Greed overwhelms human judgment

Greed overwhelms human judgment-লোভ মানুষের বিচারবুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে রাখে

লোভ-লালসা মানুষকে অন্যায়-অবিচারসহ বিভিন্ন পাপাচারের দিকে দ্রুত ধাবিত করে। এটা মানুষের বিবেককে নষ্ট করার পাশাপাশি সামাজিক জীবন ধ্বংস করে দেয়। লোভের মতো নৈতিক ত্রুটি মানুষের জীবনকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি পরকালীন জীবনকে নষ্ট করে দেয়। এ জাতীয় মানুষের কারণে সমাজে ও দেশে বিভিন্ন রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। লোভী অল্পতে সে কখনো তৃপ্ত হয় না। যা অর্জন করে তার থেকে সর্বদা সে দ্বিগুণ কামনা করে।
তাসাউফ তথা আধ্যাত্মিকতার ভাষায় লোভকে আত্মার মারাত্মক রোগ হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়।
বেশি খাওয়া, পাওয়ার মানসিকতা ও খ্যাতি কামনাকে লোভ বলে। শরীরের রোগের মতো মনেরও ব্যাধি রয়েছে। শরীরের রোগের চিকিৎসা করা সুন্নত, আর আত্মার রোগের চিকিৎসা করা ফরজ। আত্মা যদি সঠিক পথে পরিচালিত না হয়, তাহলে জাহান্নাম অবধারিত। তাই সকল মুমিন-মুসলমানেরই উচিত হলো, আত্মার চিকিৎসার প্রতি গুরুত্ত্বারোপ করা।
কুরআনুল কারীমের “সূরা তাকাসুর” এ আল্লাহতায়ালা এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, ‘প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখে যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে।’
এ প্রসঙ্গে রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন, যদি আদম সন্তানকে স্বর্ণে ভরা একটি উপত্যকা পরিমাণ ধন-সম্পদ দেওয়া হয়, তবুও সে দ্বিতীয় উপত্যকার জন্য লোভাতুর থাকবে। আর যদি তাকে দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়। তাহলেও সে তৃতীয় উপত্যকা পাওয়ার জন্য লোভাতুর থাকবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া আর কিছুতেই ভরবে না। তবে যে তওবা করবে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। (সহীহুল বুখারী)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত , রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, আদম সন্তানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দু’টো জিনিসের আকাঙ্খা বাড়ে:-
১. ধন-সম্পদের ভালোবাসা
২. দীর্ঘায়ু কামনা।
(সহীহুল বোখারী)
গবেষক ও জ্ঞানীদের অভিজ্ঞতাও বলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ প্রচন্ড পরিমাণে বাড়তে থাকে।
আর কোন রোগই উস্তাদ-শাগরিদ, বুযুর্গ- অবুযুর্গ, শায়খুল হাদীস, মুহতামিম কিংবা নূরাণী-মক্তবের শিক্ষকের মাঝে তফাৎ করেনা। এমনকি ডাক্তার রোগাক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। তাই কেউ পীর হলেই নফসের রোগ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন বিষয়টা কস্মিনকালেও এমন নয়।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদেরকে এবং আমাদের উস্তায ও মুরুব্বীগণকে উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসের মেসদাকে পরিণত হওয়া থেকে হেফাজত করুন।
লোভ হিংসা ও অহংকার এই তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।
‘হামাদুন’ বা হিংসা, ঈর্ষাপরশ্রীকাতরতা হলো ইবলিশের ভূষণ। ইবলিশ ছিল ফেরেশতা। দুনিয়ার প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর প্রতি আল্লাহর রহমত দেখে সে ঈর্ষায় ভোগে। আদম (আ.)-কে আল্লাহ যে মর্যাদা দেন সে তা মেনে নিতে অস্বীকার করে। এ অস্বীকৃতি ইবলিশকে বিপথগামী করে। সে অভিশপ্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এই জগৎসংসারে যারা হিংসা, বিদ্বেষ ও পরশ্রীকাতরতায় ভোগে তারা প্রকৃত অর্থে ইবলিশের ঘৃণ্য পথকেই অনুসরণ করে। নিজেকে মুমিন হিসেবে ভাবতে হলে ঈর্ষার অন্ধকারাছন্ন কুঠরি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানবজাতির আদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাব পৃথিবীতে প্রথম পাপের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল ঈর্ষাকে কেন্দ্র করে। হজরত আদম (আ.)-এর পুত্র ছিলেন হাবিল ও কাবিল। কাবিল তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে পরশ্রীকারতায় ভুগে।
হিংসা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতার অপগুণ বর্জন করতে পারলে মানবসমাজ শান্তির সমাজে পরিণত হবে। মানুষের মধ্যে জন্ম নেবে ভ্রাতৃত্ববোধ। এক মানুষ অপর মানুষকে আপনজন ভাবার ঔদার্যতা অর্জন করবে।
আল্লাহর রাসূল আমাদের হিংসা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘আগুন যেমন শুকনা কাঠকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়, হিংসা তেমন পুণ্যকে ধ্বংস করে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ)
নিজের সৎগুণকে ধ্বংস করে দেয় হিংসা। মানুষের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের সুখশান্তি কেড়ে নেয়। হানাহানি বা সংঘাতকে মদদ জোগায়। আর এতে সবচেয়ে খুশি হয় মানুষের অকল্যাণকামী অভিশপ্ত শয়তান। তার উদ্দেশ্য পূরণ হয় মানুষকে বিপথগামী করার মাধ্যমে।
আমরা যদি সমাজে শান্তি চাই, যদি মনুষ্য সমাজকে শান্তির সমাজে পরিণত করতে চাই, যদি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনাকে আমাদের চলার পথের পাথেয় করতে চাই তবে হিংসা, বিদ্বেষ, ঈর্ষা ও পরশ্রীকাতরতা থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যক্তি, পারিবারিক সমাজিক ও জাতীয় জীবনে পতন ডেকে আনতে পারে যে অপগুণ তা থেকে নিরাপদ দূরে থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের সে সক্ষমতা দান করুন। আমিন।
IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ ক ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ)