Display Is Dangerous For Muslim Women-প্রদর্শন ও আকর্ষণ দুটোই মহা বিপজ্জনক মুসলিম নারীদের জন্য
Islamic Education
0
Display Is Dangerous For Muslim Women-প্রদর্শন ও আকর্ষণ দুটোই মহা বিপজ্জনক মুসলিম নারীদের জন্য
নিজেকে অন্যের সামনে ফুটিয়ে তোলাকে প্রদর্শন এবং অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করাকে আকর্ষণ, এ ধরণের মানসিকতা নারী পুরুষ সকলের মাঝেই বিদ্যমান।
তবে নারীর মাঝে তুলনামূলক বেশি থাকে।
আল্লাহ পুরুষকে দৈহিক কোমলতা ও কমনীয়তা দিয়ে সৃষ্টি করেননি এবং সাজ-সজ্জা বা অলংকার গ্রহণের অনুমতি দেননি।
পৃথিবীর যত স্বর্ণ সব নারীর জন্য, পুরুষের জন্য তা হারাম।
যত রেশমী বস্ত্র সব নারীর জন্য পুরুষের জন্য তা নিষিদ্ধ।
মনি-মুক্তা হিরা জহরত আরো কত শত অলংকার সব নারীর জন্য। রূপ-সৌন্দর্যের সবটুকুই যেন আল্লাহ দিয়েছেন নারীকে।
কোমলতা কমনীয়তা শুধুই নারীর হিস্যা।
নারীর রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে রচিত হয়েছে কত শত কবিতা ও গান।
সুতরাং আকর্ষণ ও প্রদর্শনের প্রবণতা নারীর মাঝে বেশি পরিমাণে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আল্লাহর শাস্বত বিধান হলো, সবকিছুতে পরিমাণ ও পরিমিতিবোধ বজায় রাখা।
তিনি মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার স্বীমারেখা।
আর তা মানুষেরই কল্যাণার্থে।
আল্লাহর দেয়া স্বাধীনতা ও নেয়ামত ভোগের ক্ষেত্রে তাঁর স্বীমারেখা লংঘনই যতো অনর্থের মূল।
নারীর রূপ-সৌন্দর্যের ব্যবহার ও এর স্বীমারেখা হিসেবে আল্লাহ দিয়েছেন পর্দার বিধান।
পর্দায় ইসলামের যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে তার অন্যতম হলো, পর পুরুষের সামনে সাজ-সজ্জা ও রূপ-সৌন্দর্য প্রদর্শন না করা এবং পরপুরুষকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করা থেকে বিরত থাকা।
বিয়ে-বাড়িতে বা যে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হবে।
সেখানে শত পুরুষের সামনে নিজেকে প্রদর্শন করতে হবে।
দুঃখিত এই মন্তব্যের জন্য যে এখন অনেক পরিবার ভাবে, মেয়েকে প্রদর্শন করতে হবে,মানুষের সামনে মেয়েকে অপ্সরী হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে।সুতরাং সাধ্যমত সুন্দর পোশাক পরতে হবে এবং সবচেয়ে সুন্দর সাজে সাজতে হবে।
নিজে নিজে সাজলে হবে না পার্লারে গিয়ে সাজতে হবে।
এমনিভাবে নিজেকে সবচেয়ে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।পর্দার সীমা যায় যাক গোল্লায়।
এই হল প্রদর্শনের মানসিকতা।
কোনো কোন ক্ষেত্রে সন্তানের মানসিকতা এমন, আবার কোনো ক্ষেত্রে এটা সন্তান মা-বাবা সকলের মানসিকতা।
এই মানসিকতা অজান্তে সন্তানের এবং পরিবারের সর্বনাশ ডেকে আনছে। আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করছে। দুনিয়া-আখেরাত সব বরবাদ করছে। সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার পর মা-বাবা সমাজ সবাই ভাবছে, হায় হায় কী হয়ে গেলো।
এরূপ প্রদর্শন আল্লাহর দেয়া রূপ সৌন্দর্যের নেয়ামতের চরম না-শুকরী ও হঠকারিতা।
রূপ-সৌন্দর্য তো আল্লাহর দান।
কিন্ত সৌন্দর্য গোপন রাখার নির্দেশকে লংঘন করে সে নিজেকে শুধু অসন্মানিতই করেনি বরং অসভ্যতা ও অশ্লীলতার অতলে নিক্ষেপ করেছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
“আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।”
(সূরা তীন: ৪-৫)
আল্লাহপাক আরো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চেহারার নেয়ামতের কথাঃ-
يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاءَ رَكَّبَكَ
“হে মানুষ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার সেই মহান প্রতিপালক সন্মন্ধে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে।
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাকে সুগঠিত করেছেন ও তোমাকে সুসমঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন।
যেই আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে গঠন করেছেন।”
(সূরা ইনফিতার: ৬-৮)
সুতরাং কীভাবে আমি আমার চেহারা ও সৌন্দর্যের দ্বারা তাঁর নাফরমানীতে লিপ্ত হই?
আর নেয়ামতের না-শুকরীর পরিণাম তো ভয়াবহ।
কুরআনের ভাষায় প্রদর্শনকে বলা হয় ‘তাবাররুজ’ যা জাহেলিয়াতের নারীদের বৈশিষ্ট্য।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তা থেকে নিষেধ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছেঃ-
وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
“তোমরা তোমাদের সাজ-সজ্জা প্রদর্শন করে বেড়িও না, যেমন প্রাচীন জাহেলী যুগে প্রদর্শন করা হতো।”
(সূরা আহযাব:৩৩)
তাছাড়া এটা এমন গুনাহ যা শুধু নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ নয় বরং অন্যকেও গুনাহ করতে প্ররোচিত করে।
ফলে তার পাপের দায়ও নিজের কাঁধে চলে আসে।
নিজের অজান্তেই পাপের বোঝা ভারী হয়।
আল্লাহ বলেননি যে, নারী সাজ-সজ্জা গ্রহণ করতে পারবে না, বরং স্বর্ণ ও সাজ-সজ্জার যতো সরঞ্জাম সব নারীর জন্য; পুরুষের জন্য তো হারাম। অলংকার পরবে শুধু নারী, পুরুষ নয়। রেশমী কাপড় পরিধান করবে নারী,পুরুষ নয়।
তবে আল্লাহ নারীকে অলংকার গ্রহণের ও রূপ সৌন্দর্য্য প্রকাশের স্বীমারেখা বলে দিয়েছেন, যাতে নারী বিপদের সম্মুখীন না হয়।
বলে দিয়েছেন যতো খুশি সাজো কিন্তু স্বামী, পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সামনে ছাড়া তা প্রদর্শন করো না।
ইরশাদ হয়েছেঃ-
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”
(সূরা নূর: ৩১)
সুতরাং হে প্রিয় বোনেরা! সাজ-সজ্জার প্রকাশ এমন ভাবে করবেনা যা তোমার আল্লাহ তোমাকে নিষেধ করেছেন এবং এমন ক্ষেত্রে কেন করব যা বিপদ ডেকে আনে।
এবার আসি বোনদের আকর্ষণজনিত গুনাহের কথা।
সকলের দৃষ্টি আমার দিকে ফেরাতে হবে।
এ জন্য আমাকে যত ধরণের সাজ-সজ্জা আছে সব গ্রহণ করতে হবে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় পোশাক পরতে হবে; স্কীন টাইট, শর্ট, পাতলা,যা দ্বারা শরীর কোনভাবেই আবৃত বলা যায়না। চুল বিশেষ ধরণের কালার করতে হবে বা খোপা বাঁধতে হবে আকর্ষণীয় ঢংয়ে বা চুল কাটতে হবে বিশেষ স্টাইলে।
ভ্রু প্ল্যাক করতে হবে।
দু একটি নখ রাখতে হবে ইয়া লম্বা। দুল, লিপস্টিক, নেল পালিশ সব হতে হবে ম্যাচিং করে।
সুগন্ধী ব্যবহার করতে হবে নামী দামী ব্রান্ডের।
অঙ্গভঙ্গী, কথার আওয়াজ ও স্টাইল, হাঁটার ঢং সব হতে হবে আকর্ষণীয়। মোট কথা, যে কোন মূল্যে নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে পেশ করতে হবে।
এই যে মানসিকতা, একবার ভেবে দেখেছি, তা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
আমার স্রষ্টা যিনি আমাকে দান করেছেন রূপ-সৌন্দর্য তাঁর রহমত থেকে আমি কত দূরে সরে যাচ্ছি! মানুষকে আমার প্রতি দেখতে বাধ্য করছি আর আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে কতটা দূরে ঠেলে দিচ্ছি!
আমি ঐসব নারীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছি না তো যাদের ব্যাপারে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ-
“কতক নারী আছে যারা পোশাক পরেও নগ্ন, যারা (পরপুরুষকে) আকর্ষণকারী ও (পরপুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট।
যারা বুখতী উটের হেলানো কুঁজের মত মাথা বিশিষ্ট।
এরা জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস:২১২৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:৮৬৬৫)
ইসলাম নারীকে নিরাপদ রাখতে আকর্ষণের ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে যা মেনে চললে নারীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
নারীর স্বর কোমল ও আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
যা স্বভাবতই পরপুরুষকে আকৃষ্ট করে। সুতরাং প্রয়োজনে পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময় নারীকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
সাথে সাথে এ দিকেও খেয়াল রাখতে হবে যে, কথার বাক্য ও বিষয়বস্ত যেন অশালীন না হয়।
মোবাইলে কথা বলার সময় তো একজন আরেকজনকে দেখছে না সে ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খেয়াল রাখা আরো বেশী জরুরী।
শুধু পরপুরুষ আমাকে দেখছে না এতটুকুই ফিৎনা থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ট নয়।
আল্লাহ তাআলা দেখুন বিষয়টি বলে দিয়েছেনঃ-
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
“যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তাহলে পরপুরুষের সাথে কোমল স্বরে কথা বলো না।
এতে যার অন্তুরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হবে।
এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলো।”
(সূরা আহযাব: ৩২)
নারীর নূপুরের ঝংকার পুরুষের মনে দোলা দেয়।
কিন্তু তা যেন শয়তানকে সাহায্য না করে।
নারীকে বিপদে না ফেলে পরপুরুষের কু-বাসনা জাগিয়ে না তোলে। অপ্রকাশিত সাজ-সজ্জাও যেনো প্রকাশ পেয়ে না যায় তাই আল্লাহ নারীকে সজোরে পদক্ষেপ না ফেলতে বলেছেন।
ইরশাদ করেছেনঃ-
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ
“নারীরা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।”
(সূরা নূর: ৩১)
আর সুগন্ধি আকর্ষণের এমন একটি মাধ্যম যা দৃষ্টি-অবনত ব্যাক্তিকেও আকৃষ্ট করে।
সুতরাং এ বিষয়ে কতটা সতর্ক থাকা দরকার তা নিজেরাই ভেবে দেখি। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘‘প্রত্যেক চোখ যিনা করে।
আর কোন নারী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিশের পাশ দিয়ে যায় তাহলে সে এই, এই (অর্থাৎ সেও নযরের যিনা বা সরাসরি যিনার প্রতি প্রলব্ধুকারী হিসেবে গণ্য)।”
(জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৭৮৬)
যারা বোরখা পরেন তাদেরকে মোবারকবাদ।
আর যারা পরেন না তাদের জন্য শুভকামনা।
আমি বলছি না যে, বোরখা পরলেই পূর্ণ পর্দা হয়ে গেলো বরং বোরখা পর্দার একটি বড় মাধ্যম।
আসল কথা হলো, আল্লাহ আল্লাহর রাসূল সাঃ পর্দা বিষয়ক যত নির্দেশনা দিয়েছেন তা যথাযথ মেনে চলতে সচেষ্ট হওয়া।
যারা বোরখা পরেন তাদের ভাবা দরকার আমার পর্দার যেন দিন দিন উন্নতি হয়।
আমি তাকওয়ার আরও নিকটবর্তী হতে পারি।
এজন্য মাঝেমধ্যে পর্দা বিষয়ক ইসলামের নির্দেশনাগুলো পড়া এবং নিজেকে যাচাই করে নেওয়া যে, কোনো ক্ষেত্রে আমার মাঝে শিথিলতা আছে কিনা।
আল্লাহ সাজ-সজ্জা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন।
কিন্তু এমন হচ্ছে না তো যে, আমার বোরখাই এক প্রকার সাজ-সজ্জা হয়ে গেলো।
বোরখা তো ‘যীনাত’ বা সাজ-সজ্জা ঢাকার জন্য।
বিষয়টা অনেকেই খেয়াল করেন না।
এরপর থাকলো উপরের আকর্ষণ ও প্রদর্শন শিরোনামে যে আলোচনা করা হলো এসব ক্ষেত্রে আমার অবস্থা কী? ইতিবাচক না নেতিবাচক?
কারণ, বোরখা গ্রহণের পরও আকর্ষণ-প্রদর্শন হতে পারে, যদি আল্লাহর ভয়ে পর্দা না করি।
আমি বোরখা গ্রহণ করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি অনেকদূর অগ্রসর হতে পেরেছি। কিন্তু শুধুই বোরখা গ্রহণ করেছি নাকি আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলের দেয়া পর্দার বিধান মন থেকে গ্রহণ করতে পেরেছি এবং আল্লাহর ভয়ে নিজ থেকেই তা পালন করছি-এটা ভেবে দেখা দরকার।
এবার আসি আমার সেই বোনদের ব্যাপারে যারা এখনো নিজেদের পর্দার আওতায় আনতে পারেননি।
এটি আপনার নিজের দুর্বলতা ও আপনার মহান রবের প্রতি অকৃতজ্ঞতা।এটা কি আপনি মানেন যে আপনার মালিক আপনার বিষয়ে অধিক অবহিত ?
তিনি আপনার কল্যাণ চান এবং চূড়ান্ত বিচারে আপনি জান্নাতের অধিবাসী হোন, তাই চান? নিশ্চয়ই।
তাহলে শুনুনঃ-
১.পর্দা করা তেমনি একটি ফরজ বা বাধ্যতামূলেক যেমনি আল্লাহর উপর ঈমান আনা, নামাজ রোজা করা, মালদার হলে হজ্জ করা ও যাকাত দেয়া।
ঈমানদার হবার পর যেমন ঐ চারটি কাজ মুসলমান মাত্রই বিনা বাক্যে মানে এবং বিশ্বাস করে যে হিসাবের দিন সেগুলোর জন্য ধরা হবে।
পর্দার ব্যাপারটা কোনভাবেই এর ব্যত্যয় নয়।
২.পর্দার নানা প্রকার আছে।জিলবাব, বোরখা, হিযাব ও চাদর।
আমি বলছিনা আপনি পলিথিনে নিজেকে প্যাক করে ফেলুন কিংবা বাক্সবন্দি হোন।
আপনার চারপাশে বহু পর্দানশীন মহিলার গমনাগমন আছে।
আপনি সেটিই সিলেক্ট করুন যা আপনার মন সায় দেয়।
শুধু শালীনভাবে শরীর যেনো আবৃত হয়।
৩.আপনার শরীর যেমন কোন পাবলিক প্রপার্টি নয় তেমনি আপনিও এই দেহের মালিক নন।
সকল অংগ প্রত্যংগ আপনি ব্যবহারকারী মাত্র।
কাজেই এটাকে তার মালিক যেভাবে সংরক্ষনের কথা বলেছেন, ব্যবহারের কথা বলেছেন তার ব্যত্যয় কাম্য নয়। বৈধভাব যতটুকু যাদের সামনে দৃশ্যমান করা অনুমোদনযোগ্য কেবল ততটুকু সেখানে প্রদর্শন হবে।
৪.এমন নয় যে পর্দা মেনে চললে আপনার সমূহ স্বাস্থহানি হবে,আপনি সমাজচ্যুত হবেন, আপনি কর্মক্ষেত্র লান্চিত হবেন কিংবা পেশাগত দায়িত্বপালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন।
এর কোনটিই নয় বরং বিশ্বের সব পেশায় প্রায় দেশের মুসলিম নারীরা এখন পর্দা করেও সমান দক্ষতায় কাজ করছে,এমনকি অমুসলিম সমাজেও।
৫.আপনি প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে বেপর্দেগীর জন্য আল্লাহর অসন্তষ্টির শিকার হচ্ছেন আর শয়তান আপনাকে বেপর্দা করে আনন্দিত হচ্ছে। বিষয়টাতো এটুকুই নয়।
আপনার মোভমেন্ট দেখে কতক পুরুষ লালসার জল ফেলছে, অন্তরে বিষ উৎপাদন করছে।
আপনি সামান্য কিছু টের পেলেও এই সংখ্যা অসংখ্য।
এদের গুনাহগুলোও কিন্ত আপনার গুনাহের সাথে এড হচ্ছে।
ভেবেছেন কি?
ভাবছেন এটা অনেক কঠিন কাজ, লোকে কি বলবে?
না, মোটেও কঠিন নয়।
আল্লাহ বলেছেন,
”তোমরা যখন বের হও, তোমাদের চাদরটা মুখের উপর টেনে দিও৷”
এটা হচ্ছে, মূল পর্দা৷
এখন আপনার মাথা, গলা ও বুক ঢেকে থাকে আবার শরীরের ভাঁজও স্পস্ট হয়না এমন ঢিলেঢালা
মোটা যে কোন বস্ত্রের সাহায্য নিজেকে আবৃত করুন।
এটাই পর্দা।
এ বিতর্ক আপনার জন্য নয় যে চেহারা দেখা যাবে কি যাবেনা।
অন্ততঃ এভাবে শুরুটা তো হোক।
সকল প্রতিকূল পরিবেশে পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ঐ নারীর মত অবিচল থাকার তাওফীক দিন, যাকে এক বিদেশি সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলো, ‘‘এই প্রচন্ড গ্রীষ্মের গরমে আপনি কীভাবে মাথা ও শরীর ঢেকে থাকেন? আপনার কি গরম লাগে না?” তরুণীটি এর উত্তরে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করলেনঃ-
قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّا ۚ لَّوْ كَانُوا يَفْقَهُونَ
“বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম।
যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকতো।”
(সূরা তওবাঃ ৮১)
লেখাঃ জামান শামস।
আরও পড়ুন…
Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।

“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।

“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।

“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।

“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”

“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।

“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”

“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”

“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।

“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।

“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।

“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।

“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।

“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।

“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”

“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।

“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।

“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।

“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।

“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।

“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”

“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।

“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।

“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
Related Posts
Leave a Reply Cancel reply
Categories
- advices
- Ahle Hadis
- Allah
- Amal
- Arabic Communication
- Arabic Grammar
- Arif Azad
- Bangladesh
- Biography
- Child care
- Country
- Death
- Dowry
- Dua
- Education
- Eid
- Family
- Fasting
- Fatwa
- Gazwatul Hind
- Hadith
- Hajj
- Halal or Haram
- Humble
- Husband & Wife
- IDCM
- Iman
- Interest
- Islamic Books
- Islamic Days
- Islamic Economi
- Islamic Education
- Islamic FAQ
- Islamic Future
- Islamic History
- Islamic Lectures
- Islamic Life
- Islamic Politics
- Islamic Rules
- islamic song
- islamic story
- Jihad
- Jinn
- let's learn arabic
- Magic
- Marriage
- Mosque
- Motivation
- Muhammad SM
- Muslims
- News
- Parenting
- Patriotism
- Pending
- Personal Development
- Poet
- Pornography
- Press Release
- Prophets
- Quran
- Quran and Science
- Quran Interpretation
- Qurbani
- Relations
- Rizq
- Ruqyah
- Sacrifice
- Sadaqah
- Safety
- Sahaba
- Salah
- Salat
- Sex
- Sin
- Tajweed
- Taqwa
- Tasawwuf
- Tawba
- Tawhid
- Veil
- Weed
- Zakat
Recent Posts
- ব্যাংকে রাখা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর কি প্রতি বছর যাকাত আবশ্যক? – Zakat on Fixed Deposit – সমিতির টাকার ওপর জাকাত আসবে কি? March 25, 2023
- Symptoms of Bad and Good Death – খারাপ এবং ভালো মৃত্যুর আলামত সমূহ March 20, 2023
- Taweez in Islam – ইসলামে তাবিজ জায়েজ হলেও কেন তাবিজ থেকে দূরে থাকা উত্তম? March 20, 2023
- Dua to be rich – ধনী হওয়ার দোয়া/আমল- আজ থেকেই শুরু হোক ধনী হওয়ার পথচলা March 7, 2023
- Islam has never encouraged polygamy – ইসলাম একাধিক বিয়েকে কখনো উৎসাহিত করে নি! January 9, 2023