History behind war in Afghanistan

History behind war in Afghanistan – আফগানিস্তানে যুদ্ধের পেছনের ইতিহাস

আফঘানিস্তান নিয়ে আমাদের জানার অনেক আগ্রহ, কেন এই সময়ে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই দেশটি? কেন আফঘানিস্তান পরিস্থিতি সারা পৃথিবীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ? কেন মুসলিমদের জন্য এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ? তালিবান কারা? তারা কি করলো? তাদের ইতিহাস ও তাদের বিজয়ের গুরুত্ব। এই সব প্রশ্নের উত্তর থাকবে আমার আজকের লেখা এই পোস্টে, ইন শাআল্লাহ।

হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) আমাদের কাছে যে ইসলাম নিয়ে আসছিলেন, সেই ইসলামে নীতি নৈতিকতা ছিলো, আদর্শিক চেতনা বা চিন্তাধারা ছিলো যা অন্য সব চিন্তাধারা, মত, পথ ও আদর্শ থেকে ভিন্ন। তার দেখানো অনেকগুলো নীতির মধ্যে একটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি ছিলো এমন, আল্লাহর দেওয়া বিধি বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করা এবং সেই রাষ্ট্রের একজন প্রধান থাকবেন। তাকে খলিফা বলা হবে, তিনি হবেন পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে থাকা সব মুসলিমদের অভিভাবক। তার উপর ন্যস্ত থাকবে প্রত্যেক মুসলিমদের জান মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব। যদি পৃথিবীর কোনো প্রান্তে একজন মুসলিম একবেলা অনাহারেও থাকে তবে সে ব্যাপারে খলিফাকে প্রশ্ন করা হবে আল্লাহর আদালতে।

নবী(সাঃ) মৃত্যুর পর ৪ জন বিখ্যাত খলিফা ছিলো আমাদের আদর্শ। যুগে যুগে তাদের দেখানো আদর্শ অনুসরণ করা হয়েছিলো বলেই ১৪৪৩ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে ইসলাম আজো টিকে আছে।

পৃথিবীর বুকে এখন পর্যন্ত উমাইয়া, আব্বাসীয়, মামলুক, সেলজুক, আইয়ুবীসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রেই ইসলামী আদর্চের অনুসরণ করা হয়। তবে এই পথ সহজ ছিলো না। কাফের, মুশরিকরা সবসময়ই মুসলিমদের ক্ষতি করতে চেয়েছে এবং করেছেও। এইযে, মুসলিমরা তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়সে তখনই যখন তারা ক্ষমতা, টাকা পয়সা লোভের কারণে আল্লাহর রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ ভুলে গেছে। ঠিক তারপরই আবার রাসুল(সাঃ) এর আদর্শে শিক্ষিত মুসলিমরা আবার ঘুরে দাড়িয়েছে।
যেমন ক্রসেড যুদ্ধে আমরা জেরুজালেম হারালাম ১০৮১ সালে। কাফেররা মুসলিমদের রক্ত দ্বারা পুরো জেরুজালেম পূর্ণ করে। যখন আমরা জেরুজালেম হারায়, তখন বাগদাদে আব্বাসীয় খলিফা তার প্রাসাদকে জাকজমক করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। অন্যদিকে সালাআদ্দিন আইয়ুবী রাসুল(সাঃ) আদর্শের সৈনিক তৈরি করতে থাকেন। ফলাফল, ৮৮ বছর পর আবারও মুসলিমরা জেরুজালেম বিজয় করে। ১২৫৮ সালের কথা। বাগদাদে ১৮ লক্ষ মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। তখন আব্বাসীয় খলিফা মুহতাসিম বিল্লাহকে মঙ্গোল কমান্ডার হুলাগু হানের নির্দেশে হত্যা করা হয়। হত্যা করার আগে তার প্রাসাদে অনেক স্বর্ণমুদ্রা ছিলো। হুলাগু হান খলিফাকে খাবার হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে বলেন খাও। খলিফা বল্লেন, স্বর্ণকে কি খাওয়া যায়? তখন হুলাগু হান বলেন তুমি কেনো নিজের সেনাবাহিনী ও জনগণের কল্যাণের জন্য এই মুদ্রাগুলো ব্যবহার করলে না? এটাই এখন তোমার প্রাপ্য। তখন সবাই ভাবতে শুরু করেছিলো মঙ্গোলরা হয়তো পুরো পৃথিবী দখল করে ফেলবে। কিন্তু ১২৬১ সালে রাসুল (সাঃ) এর আদর্শের মুসলিম সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ ও সেনাপতি রুকুনদ্দিন বাইবার্সের দৃঢ়তায় মঙ্গোলদের হারিয়ে, পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেয়।
আশা করি বুঝা যাচ্ছে, ইসলামী শরিয়াহ, খিলাফা, রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন আসি মুল টপিকে,
সর্বশেষ খিলাফত ব্যবস্থা ছিলো উসমানীয় তুর্কিদের, যার পতন হয় ১৯২৪ সালে। এর আগে থেকেই বিভিন্ন মুসলিম এরিয়া ব্রিটিশ কাফেররা দখল করতে থাকে। এরপর পুরো ইউরোপ, রাশিয়া, আমেরিকাসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। তারা চাইত মুসলিমদের বিভক্ত করতে, কারণ ঐক্যবদ্ধ মুসলিম শক্তি মানেই মুসলিমদের কেউ হারাতে পারবে না। তো তারা চেষ্টা করতে থাকে, যেন মুসলিমরা আর শরিয়াহ শাসনে যেতে না পারে, রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করতে না পারে। তো এভাবেই প্রতি দেশেই আল্লাহর আইন, রাসুল(সাঃ) বিরোধী পশ্চিমা শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের, তাদের নোংরা সংস্কৃতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। তারা এক্ষেত্রে আমাদের শাসকদের ক্ষমতা, সম্পদ ইত্যাদির লোভ দেখায়। আর আফঘানিস্তান এইসবের বিরোধিতা করেছিলো।
আফঘানিস্তানের রাজধানী কাবুল ছিলো, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পর সবচেয়ে উন্নত শহর। একসময় পশ্চিমা শাসন ছিলো। পশ্চিমা নোংরা সংস্কৃতি ছিলো সেখানে। তো একসময় আফঘানিস্তানের ক্ষমতায় ছিলো দাউদ খান, সে ছিলো কমিউনিস্ট সোভিয়েত রাশিয়াপন্থী। (বলে রাখা ভালো, দিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের পর(১৯৪৫-১৯৯১) পর্যন্ত পৃথিবীতে Cold War চলে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ও পুজিবাদী শাসনব্যবস্থার বিপরীতে সোভিয়েত রাশিয়ার কমিউনিস্ট সমাজবাদী শাসনব্যবস্থা।নতো তখন পুরো পৃথিবীর শাসনব্যবস্থা এ ২ ভাগে বিভক্ত ছিলো, কেউ অন্য কোনো শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারত না। কাউকে না কাউকে ২টির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হত।)
দাউদ খানের পর বারবাক কারমাল ক্ষমতায় এসেই সে আমেরিকার পক্ষে চলে যায়। তো সোভিয়েত রাশিয়া আফঘানিস্তানে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য ও আমেরিকাকে হারানোর জন্যই আফঘানিস্তান দখল করে নেয় ১৯৭৯ সালে। তখন দেশ বাচানোর জন্য ঐ দেশের মাদ্রাসার ছাত্ররা সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়, তাদের মুজাহিদীন বলা হতো তখন। তখন এই ছাত্রদের অস্ত্র, টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে আমেরিকা ও ইউরোপ, শুধুমাত্র রাশিয়াকে হারানোর জন্য।
১০ বছর যুদ্ধের পর রাশিয়া হার স্বীকার করে, ১৯৮৯ সালে আফঘানিস্তান থেকে পালিয়ে যায়। তার ২ বছর পর সোভিয়ত রাশিয়া ভেঙ্গে ১৬ টুকরা হয়। এরপর আফঘানিস্তানে জাতিগত দ্বন্দ তৈরি হয়, কারণ যাওয়ার আগে রাশিয়া এভাবে একটা গ্যান্জাম বাধায় রেখে যায়। ঐসময় যে শাসক ছিলো, সে দুর্নীতিবাজ ছিলো। তো তখন মাদ্রাসার ছাত্ররা যারা রাশিয়াকে হারালো, তারা বুঝতে পারলো, আফঘানিস্তানে আল্লাহর বিধান ও রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়ন করা দরকার।
এ লক্ষ্যেই ১৯৯৪ সালে তালিবান প্রতিষ্ঠা হয়, প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মোল্লা মুহাম্মদ উমার। তারা দুর্নীতিবাজদের হারিয়ে ১৯৯৬ সালে কাবুল দখল করে এবং আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করে। তো তাদের এই কার্যকলাপ পছন্দ হয়নি আমেরিকাসহ ইউরোপের কোনো দেশের। তারা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তো ২০০১ সালে 9/11 ঘটনার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ ক্রসেডের ডাক দেন। তিনি NATO সহ ৫০ টি দেশকে নিয়ে আফঘানিস্তানে আসেন যুদ্ধ করতে। ভারত আফগান যোদ্ধাদের ভয় পায়, তাই তারা সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করছে তালিবানদের বিরুদ্ধে। ভারত মুসলিমদের অত্যাচার করে, তাই ভারতের এতো ভয়।
2001 সালে 9/11 ঘটনার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট George W. Bush বলেছিলেন, “আমরা পুরো পৃথিবীকে আফঘানিস্তানের জন্য সংকীর্ণ করে দিবো।”
অন্যদিকে ঠিক তখনই ইমারতে আফঘানিস্তানের আমিরুল মুমিনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমার বলেছিলেন, “বুশ আমাদের পরাজয়ের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। আল্লাহ আমাকে বিজয়ের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। দেখি কার কথা সত্য হয়।”
এরপর তারা মিডিয়ায় মিথ্যা ছড়াতে থাকে মুসলিমরা সন্ত্রাসী। তারা আফঘানিস্তানের বৈধ মুসলিম শাসককে সরিয়ে দেয়। তো, তালিবানরা রাসুল(সাঃ) এর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। সর্বশেষ ২০ বছর পর তারা আবার নিজেদের দেশ বিজয় করে। প্রায় ১০ লক্ষ্যে সৈন্যের বিপরীতে যুদ্ধ করে মাত্র ৫০ হাজার মুসলিম। আফঘানদের কাছে উন্নত অস্ত্র ছিলো না, কিন্তু তাদের বদরের সাহাবীদের মতো ঈমান ছিলো। আমেরিকা উন্নত অস্ত্র দিয়েও মুসলিমদের হারাতে পারল না।
এসময়ে আমেরিকা সারা পৃথিবীতে মানবতার শিক্ষা দিয়ে বেড়াই, অথচ তাদের হাতে ধর্ষিত হয়েছে কয়েক লক্ষ্যে মুসলিম বোন, তারা সন্তানের সামনে তাদের মায়েদের ধর্ষণ করে। ইরাক তার জীবন্ত উদাহরণ। তারা সার পৃথিবীতে সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ সারা পৃথিবীতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিরীহ মানুষদের হত্যা করে। এইতো, ২০১৬ সালে সিরিয়ার ফোরাত নদীর ধারে মৃত আয়লানের কথা মনে আছে তাদের? সেইদিন সারা পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় উঠেছিলো। কিন্তু আমেরিকা কি নিরীহ বাচ্চাদের মারা বন্ধ করেছে? এইতো ২০২১ সালের রমজান মাসে আমেরিকার অস্ত্র দিয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনের নিরীহ বাচ্চাদের হত্যা করে, অথচ হোয়াইট হাউজে বসে বাইডেন বক্তব্য দিলো ইসরাইলের পক্ষে। লজ্জা তাদের প্রতি যারা অন্ধভাবে বিশ্বাস করে, তাদের দেখানো পথে চলে। তাদের হাতে রক্ত ছাড়া কিছু নেই। চোখ খুলুন, ইতিহাস পড়ুন।
দেখেন, আফঘানরা রাশিয়ার সাথে ১০ বছর এবং আমেরিকার সাথে ২০ বছর যুদ্ধ করে শুধুমাত্র ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য। রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য। আচ্ছা, যদি তারা বলতো, আমরা আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করবো না, তোমরা যা বলবে তাই মানবো, তাহলে কি হতো? তাহলে ৩০ বছর যুদ্ধ করা লাগতে না। আসলে আল্লাহ তাদের ইমানের পরীক্ষা ও ধৈয্যের পরীক্ষা নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে থাকার অঙ্গীকার করেছিলো, তাই আল্লাহ আজকে এতো সম্মান দিচ্ছে।
তাদের এ বিজয় আমাদের মক্কা বিজয়ের কথা বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এভাবেই যুগে যুগে রাসুল(সাঃ) এর আদর্শধারীরা সম্মানিত হবে।
মূলত আফঘানিস্তানের এই ঐতিহাসিক জয় এবং এ বিষয় ঘিরে আমেটিকা ও ভারতের ভয়ই সারা পৃথিবীতে আলোচিত হওয়ার কারণ। সারা পৃথিবীতে মুসলিমরা যে পরিমাণ অত্যাচারিত হয়সে, তাতে মুসলিমদের মনে মধ্যে হতাশা জন্মে গেছে। আফঘানিস্তানে মুসলিমদের এ বিজয় নতুন করে আশার সৃষ্টি করবে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে। মুসলিমরা লড়াইয়ে নতুন আশা পাবে। এই জন্য আফঘানিস্তান পরিস্থিতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আফঘানিস্তানকে বলা হয়, এশিয়ার হৃদয়। এই এরিয়াতে বিশৃঙ্খলা থাকলে সারা পৃথিবী বিশৃঙ্খলা থাকে। এজন্য বিদেশীরা কেউ এদেশ বিজয় করতে পারেনি। ১৮৮৮ সালে ব্রিটেন আফঘানিস্তান দখলের জন্য যুদ্ধ করে, কিন্তু ব্রিটিশরা হেরে যায়।
সর্বশেষ, তালিবানদের ব্যাপারে কিছু কথা। তালিব অর্থ ছাত্র৷ মানে এই সংগঠনটি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত। এটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছিলো বিদেশী সৈন্যমুক্ত করা আফঘানিস্তানকে এবং আল্লাহর আইন ও রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ দলটি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যায় ২০০১ সাল পর্যন্ত, যতদিন আমেরিকা দখল করতে না আসে। আর সর্বশেষ তালিবানরা বিজয় করলো এবং আবারও কষমতায় আসলো ২০ বছর পর। এ সংগঠনকে খারাপ ভাবে মিডিয়াতে চিত্রিত করা হয়, আসলে সেগুলো মিডিয়া আমেরিকা ও ভারতের পক্ষ হয়ে মিথ্যা খবর দেয়। আসলে তারা আল্লাহর দেয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়ই বলেই, তাদের বিরুদ্ধে এতো স্বরযন্ত্র যেনো মুসলিমরা তাদের বিশ্বাস না করতে পারে। তাদের বিজয় নিশ্চতভাবে বিশ্বের সব মুসলিমদের আশা জোগাবে। এখন থেকে হয়তো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমরা বিজয় পেতে থাকবে ঘন ঘন। যেমন কাশ্মিরে।
আল্লাহ কুরআনে ওয়াদা করেছিলেন, যারা আল্লাহর পথে থাকবে, ধৈর্য্যধারণ করবে, আল্লাহ তাদের বিজয় দিবেন, তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করবেন। আজ পৃথিবাসী আল্লাহর এই ওয়াদা পূরণের স্বাক্ষী রইল। আমরা সৌভাগ্যবান।
নাসরুম মিনাল্লাহ ওয়া ফাতহুন কারিম।(সূরা সফ, আয়াত ৩৩)।
অর্থ: তোমাদের জন্য আরেকটি অনুগ্রহ হলো আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়।
ইন্না ফাতহানা লাকা ফাতহাম মুবিনা। (সূরা ফাতহ,আয়াত ১)।
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।
IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )