Misguidance may lead you to death

পথভ্রষ্টতা আপনাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে

‘বাঁচতে হলে জানতে হবে, জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবেই!…….
দুই তিন দিন জ্বর, ঔষধ না খেলেও চলতো, এমনিতেই আপনি কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হতে পারতেন, কিন্তু আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার সাহেব আপনাকে শুরুতেই তিনটি পরীক্ষা বা টেস্ট দিলেন।
টেস্ট রিপোর্টে জ্বরের কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও কোলেস্টেরল আর ব্লাড সুগার লেভেল সামান্য একটু বেশি পাওয়া গেল, যা একটু এদিক ওদিক হতেই পারে।
এখন আপনি আর জ্বরের রোগী নন। ডাক্তার সাহেব বুঝালেন–আপনার কোলেস্টেরল বেশি আর প্যারা-ডায়াবেটিস হয়ে আছে। আপনাকে এখন থেকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খেতে হবে, সঙ্গে অনেকগুলো খাবারে নিষেধাজ্ঞা ।
আপনি খাবারের নিষেধাজ্ঞা ঠিকঠাক না মানলেও ওষুধ খেতে ভুল করলেন না।
এইভাবে তিন মাস যাওয়ার পর আবার টেস্ট। এবারে দেখা গেল কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা কমেছে, কিন্তু রক্তচাপ সামান্য বেড়ে গেছে। যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি আরেকটি ওষুধ দিলেন। এখন আপনার ঔষধের সংখ্যা হলো ২ টি । কখন কী হয়ে যায়, এখনও তো কিছুই গোছানোহয়নি!…….
এমন দুশ্চিন্তায় আপনার রাতের ঘুম কমে যাচ্ছে । ফলে ডাক্তার সাহেবের পরামর্শে আবার ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করলেন। এখন আপনার ঔষধের সংখ্যা হলো ৩ টি ।
একসঙ্গে এতগুলি ওষুধ খাওয়া মাত্রই আপনার বুকে জ্বালাপোড়া আরম্ভ হলো, ডাক্তার সাহেব বিধান
দিলেন — প্রতিবেলা (২*৩)=৬ টি টেবলেট খাওয়ার আগে খালিপেটে দুইটি করে গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে হবে। ঔষধের (টেবলেট) সংখ্যা বেড়ে হলো (৩+৬) = ৯ টি ।
এইভাবে বছরখানেক যাওয়ার পর আপনি বুকে ব্যাথা অনুভব করায় একদিন হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ছুটলেন। ডাক্তার সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন — সময়মতো আসায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন। আরেকটু দেরি করলেই সর্বনাশ হয়ে যেতো। তারপর আরও কিছু বিশেষায়িত পরীক্ষা করতে বললেন ।
অনেক টাকার পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার সাহেব বললেন —-আপনি যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন, ওভাবেই চলবে। তবে তার সাথে হার্টের জন্য আরও দুইটি ঔষধ খেতে হবে। আর অবিলম্বে একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। ঔষধের সংখ্যা বেড়ে হলো (৯+১) = ১০টি ।
আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করলেন, সেখানে যাওয়ার পরে তিনি যোগ করলেন ডায়বেটিসের অর্থাৎ সুগারের ওষুধ ১ টি। আর থাইরয়েড হরমোন সামান্য বেশী হওয়ায় তার জন্য ১ টি। আপনার রোজ ঔষধ (টেবলেট) খাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ টি ।
আর এখন মনে মনে আপনি জানলেন ও ভেবে থাকলেন আপনি একজন বড় রোগী—- —
১) এখন আপনি ‘হার্টের রোগী’,
২) এখন আপনি ‘সুগারের রোগী’,
৩) এখন আপনি ‘অনিদ্রার রোগী,
৪) এখন আপনি ‘গ্যাসট্রিকের রোগী,
৫) এখন আপনি ‘থাইরয়েডের রোগী’,
৬) এখন আপনি ‘কিডনির রোগী’, ইত্যাদি।
আপনাকে ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে, মনোবল বাড়িয়ে সুস্থ ভাবে বাঁচার রসদ বাড়িয়ে বেঁচে থাকার পরিবর্তে জানানো হলো, শেখানো হলো —– —-
১) আপনি রোগী,
২) আপনি বড় রোগী,
৩) আপনি বড় অসুস্থ ব্যক্তি,
৪) আপনি একজন অসমর্থ, বিধ্বস্ত, ভঙ্গুর, নড়বড়ে ব্যক্তি!
এভাবে আরও ছয় মাস চলার পর ‘ঔষধগুলির সাইড এফেক্টস’ হিসাবে একটু প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেবে। ডাক্তার সাহেব সবরকম রুটিন চেকআপ করতে দিলেন।
রুটিন চেক-আপ করানোয় জানতে পারলেন—
আপনার কিডনিতে সামান্য সমস্যা আছে। ডাক্তার সাহেব আবার নানারকম কিডনি ফাংশনের পরীক্ষা দিলেন। রিপোর্ট দেখে তিনি বললেন–ক্রিয়েটিনিন একটু বেশি। তবে নিয়মিত ওষুধ খেলে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আরও ২ টি ঔষধ তিনি যোগ করলেন। বাহ্ বাহ্।ফলে বর্তমানে আপনার মোট ওষুধের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ টি ।
আপনি এখন খাবারের চেয়ে ওষুধ বেশি খাচ্ছেন, আর সব রকম ঔষধের নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দ্রুত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন! অথচ যে জ্বরের জন্য আপনি সর্বপ্রথম ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন, তিনি যদি বলতেন– —
১) চিন্তার কোন কারণ নেই,
২) এই সামান্য জ্বরে কোন ওষুধ খেতে হবে না,
৩) কয়েকদিন একটু বিশ্রামে থাকেন ,
৪) পর্যাপ্ত জল পান করুন,
৫) টাটকা শাকসবজি ও
৬) ফল বেশি করে খান ।
৭) শরীর ভালো রাখার জন্য ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাটি করুন, ব্যাস, তাহলেই আপনার শরীর ফিট থাকবে ।
৮) যান, বাড়ী যান— কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই ।
কিন্তু সেটা করলে ডাক্তার সাহেব আর ওষুধ কোম্পানি গুলোর পেট ভরবে কিভাবে ? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো- —- কিসের ভিত্তিতে ডাক্তারগণ রোগীদেরকে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি বিকল বা হৃদরোগী ঘোষণা করছেন? কি সেই মানদন্ড? এসব নির্ধারণ করলেন কে বা কারা? একটু বিশদে জানা যাক—-
*** ১৯৭৯ সালে রক্তে শর্করার মাত্রা 200 ml/dl পেলে ডায়বেটিস রোগী হিসেবে গণ্য করা হতো। সেই হিসেবে তখন সমগ্র পৃথিবীর মাত্র ৩.৫ % মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী হিসাবে চিহ্নিত হতেন ।
*** তারপর ১৯৯৭ সালে ইনসুলিন প্রস্তুতকারকদের চাপে সেই মাত্রা এক লাফে কমিয়ে 126 ml করা হয়। ফলে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা ৩.৫ % থেকে এক লাফে বেড়ে ৮ % হয়ে যায় , অর্থাৎ রোগের কোনরূপ বহিঃপ্রকাশ ছাড়াই স্রেফ ব্যবসায়িক স্বার্থে ৪.৫ % মানুষকে রোগী বানিয়ে ফেলা হলো! ১৯৯৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই মানদন্ডে সায় দেয়।
এদিকে ফুলে-ফেঁপে ওঠা ইনসুলিন প্রস্তুতকারকেরা অঢেল মুনাফা বিনিয়োগ করে সারা বিশ্বে নিত্য-নতুন প্ল্যান্ট বসাতে থাকে। তাদের চাপে নতি স্বীকার করে American Diabetes Association (ADA) ২০০৩ সালে রক্তে শর্করার মাত্রা 100 ml কে ডায়াবেটিস রোগের মানদন্ড হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দেয়। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই ২৭% মানুষ ডায়বেটিস রোগী হয়ে যায়,
*** বর্তমানে American Diabetes Association (ADA) কর্তৃক ঘোষিত মানদন্ড হচ্ছে —->140 mg P.P হিসাবে বিশ্বের ৫০ % মানুষকে কৌশলে ডায়বেটিস রোগী বানিয়ে ফেলা হয়েছে, এদের অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগী না হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত ওষুধ খেয়ে নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হয়ে মারা যাচ্ছেন।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, টেস্ট করালেই যে কোনো মানুষ প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হিসেবে গণ্য হবেন।’ লেখার কোন অংশ আমার নয়! কিন্তু আমি জানি ‘সুস্থ থাকতে হলে জানতে হবে আর জানতে হলে পড়তে হবে, মানতে হবে!’ শোকর আলহামদুলিল্লাহ

IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )