তাবিজের ব্যবহার ( Use of amulets): শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি, দলীল, এবং বিশ্লেষণ। তাবিজ দিয়ে হাদিয়া নেয়া যাবে কিনা?

 

তাবিজ শব্দের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা

🔹 শব্দ: تَعْوِيذَةٌ

উচ্চারণ: Taʿwīzah, বচন: একবচন (مفرد), আরবি মূল ধাতু (Root letters): ع – و – ذ, ফর্ম: তাফ্ঈলা (تَفْعِيلَةٌ) — এটি মূলত اسم المفعول বা “কৃত বস্তু” বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বা বস্তু হিসেবে।


🔹 ধাতু বিশ্লেষণ:

মূল ধাতু: عَوَّذَ (ʿa-wa-dha), অর্থ: আশ্রয় দেওয়া, নিরাপত্তা চাওয়া, রক্ষা করা

❝عَوَّذَ يُعَوِّذُ تَعْوِيذًا❞ — কারো জন্য রক্ষা বা আশ্রয় কামনা করা (যেমন দোয়া পড়ে বা কিছু পড়ে ফুঁ দেওয়া)।


🔹 তাফ্ঈলা (تَفْعِيلَةٌ) ফর্মে অর্থ:

تَعْوِيذَةٌ মানে হচ্ছে — এমন কিছু যা দ্বারা রক্ষা বা আশ্রয় চাওয়া হয়।

অর্থাৎ, তাবিজ বা তাবারুক— এমন কিছু লিখিত বা পরিধানযোগ্য বস্তু, যা মানুষ বিভিন্ন বিপদ বা অনিষ্ট থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।


🔹 সমার্থক শব্দ: رُقْيَةٌ — ঝাড়ফুঁক বা দোয়া পড়া, حِرْزٌ — নিরাপত্তামূলক বস্তু

تَعْوِيذَةٌ শব্দটি এসেছে ع-و-ذ ধাতু থেকে, যার মূল অর্থ ‘আশ্রয় চাওয়া’। এই শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় এমন কিছু বস্তু যা মানুষ রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, যেমন দোয়া, লিখিত আয়াত, বা পরিধেয় কিছু—যাকে বাংলা ভাষায় “তাবিজ” বলা হয়।

পারিভাষিকঃ তাবিজ (আরবি: تعويذة‎ বা تميمة) বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যা মানুষ ঝুলিয়ে রাখে কিংবা গলায় পরে, এটি বিশ্বাস করে যে তা তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে, রোগ সারাবে বা উপকার করবে। এটি কখনো কুরআনের আয়াত, কখনো হাদীস, আবার কখনো নাম-না-জানা অদ্ভুত চিহ্ন, সংখ্যা বা জিন-শয়তান-সম্পর্কিত কিছু দিয়ে বানানো হয়।


📖 কোরআন থেকে দলিল

আল্লাহ তা’আলা বলেন:

وَإِن يَمْسَسْكَ ٱللَّهُ بِضُرٍّۢ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَ ۖ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍۢ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِۦ ۚ يُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦ ۚ وَهُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

অর্থ: “আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোনো কষ্টে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া কেউ তা দূর করতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমার জন্য কোনো কল্যাণ চান, তবে কেউ তাঁর অনুগ্রহ রোধ করতে পারবে না।”
(সূরা ইউনুস, আয়াত ১০৭)

🔍 এই আয়াত থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়—কোনো বস্তু, তাবিজ, তামিমা ইত্যাদি নিজে থেকে উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না।

⚖️ তাবিজের হুকুম শরীয়তের আলোকে

 

তাবিজের হুকুম তার ভেতরের উপাদান ও উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে। এটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

১. যা স্পষ্ট শিরক

যদি তাবিজে এমন কিছু লেখা থাকে যা কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী, যেমন—জিন, শয়তানের সাহায্য চাওয়া, যাদু, কালো বিদ্যা বা অজ্ঞাত লিপি—তাহলে তা স্পষ্ট শিরক।

📖 হাদীস:
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ:
«إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ»
رواه أبو داود (3883) وصححه الألباني

অর্থ: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি: “নিশ্চয়ই রুকইয়া, তামিমা (তাবিজ) এবং তিওয়ালাহ (ভালোবাসা বৃদ্ধির যাদু) শিরক।”
(সূত্র: আবু দাউদ ৩৮৮৩, সহীহ বলেছেন শাইখ আলবানী)


২. যা সন্দেহজনক (مشبوه)

যদি তাবিজে কুরআন বা সহীহ দুআ লেখা থাকে, কিন্তু তা সঠিকভাবে বোঝা যায় না, অদ্ভুত চিহ্ন বা সংখ্যা যুক্ত থাকে, এবং সঠিক বিশ্বাস ও নিয়ম ছাড়া ব্যবহৃত হয়—তাহলে তা বিদআত এবং সন্দেহজনক, যা এড়িয়ে চলা উত্তম।


৩. যা কুরআন ও হাদীসের আয়াতসমূহ নিয়ে বানানো

ইমাম আহমদ, ইবনে তায়মিয়াহ ও অন্যান্য বহু আলিমের মতে, এমন তাবিজ যা শুধুমাত্র কুরআনের আয়াত, দুআ ও আল্লাহর নাম নিয়ে বানানো এবং তাতে শিরকের কিছু নেই—তা ‘জায়েয’ হতে পারে তবে নিরুৎসাহিত।

📖 ইবনে আবী শাইবা (মুসান্নাফ):
عن سعيد بن جبير قال: لا بأس أن يعلق الإنسان القرآن إذا كان في جلده أو في قصبة
(المصنف ৫/৪৩৯)

অর্থ: সাঈদ ইবন জুবাইর (রহঃ) বলেন: যদি তাতে কেবল কুরআন থাকে এবং তা চামড়ায় বা বাঁশে লেখা হয়, তাহলে এতে কোনো দোষ নেই।

কিছু সাহাবী ও তাবেয়ীন থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা কুরআনের আয়াত লিখে তাবিজ বানিয়েছেন। এজন্য কিছু ফকীহ শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন।

📚 ইমাম ইবনে আবি শাইবাহ (রহ.) বলেন:

رَخَّصَ ابْنُ سِيرِينَ وَعِكْرِمَةُ فِي التَّعْوِيذِ يُعَلَّقُ عَلَى الإِنْسَانِ مِنَ القُرْآنِ.
مصنَّف ابن أبي شيبة، ৫/৪৩৯

🔹 অর্থ: ইবন সিরীন ও ইক্রিমা কুরআনের আয়াতের উপর ভিত্তি করে তৈরি তাবিজ ঝুলিয়ে রাখার অনুমতি দিয়েছেন।

➡️ কিন্তু ইবনে মাসউদ (রাঃ), ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ সাহাবা তাবিজের সবধরনের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছেন।


🧿 তাবিজ এবং তামিমার পার্থক্য

🔹 তাবিজ (تعويذ) কী?

তাবিজ শব্দটি এসেছে আরবি “تعويذ” (taʿwīdh) থেকে, যার অর্থ হলো—”কোনো কিছুর মাধ্যমে দোয়া বা ঝাড়ফুঁক করে ক্ষতি থেকে রক্ষা চাওয়া”। তাবিজ সাধারণত এমন কাগজ বা বস্তু যা তাতে কুরআনের আয়াত বা দোআ লিখে মানুষের গলায়, হাতে বা অন্য কোথাও ঝুলিয়ে দেয়া হয়, যাতে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

🔸 তাবিজ যদি কেবল কুরআনের আয়াত বা সহীহ হাদীসের দোয়া সম্বলিত হয় এবং তা শরীয়তের সীমার মধ্যে থাকে, তাহলে তা কিছু আলেমের মতে “মুবাহ” (অনুমোদনযোগ্য)। তবে একে ব্যবহার করার ব্যাপারে সাহাবীদের যুগে ভিন্নতা ছিল।


🔹 তামিমা (تميمة) কী?

তামিমা হলো এমন একটি বস্তু যা মানুষ বিশ্বাস করে, এর মধ্যে এমন অলৌকিক ক্ষমতা আছে যা তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে অথবা অসুখ ভালো করবে। এটা সাধারণত কোন সূরা ছাড়াই, হিন্দুয়ানা প্রভাবিত বা জাহেলিয়াত আমলের জিনিস যেমন—হাড়, ধাতব বস্তু, নীল পাথর, ঝুমঝুমি, কালো সুতা ইত্যাদি হয়।

📌 শরিয়তের দৃষ্টিতে, তামিমা সম্পূর্ণরূপে হারাম এবং শিরক এর অন্তর্ভুক্ত যদি কেউ বিশ্বাস করে যে এটি নিজে থেকে উপকার বা ক্ষতি করতে পারে।

📖 হাদীস:
مَن تعلَّقَ تميمةً فقد أشركَ
رواه أحمد (17440)، وصححه الحاكم

অর্থ: যে ব্যক্তি তামিমা ঝুলায়, সে শিরক করল। (মুসনাদে আহমাদ ১৭৪৪০)


📚 যারা কুরআন ও হাদীস জানেন, তাদের জন্য তাবিজ কি প্রয়োজনীয়?

একজন মুসলমান, বিশেষ করে যারা কুরআন-হাদীস পড়তে ও বুঝতে পারেন—তাদের জন্য তাবিজের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং সরাসরি দুআ, যিকর ও রুকইয়াহ করাই সুন্নাহ।

📖 কুরআন:
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
(سورة الإسراء: 82)

অর্থ: আমি কুরআনের এমন কিছু নাজিল করি, যা মুমিনদের জন্য শিফা (আরোগ্য) ও রহমত।
(সূরা ইসরা ৮২)

➡️ তাই, নিজে নিজে কুরআনের দুআ পাঠ করাই উত্তম।


🌟 তাবিজ কি সুন্নাতে সাহাবা ছিল?

 

না, সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে কেউও তাবিজ ঝুলাতেন না। বরং ইবনে মাসউদ (রাঃ) স্পষ্টভাবে তাঁর স্ত্রীর গলায় তাবিজ দেখে ছিঁড়ে ফেলেন।

📖 আথার:
عن زينب امرأة عبد الله أنها قالت: رأى عبد الله في عنقي خيطاً فقال: ما هذا؟ فقلت: خيط رقي لي فيه، فقطعه وقال: إن آل عبد الله لأغنياء عن الشرك
(رواه ابن أبي شيبة ٥/٣٩)

অর্থ: ইবনে মাসউদের (রাঃ) স্ত্রী বলেন: আমার গলায় একটি তাবিজ ছিল। তিনি তা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, “এটি কী?” আমি বললাম, “এটি আমার জন্য ঝুলানো হয়েছিল রুকইয়ার জন্য।” তিনি তা ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “আল্লাহর কসম, আব্দুল্লাহর পরিবার শিরকের মুখাপেক্ষী নয়।”
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫/৩৯)

বিখ্যাত তাবেয়ি ইবনু সীরীন (রহ.) বলেন:

كَانُوا يَكْرَهُونَ التَّمَائِمَ كُلَّهَا، مِنَ القُرْآنِ وَغَيْرِهِ

অর্থ: তারা (সাহাবিগণ) সব ধরণের তাবিজকে অপছন্দ করতেন, হোক তা কুরআন থেকে বা অন্য কিছু থেকে।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা: ২৩৫৪৫)

তবে কিছু সালাফ তাবিজ ব্যবহার করেছেন, যা কেবল কুরআনের আয়াত সম্বলিত এবং শিরক-মুক্ত ছিল।


💰 তাবিজ দিয়ে হাদিয়া/টাকা নেয়া কি বৈধ?

 

এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, শরয়ী দৃষ্টিতে তাবিজ লেখা বৈধ কি না, এবং তা দিয়ে টাকা নেয়া বৈধ কি না?

যদি তাবিজ কুরআনের আয়াত দ্বারা হয় এবং এতে শিরক বা জাদুর উপাদান না থাকে, তবে

তাবিজ লেখার পর কেউ নিজের খুশিতে হাদিয়া দেয়, সেটি গ্রহণ করা জায়েজ

তবে তাবিজ লেখা ব্যবসা বানিয়ে টাকা দাবি করা, নির্ধারিত পারিশ্রমিক চাওয়া, বা লোভের আশায় তা লেখা— তা নিন্দনীয় এবং তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী।


📖 কুরআনের দলিল:

اللَّهُ يَشْفِي وَيَكْشِفُ الضُّرَّ
﴿وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ﴾

🔹 উচ্চারণ: Wa ʾidhā mariḍtu fahuwa yashfīn

🔹 অর্থ: “আমি যখন অসুস্থ হই, তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দেন।”
📚 সূত্র: সূরা আশ-শু‘আরা: ৮০

➡️ এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, রোগ মুক্তির জন্য সরাসরি আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত। তাবিজকে কার্যকর বিশ্বাস করা তাওহিদের খিলাফ।


🧕 সাহাবীদের যুগে হাদিয়া নেয়া প্রসঙ্গে:

হুজুর (ﷺ) কুরআন শেখানোর বিনিময়ে হাদিয়া গ্রহণ বৈধ করেছেন। যদি তাবিজে শুধুমাত্র কুরআন লিখে দেয়া হয়, এবং কেউ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কিছু উপহার দেয়, তা গ্রহণ করা জায়েজ

📖 সহীহ হাদীস:

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: انْطَلَقَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ فِي سَفَرٍ… فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْفَاتِحَةَ فَشُفِيَ، فَأَعْطَاهُمْ غَنَمًا… فَأَتَوْا النَّبِيَّ ﷺ، فَقَالَ:
«وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ؟ خُذُوا الْغَنَمَ، وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ»
📚 সহীহ বুখারী: ৫৭৩৬

🔹 অর্থ: সাহাবীরা সূরা ফাতিহা পড়ে এক রোগীকে আরোগ্য করে এবং বিনিময়ে কিছু পশু উপহার পান। রাসূল (ﷺ) বলেন, “কে তোমাদের বলল এটা রুকিয়া? (অর্থাৎ এটা রুকিয়া হিসেবে সহীহ)। এগুলো গ্রহণ করো এবং আমার জন্যও একটি অংশ রেখো।”

➡️ বোঝা গেল, কুরআনের দ্বারা শিফা দেয়া ও হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ, তবে সেটা তাবিজে প্রয়োগ করলে শুধুমাত্র যদি শিরক-মুক্ত হয়।


⚠️ সাবধানতা:

🔸 অনেকে তাবিজে এমনসব অদ্ভুত চিহ্ন, জিনের নাম, অজ্ঞাত বানান বা যাদু লিখে দেন—এসব শিরক ও হারাম

🔸 তাবিজ দিয়ে উপার্জন মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়।

🔸 রোগের আরোগ্য একমাত্র আল্লাহর হাতে—এ বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে।


সারসংক্ষেপ:

বিষয় হুকুম
কুরআনের আয়াত/দোআ দ্বারা তাবিজ কিছু আলেম বৈধ বলেছেন (শর্তসাপেক্ষে)
তাবিজে অজ্ঞাত শব্দ, যাদু, জিন ইত্যাদি স্পষ্ট হারাম ও শিরক
হাদিয়া/উপহার গ্রহণ (তাবিজে কুরআন থাকলে) জায়েজ, যদি কেউ স্বেচ্ছায় দেয়
পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তাবিজ লেখা অনুচিত, লোভের শামিল

🔚 উপসংহার

  1. তাবিজ যদি শিরকসম্বলিত হয়, তবে তা স্পষ্ট হারাম।

  2. শুধুমাত্র কুরআনের দুআ লেখা থাকলেও তা ঝুলিয়ে পরা সুন্নাহ নয় বরং ইখতিলাফ আছে।

  3. সাহাবায়ে কেরাম তাবিজ ব্যবহার করতেন না।

  4. যারা কুরআন-হাদীস পড়তে জানে, তাদের জন্য তাবিজের কোনো প্রয়োজন নেই, বরং নিজের মুখে দুআ পড়াই প্রকৃত সুন্নাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓا۟ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

অর্থ: “তোমরা যদি প্রকৃত মুমিন হও, তাহলে একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা করো।”
(সূরা মায়িদা, আয়াত ২৩)


📌 আপনার করণীয়:

  • রুকইয়াহ পড়ুন ও শুনুন

  • নিয়মিত যিকর করুন

  • নিজের ঈমান ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন


✍️ লিখেছেন:মাহবুব ওসমানী


মাহবুব ওসমানী — একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক এবং Islamidawahcenter.com এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কুরআন ও সহীহ হাদীসভিত্তিক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

🔗 সূত্র:

  • কুরআনুল কারীম

  • সুনান আবু দাউদ

  • মুসনাদ আহমাদ

  • মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা

  • সহীহুল জামে, শাইখ আলবানী (রহ.)

  • ফাতাওয়া ইসলামিক স্কলার্স

 

To learn more, comment below or message us on wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 or call us at +44-73801-27019. Email at hi@islamidawahcenter.com

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।