bahlul/বাহলুল

খলীফা হারুনুর রশীদ এর শাসন আমলে bahlul/বাহলুল নামে এক পাগল ছিল। যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো। কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন খলীফা হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
খলীফা হারুনুর রশীদ তাকে ডেকে বললেন, “bahlul/বাহলুল, ওহে পাগল..!!
তোমার কি আর জ্ঞান ফিরবে না..?”
bahlul/বাহলুল খলীফার এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে চিৎকার দিয়ে বললেন- “ওহে হারুন, ওই পাগল..!! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না..?”
খলীফা হারুনুর রশীদ গাছের নিচে এসে bahlul/বাহলুল কে বললেন, “আমি পাগল নাকি তুমি, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে..?”
bahlul/বাহলুল বললেন, “আমিই বুদ্ধিমান।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “কীভাবে..?”
bahlul/বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, “আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস। এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গীনশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল..?”
bahlul/বাহলুল এর মুখে এ কথা শোনার পর খলীফা হারুনুর রশীদ এর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন, “খোদার কসম..!! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও..!!”
bahlul/বাহলুল বললো, “তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কোরআন যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধরো।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “bahlul/বাহলুল, তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বলো, আমি তা পূরণ করবো।”
bahlul/বাহলুল বললেন, “হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে। এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবো।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “তুমি নিঃসঙ্কুচে চাইতে পারো।”
bahlul/বাহলুল বললো, “মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
bahlul/বাহলুল বললো, “আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
bahlul/বাহলুল বললো, “আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।”
খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন, “আমার পক্ষে এটাও সম্ভব নয়।”
bahlul/বাহলুল বললেন, “তবে জেন রাখো, তুমি বাদশাহ নও বরং তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।”
**** আমাদের জন্য শিক্ষা হলো,
“আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার গোলাম, তাঁরই অধীনস্থ। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর আনুগত্য, তাঁর দাসত্ব করার তাওফিক দান করুন। সুতরাং, যা কিছু চাওয়ার কেবলমাত্র তাঁর কাছেই চাইতে হবে।”
একজন মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লাভের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কারণ হাদিসে দোয়াকেই বলা হয়েছে ইবাদত। পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা, যাকে বলা হয়েছে উম্মুল কোরআন বা কোরআনের মূল বা সারমর্ম, সেই সুরা ফাতিহাতেই মহান আল্লাহ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে আমরা তার কাছে হেদায়েত বা সঠিক পথ পাওয়ার জন্য দোয়া করব।  সুরা বাকারার ১৮৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দা তোমার কাছে আমার সম্বন্ধে জানতে চাইবে, তখন তুমি বলে দিও যে, আমি নিকটেই আছি; প্রার্থনাকারীর প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে থাকি। সুতরাং তারাও যেন আমার আহ্বানে সাড়া প্রদান করে এবং আমার প্রতি ইমান আনে, তাহলে তারা সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে।’ সুরা গাফিরে বলা হয়েছে- ‘আর তোমার রব বলছেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা অহঙ্কার করে আমার ইবাদত থেকে বিরত থাকবে, অচিরেই তারা জাহান্নামে লাঞ্ছিত অবস্থায় দাখিল হবে’ (আয়াত : ৬০-৬১)।  সুরা আরাফে বলা হয়েছে, আল্লাহর  রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম; সেগুলো দিয়ে তোমরা তাকে ডাক (আয়াত :১৮০)। কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এভাবেই দোয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নিজের জন্য, সন্তানের জন্য, সন্তান লাভের জন্য, মাতাপিতার জন্য, পরিবারের জন্য, আত্মীয়দের জন্য, অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য কীভাবে দোয়া করতে হবে, তাও কোরআনে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিপদে পতিত হলে কিংবা অসুস্থ হলে কীভাবে আল্লাহকে ডাকতে হবে, কিছু প্রয়োজন হলে তা কীভাবে চাইতে হবে, আল্লাহ তা বলে দিয়েছেন।

আইডিসির সাথে যোগ  য়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )