umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয

রাস্তা-ঘাটে, অলি-গলিতে চক্কর দিয়ে ঘোষক ঘোষনা করছে। ঘোষক উচ্চকন্ঠে বলে চলছে-
– যে ব্যক্তি বিয়ে করতে চায়, তাকে আমরা বিয়ে করিয়ে দেবো।
– যে ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করতে চায়, তাকে আমরা ঘর নির্মাণ করে দেবো।
– যে ঋণগ্রস্থ, ঋণ পরিশোধ করতে পারছেনা; তার ঋণ আমরা পরিশোধ করে দেবো।
– যে ব্যক্তি হজ্জ বা ওমরা করতে চায়, তাকে আমাদের খরচে হজ্জ বা ওমরা করাবো।
দুঃখিত, এই কথাগুলো এ যুগের নয়। এই কথাগুলো এ যুগের এমন কেউ বলেনি; যে যুগে মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, তেল, পেট্রল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। এই কথাগুলি এমন যুগের কারও নয়, যে যুগে মুসলিম বিত্তশালীরা বিলাসবহুল গগনচুম্বী অট্রালিকায় শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আয়েশ করে। যে যুগের ধনীরা শুধু ধনী হতে থাকে, আর দরিদ্ররা আরও দরিদ্র।
বরং কথাগুলো আজ থেকে প্রায় সাড়ে তেরো শত বছর পূর্বে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. বলেছেন।
কথাগুলো umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. -এর কাছে যখন লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাকাত এর মাল নিয়ে আসলো, তখন বলেছিলেন। umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. লোকদের সম্বোধন করে বলেছিলেন- এই মাল ফকিরদের মধ্যে বিতরন করে দাও।
– মুসলিম উম্মাহর মাঝে কোনো ফকির নেই!
-তাহলে এই যাকাত এর মাল দিয়ে মুজাহিদ বাহিনীদের রণসাজে সজ্জিত করে দাও।
– মুজাহিদ বাহিনীগুলো তো সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে!
-তাহলে এই যাকাত এর মাল দিয়ে যুবকদের বিয়ে করিয়ে দাও।
-বিবাহেচ্ছুকদের বিয়ে করিয়ে দিয়েছি, এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই যাকাত এর মাল দিয়ে ঋণগ্রস্তদের ঋণ আদায় করে দাও।
-আদায় করে নিয়েছি, কিন্তু এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে দেখো কোনো ঋণগ্রস্থ ইহুদী/খৃষ্টান পাও কি না, পেলে ঋণ আদায় করে দাও।
-করে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই যাকাত এর মাল আহলে ইলমদের দিয়ে দাও।
-দিয়ে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
এবার umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. বললেন- তাহলে এই মাল দিয়ে গম কিনে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ছিটিয়ে দাও, যাতে এই কথা বলা না হয় যে, মুসলমানদের দেশে পাখ-পাখালিরা উপোষ রয়েছে!!!
সূত্র- (কিতাবুল আমওয়াল, ৬২৫-৬৩৬। ইমাম আবু উবাইদ ক্বাসিম ইবনে সাল্লাম রাহ.)
লিখেছেনঃ মাওলানা Ainul Haque Qasimi হাফিজাহুল্লাহ
umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ. সম্ভবত ৬৮০ সালে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন উমাইয়া  বংশের একজন শাসক। উমাইয়া বংশীয় অন্যান্য শাসকদের মতো তাকেও মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবে গণ্য করা হয়। খুলাফায়ে রাশেদিন এর চার খলিফার সাথে তুলনা করতে গিয়ে অনেকে তাকে ইসলামের পঞ্চম খলিফা বলে থাকেন। umor ibne abdul aziz/ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ.  ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় উমর নামে পরিচিত ছিলেন। তাকে ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ বলে গণ্য করা হয়।

আইডিসির সাথে যোগ  য়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )