস্তাফা কামাল নিজে ইসলাম নিয়ে খুব কটুক্তি করতে শুরু করলো। ইসলামপন্থীদের উপর নেমে এল অবর্ননীয় নির্যাতন। যেমনঃ বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসিকে আমরা চিনি। আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানালো। মাদ্রাসার গুরুত্ব কমে গেলো। ইস্তাম্বুল ছিলো ৪৫০ বছর খেলাফতের রাজধানী সেটা হলো, শয়তানের আখড়া। তুরস্ককে বলা হতো ঐসময় ‘Naked Europe’।
১৯৩৬ সালে মুস্তাফা কামাল মারা যায় যখন তখন ঐদেশের সরকার চিন্তায় পড়ে গেলো তাকে জানাজা পড়াবে কিনা। তখন কোনো আলেম রাজি ছিল না। ঐসময়ের প্রধানমন্ত্রী বলছিলো জানাজার দরকার নাই। সেনাপ্রধান বললো জানাজা পড়াতে হবে। তারপর জানাজাও হলো। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত turky/তুরস্কের মানুষের জন্য হজ্জ্ব নিষিদ্ধ ছিলো।
এরপর ১৯৪৯ পর্যন্ত তুরস্কে একনায়কতন্ত্র কায়েম ছিলো। এরপর একটা নির্বাচন দেয়া হয় নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য, turky/তুরস্ক তখন সবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলো। ইসলামপন্থী আদনান মেন্দরেস ক্ষমতায় আসলো। সে এসে আরবীতে আজানের ঘোষণা দেয়ায়, সেনাবাহিনী এসে তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে দেয়। সেনাবাহিনী ক্যু করে ক্ষমতা নিয়ে নিলো। তারপর এভাবেই চলতে থাকে সেক্যুলার শাসকরা শাসন করেন আর ইসলামপন্থীদের উপর নির্যাতন চলতে থাকে। হিজাব পড়ে মেয়েরা সরকারি কাজে অথবা University তে আসছে, হিজাব টেনে ছিড়ে ফেলা হয়ছে এমন Video Youtube এ খুজলে পাওয়া যাবে। সহপাঠীরাসহ সবাই মারধর করতো যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পড়ে আসতো। শাসকরা মদপান করত গণমাধ্যমের সামনে। তাদের দাম্পত্য জীবন বলতে নষ্টামি ছাড়া কিছুই ছিলো না।
এরই মধ্য ১৯৭৪ সালে সেক্যুলার সরকার ক্ষমতায় আসে, আর সে সরকার ইসলামপন্থী স্যার নাজিমুদ্দিন এরবাকানের দল এরসাথে কোয়ালিশন করে ক্ষমতায় আসে। নাজিমুদ্দিন এরবাকান হন সহকারী প্রধানমন্ত্রী। ঐ সময়কার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে যান। ঐসময় পার্শবর্তী দেশ গ্রীস জোরপূর্বক সাইপ্রাসে বিদ্রোহ ঘটিয়ে দখল করতে চায়। নাজিমুদ্দিন এরবাকানের হাতে ঐসময় প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণক্ষমতা। তিনি সেনাবাহিনীকে আদেশ দিলেন সাইপ্রাসে অভিযান চালাতে। তুরস্ক বিজয়ী হলো। সাইপ্রাস মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিলো। তারপর তিনি উসমানীয় পরিবারের নারীদের দেশে আসার অনুমতি দেন।
নাজিমুদ্দিন এরবাকান ছিলেন তুরস্কের ইসলামি রাজনীতির প্রাণপুরুষ ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক গুরু। তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী ও শিক্ষিত লোক। তিনি দেশব্যাপী জনপ্রিয় ছিলেন তার অসাধারন মেধার জন্য। তিনি নিজেকে ফাতিহ সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের উত্তরসূরী বলে নিজেকে ঘোষনা করতেন। এরপর তাকেও ক্ষমতাচ্যুত করে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়, সে কয়েকবার নতুন নামে রাজনৈতিক দল খুলে কার্যক্রম করতে গেলেই তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। বর্তমানে তিনি বেচে নেই তবে তার দল ‘সাদাত পার্টি’ নামে বেচে আছে। এ দলেই এরদোয়ান ছিলেন তরুণ নেতা।
১৯৫৪ সালের ফেব্রয়ারিতে খুব গরিব পরিবারে জন্ম এরদোয়ানের। তিনি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শুরু করেন। তাকে লেবুর শরবত বিক্রি করে জীবন চালাতে হয়ছে। তাকে দেখে মানুষ হাসত আর বলত, ‘বাবা, School এ যাও। মাদ্রাসায় পড়ে জীবনে কিছু করতে পারবা না, শুধু জানাজার নামাজ পড়ানো ছাড়া। এভাবে একদিন Economics এর উপর পড়াশোনার জন্য University তে পড়াশোনা করে বের হয়ে সাদাত পার্টিতে যোগ দেন।
১৯৯৪ সালে তিনি প্রথমবার ইস্তাম্বুলের মেয়র হন। তিনি মেয়র হয়েই প্রচুর অবকাঠামোগত পরিবর্তন করেন, বিশ্বমানের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ নাগরিক জীবনের প্রায় সকল সমস্যা সমাধান করেন। তিনি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। পুরো ইস্তাম্বুলের চেহারাই পরিবর্তন করে দেন। তখন দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা পান। সবাই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইল। তখন একটা কবিতা রচনা করে সবার সামনে বিতর্কিত হন। সেটা ছিলো ইসলামি কবিতা। শুধুমাত্র এটা রচনা করার কারণে ১০ মাস জেল খাটতে হয়। এরপর মুক্ত হয়েই সাদাত পার্টি ছেড়ে নিজেই একটা দল প্রতিষ্ঠিত করেন তুর্কি নামে Ak Parti(Justice & Development Party)।
২০০৩ এর প্রথম নির্বাচনেই সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে বিশাল বিজয় পান। নিজের গুরুর দলকেও তিনি হারিয়ে দেন। তিনি শুরুর দিকে সেক্যুলার রাজনীতি করে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যান। দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করেন, সামরিক, রাজনৈতিক সবদিক থেকে দেশকে এগিয়ে নেন। তার দেশের সব ঋণ পরিশোধ করে বিশ্বব্যাংককে বলছিলেন, “আমরা আপনাদের সব ঝণ পরিশোধ করে দিয়েছি। এখন আপনারা আমাদের থেকে ঋণ নিতে পারেন”। সবার কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পান, turky/তুরস্কের মানুষ এমন নেতা আগে দেখেনি। সবাই খুশি। বারবার সেক্যুলার দলগুলোকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে থাকেন।
২০১০ সালে তিনি আজানের নিষেধাঙ্গা উঠিয়ে নেন। উসমানি বংশধরদের দেশে আসার এবং রাজনীতির অনুমতি দেন। ইসলামি সব বিধি নিষেধ উঠিয়ে নেন। হিজাবের উপর থেকে নিষেধাঙ্গা উঠিয়ে নেন। এভাবে তিনি turky/তুরস্কের ইসলামপন্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা পান। আর সেক্যুলার বুঝতে পারসে ততক্ষণে যে সে ইসলামপন্থী, কিন্তু তারা কিছু করতে পারতেছিলো না কারণ তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, উন্নয়ন আর কথা দিয়ে কথা রাখার গুণের জন্য। তিনি বিশ্বে প্রত্যেক মুসলিমদেশে হস্তক্ষেপ করতে থাকেন। ইসলামপন্থী রাজনৈতিকদল দের সমর্থন দেন, সাহায্য করেন। যেমনঃ ২০১২ তে মিশরের ইখওয়ানের মোহাম্মদ মুরসিকে সমর্থন দেন। বিশ্বব্যাপী মুসলিম ইস্যুতে সরব হয়ে উঠেন। বিশ্বমুসলিমদের নিকট জনপ্রিয়তা পান। ২০১১ তে আরব বসন্তে মিশর, তিউনিসিয়া, সিরিয়াসহ সারা মধ্যপ্রাচ্য যখন গরম তখনও তিনি নিজের ক্ষমতা ধরে রাখেন। তিনি বুঝতে পারতেছিলেন তাকে সরানোর চেষ্টা হবে। তিনি ২০১৪ তে সংবিধানে আমূল পরিবর্তন এনে Presidential System চালু করেন। তিনি হলেন প্রেসিডেন্ট। আবার তিনি ইসলামি সংস্কৃতি ধারার ইতিহাস নির্ভর সিরিজ বানানো শুরু করেন যেমনঃ Dirilis Ertugrul(Ressurection Ertugrul), Mehmetcik Kutul Amare, Payitaht Abdulhamid সহ বিশ্ববিখ্যাত সিরিজ বানানো শুরু করেন।
Dirilis Ertugrul কে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, বাংলাদেশেও চলছে। ভয়ংঙ্কর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সিরিজে বলা হয় “Turkish Game of thrones”। এরপর সিরিজের দিক থেকে বিশ্বে USA এরপর turky/তুরস্কের অবস্থান। এভাবে তিনি Media এর নিয়ন্ত্রন নিতে থাকেন। New York Times এই সিরিজকে ‘Silent Killer’ বলে, অনেকে মুসলিম হয়েছে এই সিরিজ দেখে।
তারপর ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যাপক বড়সড় ক্যু হয় তার বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনী Tank নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে TRT World, Anadolu Agency সহ সকল বড় বড় নিউজ মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।
ইন্টারনেট সীমিত করে দেয়া হয়। রাস্তায় সেনাবাহিনী, আকাশে ড্রোন মহড়া চলছে। রাজধানী আংঙ্কারার নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী নিয়ে নেয়। ঐসময় এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে ছিলেন ছুটি কাটাতে। তিনি ফেসবুকে জনগণকে ক্যু মোকাবেলার জন্য বলেন। ঐসময় ঐ Video CNN Channel এ প্রচার করা হয়। জনগণ রাস্তায় নেমে সেনাবাহিনীর Tank এর নিচে শুয়ে পড়ে, সেনাবাহিনীর গায়ে ইট পাথর মারতে থাকে। ঐসময় ১০০ উর্ধ্ব বয়সি শেষ উসমানীয় সৈন্য তার হুইলচেয়ার নিয়ে রাস্তায় নামেন। জনগণের প্রতিরোধে ক্যু ব্যার্থ হয়। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে এরদোয়ান দেশবাসিকে ধন্যবাদ জানান। এই ব্যার্থ ক্যুতে ২৬৫ জন মারা যান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার অনেক সাহায্য করেন এরদোয়ান কে। সেনাবাহিনীর বিদ্রোহের কারণ ছিলো দেশে সেক্যুলারিজমকে বাচানো। এই বিদ্রোহে আরব মুসলিন দেশ, পশ্চিমাসহ সবার সমর্থন ছিল সেনাবাহিনীর সাথে।
এরপর আবারও সংবিধানে পরিবর্তন আনেন এরদোয়ান। সে সকল সেক্যুলার ও মুস্তাফা কামালপন্থী সব সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। ক্যুতে জড়িতদের শাস্তি ও ফাঁসি দেন। এবার সে দেশটির একক সর্ব্বোচ ও সর্বময়ক্ষমতা সম্পন্ন নেতায় পরিণত হন। turky/তুরস্কের ইসলামপন্থীদের ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। মাদ্রাসা ও ইসলামি ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পন্নরাই চাকরি পান বা অগ্রাধিকার পান। সেনাবাহিনীতে ইসলামপন্থীরা আসীন হয়। মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন। নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে আর্থিক, রাজনৈতিক সাহায্য দেন। পুরো আফ্রিকাতে ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রভাব কমিয়ে দেন। সিরিয়ার নির্যাতিত মুসলিমদের নিজের দেশে জায়গা দেন, নাগরিকত্ব দেন। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেন। কাশ্মীর এবং আরাকানের মুসলিমদের পক্ষে তিনি নৈতিক সমর্থন দেন।
এখন তার দেশ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবদিক থেকে turky/তুরস্ক এখন উদাহরণ। তিনি তার Foreign Policy খুব দারুণভাবে সাজান। তিনি East(Russia & China), West (USA, Europe) & Middle East এ খুব ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বহাল রাখেন। তিনি রাশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ, চীন ও আরবদের কখন কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার স্বার্থে খুবই ভালো জানেন।
তার সেনাবাহিনী সিরিয়াতে, আর্মেনিয়াতে বড় জয় পেয়েছে। তার মেয়ের জামাই সেলজুক বায়রাকতার এর কোম্পানি কতৃক প্রতিষ্ঠিত TV-2 Drone এখন সবার বিস্ময়। তার সেনাবাহিনী এখন বিজয়ের পর আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে। কি বিস্ময় তাই না!!!
২/৩ বছর আগে আমেরিকা যখন turky/তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞা দেয় তখন তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট”। তিনি একদা বলছিলেন, “আমি আমার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধার্মিক হিসেবে দেখতে চাই”। তারপর তিনি ২০২০ এর ১০ জুলাই ইস্তাম্বুলের প্রাণ আয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করেন। ৮৬ বছর পর আজানের ধ্বনি শোনা যায়। কিছুদিন আগে তিনি সেক্যুলারদের শয়তানি আড্ডাখানা তাকসিমো মসজিদ উদ্বোধন করেন। তিনি, তার ছেলে কুরআনের হাফেজ হন। যেখানে কুআন নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে কুরআনের হাফেজ হলো প্রেসিডেন্ট। তারপর তার নাতি ও হাফেজ হন। তিনি turky/তুরস্কের ছেলেমেয়েদের ইসলাম চর্চায় উৎসাহিত ও পুরুস্কৃত করেন।
আল্লাহ তাকে ততদিন সম্মানিত করুক যতদিন তিনি ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থে কাজ করবেন। আমিন। আল্লাহ তাকে হিদায়াতের উপর রাখুন ও আরও কাজ করিয়ে নিক।
[বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ তার অনেক কিছুর সাথেই অনেকে একমত না। বিশেষ করে ন্যাটো, আফ্রিকার সোমালিয়ায়, আফগানিস্তানে তার নীতির বিরোধী। তার রাজনৈতিক অবস্থান, মুসলিম স্বার্থের কিছু কাজকে ভালো মনে হয়। তার ভালো কাজের প্রশংসা করা দরকার। আসলে turky/তুরস্কের ঐতিহাসিক বাস্তবতার বিবেচনায় এরদোয়ানের কাজগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ turky/তুরস্কের মতো অবস্থা অন্য কোনো দেশের হয়নি। সে ফেরেশতা নয়, আমরা তাকে অন্ধবিশ্বাস করবো না, আমরা তার প্রত্যেক কাজ যাচাই করে ভালো মন্দ বুঝেই কথা বলবো। নিজে পড়ুন, জানুন, বুঝুন এবং সিদ্ধান্ত নিন।]

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )