Dream – ইসলামের আলোকে বিভিন্ন স্বপ্নের ব্যাখ্যা

 

স্বপ্নে কেউ বিয়ে করতে দেখা দ্বারা আসন্ন বিবাহ বুঝায় । স্বপ্নের সময় যদি বিয়ের পরিকল্পনা না থাকে তাহলে হয়তো যার সঙ্গে বিয়ে হতে দেখেছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিবে । নিম্নোক্ত হাদীসটি ইহা নির্দেশ করে:

 

‘আয়েশা (রা : ) বলেছেন, রাসূল (সা: ) ইরশাদ করেন : (স্বপ্নে) তোমাকে আমার নিকট দুবার দেখানো হয়েছে তোমাকে আমি বিয়ে করার পূর্বেই । আমি দেখলাম একজন ফেরেশতা কাউকে রেশমী কাপড়ের মধ্যে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে, আমি তাকে বললাম : তাকে উন্মুক্ত করুন এবং আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম ইহা তুমি । আমি নিজে নিজে বললাম : যদি ইহা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় তাহলে ইহা অবশ্যই হবে । অতঃপর তোমাকে পুনরায় দেখানো হলো । পরবর্তীতে আমি একই ফেরেশতাকে স্বপ্নে দেখলাম কাউকে রেশমী কাপড়ের মধ্যে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাকে বললাম তাকে উন্মুক্ত করুন এবং আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম পুনরায় ইহা তুমিই । আমি নিজে নিজে বললাম : যদি ইহা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় তাহলে অবশ্যই ইহা ঘটবে ।
(সহীহ আল-বুখারী, খন্ড-৯, পৃ-১১৫-৭, নং-১৪০)

 

আমি অনেক সময় সাপের স্বপ্ন দেখি। অনেক সময় দেখি সাপ আমার হাতে কামড় দিয়েছে। সব সাপ বিষধর। এই স্বপ্নের তাবীর কি? প্রশ্নকর্তা-পিয়াস

 

উত্তর: وعليكم السلامو ورحمة الله وبركاته

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

আল্লামা সীরীন রহঃ এর ব্যাখ্যা অনুপাতে এর মানে হল, শত্রু দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।{তাবীরুর রুয়া লিইবনে সীরীন}

 

তাই সতর্ক থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য কামনা করা উচিত। বাকি স্বপ্নের ব্যাখ্যা সব সময় সত্য হয় এমন নয়। তাই অযথা টেনশন করার প্রয়োজন নেই। বেশি বেশি করে আল্লাহর নুসরত এবং দয়া চান। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তাআলা বিপদ আপদ থেকে হিফাযত করবেন। والله اعلم بالصواب

 

উত্তর লিখনে: লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, পরিচালক–তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

 

 

অন্য ব্যাখ্যা

 

 

 

আসুন জেনে নিই,কোন স্বপ্ন দেখলে কি হয়স্বপ্ন দেখেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সব মানুষই স্বপ্ন দেখে। সাধারণত মানুষ জীবন নিয়ে যা ভাবে যা যেমনটা ভাবতে চায় তার প্রতিফলন ঘটে তার স্বপ্নে। কিছু স্বপ্ন হয় আনন্দের আবার কিছু স্বপ্ন ব্যর্থতার। আতঙ্কের বা ভয়ের স্বপ্নও দেখেন অনেকে। যার যার স্বপ্ন ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, বেশ কিছু স্বপ্ন রয়েছে যা প্রায় সব মানুষই দেখে থাকে। কী সেই স্বপ্নগুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ৬টি স্বপ্নের ব্যাখ্যা যা আপনি প্রায়ই দেখেন।

স্বপ্ন ১ : উঁচু জায়গা থেকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া
উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্নটা অতি সাধারণ স্বপ্নের প্রথমেই আছে। কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে আপনি যদি স্বপ্নে দেখেন আপনি উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাচ্ছেন তবে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মারা যেতে পারেন বা আপনার জীবনে খুব বড় বিপদ আসতে চলেছে। কুসংস্কারে কান দেয়ার দরকার নেই। স্বপ্ন বিশেষজ্ঞদের মতে উঁচু জায়াগ থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা মানে হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কিছু একটা ঠিক চলছেনা। আপনার জীবনের কোন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার আরেকবার ভাবা উচিত এমনটাই ইঙ্গিত দেয় এমন স্বপ্ন।
“পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন বেশ স্বাভাবিক। এটি আপনার ব্যক্তিজীবনের ভয় এবং ব্যর্থতা প্রকাশ করে। কিংবা আপনার প্রেম বা দাম্পত্য জীবন ঠিক চলছে না বুঝায়”- বলেছেন ইলুস্ট্রাটেড ড্রীম ডিকশনারির লেখক রাসেল গ্র্যান্ট।

স্বপ্ন ২ : জনসম্মুখে উলঙ্গ হওয়া
মানুষের দেখা সাধারণ স্বপ্নগুলোর মাঝে সবচেয়ে বিব্রতকর স্বপ্ন হচ্ছে এটি। যে স্বপ্নে মানুষ দেখে, স্কুল কিংবা অফিসে সবার সামনে উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ড্রীম ডিকশনারি ফর ডামিসের লেখক পেনি পার্স বলেন, “ উলঙ্গ হবার স্বপ্ন এই সংকেত দেয় যে আপনার জীবনে কোন অসম্পূর্ণতা রয়েছে এবং আপনি ভীত যে সেই অসম্পূর্ণতা মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে”

স্বপ্ন ৩ : ভয়ানক তাড়া খাওয়া
মাঝে মাঝেই অনেকে স্বপ্ন দেখেন কোন কুকুর বা মানুষ তাকে তাড়া করছে এবং তিনি বাঁচার জন্য প্রাণপণ ছুটছেন। এই ধরনের স্বপ্নগুলো এতটাই বাস্তবধর্মী হয় যে স্বপ্ন দেখতে দেখতেই মানুষ হাঁপিয়ে উঠে, ঘেমে যায় বা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে।
ড্রীম ডিকশনারির লেখক টনি ক্রিস্প এর মতে, “কোন কিছুর তাড়া খাওয়ার স্বপ্ন দেখা মানে হচ্ছে আপনি আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারেননি এবং আপনার মনে সন্দেহ ও ভয় রয়েছে যে আপনি সেখানে পৌছতে পারবেন না।”
যদি আপনি স্বপ্নে দেখেন কোন প্রানী বা অচেনা কোন মানুষ আপনাকে তাড়া করছে তবে সেটা আপনার ভয় বা ছোটবেলার কোন স্মৃতিকে স্মরণ করা। আর যদি স্বপ্নে দেখেন বিপরীত লিঙ্গের কেউ তাড়া করছে তবে এটি ইঙ্গিত দেয় আপনি আপনার বর্তমান ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে সন্দীহান বা অতীত ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে ভীত”

স্বপ্ন ৪ : দাঁত পড়ে যাওয়া
মানুষের দেখা সাধারণ স্বপ্নগুলোর মাঝে দাঁত পড়ে যাবার স্বপ্ন একটি। ড্রীম ডিকশনারি ফর ডামিসের লেখক পেনি পার্স ব্যাখ্যা করেন, “দাঁত পড়ার স্বপ্ন দেখা মানে হল আপনি আপনার অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এটি ইঙ্গিত দেয় আপনি আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে উদগ্রীব হয়ে আছেন।”
এই স্বপ্ন ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত দেয় যে আপনি আপনার নিজস্ব ক্ষমতা হারাতে পারেন বা নিজের সম্মান হারাতে পারেন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

 

স্বপ্ন ৫ : পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়া


এই স্বপ্ন নিশ্চয়ই আপনি জীবনে বেশ কয়েকবার দেখেছেন। হয়তো দেখেছেন, পরীক্ষার প্রশ্ন কিছুই আপনার জানা নয়, কিংবা সময় শেষ হয়ে যাবার পর ও লেখা শেষ করতে পারছেন অথবা স্বপ্ন দেখলেন সময় মত পরীক্ষার কেন্দ্রেই পৌঁছাতে পারলেন না।
ক্রেগ হ্যামিলটন-পার্কার, হিডেন মিনিং অফ ড্রীমস এর লেখক বলেন, “পরীক্ষায় অংশগ্রহনের স্বপ্ন, আপনার ব্যর্থতা এবং অন্তর্নিহিত ভয়ের প্রকাশ করে। পরীক্ষায় না পারা, সময়মত লিখতে না পারা বা ফেইল করার স্বপ্ন বোঝায় আপনি বাস্তব জীবনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভয়ে আছেন।”

স্বপ্ন ৬ : উড়ার স্বপ্ন দেখা
যদি আপনি স্বপ্ন দেখেন যে আপনি পাখির মত উড়ছেন কেমন লাগবে? এর অর্থ ই বা কী? ড্রীম ডিকশনারির লেখক টনি ক্রিস্প ব্যাখ্যা করেন, “উড়তে পারার স্বপ্ন সাধারনত দুই ধরনের অর্থ বহন করে। প্রথমত, এটি আপনার স্বাধীনতার ভাব প্রকাশ করে, অপরদিকে এটি বুঝায় আপনি বাস্তব জীবনের চাপে হাঁপিয়ে উঠেছেন।”

যদি আপনি স্বপ্ন দেখেন যে আপনি একা একা উড়ছেন এর মানে হল আপনার সামাজিক জীবন বা ভালোবাসা নিয়ে আপনি বিরক্ত এবং আপনি এর থেকে মুক্ত হতে চাইছেন।

উপরের কোন স্বপ্নের সাথেই আপনার স্বপ্নের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না? চিন্তিত হবার কিছু নেই। এর মানে হল আপনার স্বপ্নগুলো অন্যদের চেয়ে আলাদা। মূলত মানুষের ব্যাক্তি জীবনের প্রাপ্তি, ব্যার্থতা, আশা, চাওয়া, ভয় ইত্যাদির রূপই হল স্বপ্ন।

 

স্বপ্নে আজান দিতে দেখিলে (নিজেকে) – উন্নতি লাভের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আঙ্গুর দেখিলে – চিন্তা দূর হইবে৷

 

স্বপ্নে আম দেখিলে – পুত্র সন্তান হইবে৷

 

স্বপ্নে আনারস গাছ দেখিলে – দ্বিতীয় বিবাহ হইবে৷

 

স্বপ্নে আলু দেখিলে – দুর্ণামে পড়িবে৷

 

স্বপ্নে আলু গাছ দেখিলে – দুঃখ-কষ্ট ও অশান্তি হইবে৷

 

স্বপ্নে আটা দেখিলে – অক্ষম ও তুচ্ছ হইবে৷

 

স্বপ্নে আয়না দেখিলে – মর্যাদা বৃদ্ধি পাইবে৷

 

স্বপ্নে আয়্নায় নিজের চেহারা দেখিলে – পুত্র সন্তান ভুমিষ্ঠ হইবে৷

 

স্বপ্নে আংটি দেখিলে – সুসন্তান লাভ হইবে৷

 

স্বপ্নে আংটি ভাঙ্গা দেখিলে – দুর্ণাম রটিবে৷

 

স্বপ্নে আতরদানি দেখিলে – দেলের আশা পূর্ণ হইবে৷

 

স্বপ্নে আতর বিক্রেতা নিজকে দেখিলে – মানসম্মান বাড়িবে৷

 

স্বপ্নে আত্মহত্যা করিতে দেখিলে – সৎ কর্মে মনোযোগী হইবে৷

 

স্বপ্নে আকাশে উড়িতে দেখিলে – বিদেশ ভ্রমণ হইবে৷

 

স্বপ্নে আকাশে মেঘ দেখিলে – রুজি বৃদ্ধি হইবে৷

 

স্বপ্নে আজান দিতে দেখিলে – উন্নতি হইবে৷

 

স্বপ্নে আলেম লোক দেখিলে – সৎপথে চলিবে৷

 

স্বপ্নে আউলিয়া দরবেশ দেখিলে – ধন সম্পদ বৃদ্ধি হইবে৷

 

স্বপ্নে আল্লাহ্ খুশী দেখিলে – গুণাহ্ মাফ হইবে৷

 

স্বপ্নে আল্লাহর নূর দেখিলে – সব রকম মঙ্গল হইবে৷

 

স্বপ্নে আজান শুনা দেখিলে – বিপদে পড়ার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আজান মসজিদে দিতে দেখিলে – সম্মান বৃদ্ধি ও বুযুর্গী লাভের আলামত৷

 

স্বপ্নে আজান ঘরে দিতে দেখিলে – ক্রমান্বয়ে গরীব হবার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আজান শুইয়া দিতে দেখিলে – স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা অত্যন্ত বৃদ্ধির নমুনা৷

 

স্বপ্নে আজান অশুদ্ধ দেয়া দেখিলে – অত্যাচারী হবে৷

 

স্বপ্নে আজান হাসতে হাসতে দেয়া দেখিলে – বহু কষ্ট পাবে ও মৃত্যু আসন্ন৷

 

স্বপ্নে আজান স্ত্রীর সঙ্গে দেওয়া দেখিলে – রোগাক্রান্ত হওয়ার আলামত৷

 

স্বপ্নে আজান জেলখানায় দিতে দেখিলে – বিপদ আসবে, খালাস পাইবার নমুনা৷

 

স্বপ্নে আরবী ভাষায় কথা বলা দেখিলে – মান-সম্মান বৃদ্ধির নমুনা৷

 

স্বপ্নে আল্লাহ্ কে অসন্তুষ্ট দেখিলে – গুরুতর ক্ষতির নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আল্লাহর নূর দেখিলে – আয় বৃদ্ধি, ইবাদত কবুল ও সৌভাগ্যের আলামত ৷

 

স্বপ্নে আল্লাহর অলীকে খুশী দেখিলে – সৌভাগ্যের আলামত ৷

 

স্বপ্নে আলেম লোক দেখিলে – সৎপথে পরিচালিত হবে৷

 

স্বপ্নে আলেমের সাথে মোসাফা করা দেখিলে – পূণ্য কাজে নিযুক্ত হবার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আলেমকে খুশী দেখিলে – মনোবাঞ্ছা পূরণের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আলেমকে নাখোশ দেখিলে – ধর্মীয় ব্যাপারে বিবাদের আশঙ্কা৷

 

স্বপ্নে আলেমকে নিজ গৃহে দেখিলে – ধর্মের প্রতি মন সুদৃঢ় হবে৷

 

স্বপ্নে আলেমের নিকট বিদ্যা শেখা দেখিলে – সৌভাগ্যের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আলেমের সাথে উঠা বসা করতে দেখিলে – মান-সম্মান বৃদ্ধির নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আউলিয়াকে খুশী দেখিলে – গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভের আলামত৷

 

স্বপ্নে আউলিয়াকে অসন্তুষ্ট দেখিলে – পদাবনতি হবার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ পরিষ্কার দেখিলে – শান্তি লাভের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ মেঘলা দেখিলে – বিপদাপদ ও রোগ-ব্যাধির আলামত৷

 

স্বপ্নে আকাশের দিকে উড়ে যেতে দেখিলে – ইহ-পরলৌকিক উন্নতির লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ হতে পড়ে যাওয়া দেখিলে – অপমানিত হওয়া ও কষ্টে পড়ার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশের দরজা উন্মুক্ত দেখিলে – দোয়া কবুল হবার নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আকাশ উপরে দেখতে না পাওয়া দেখিলে – বোজর্গ লোকের দেখা মিলবে৷

 

স্বপ্নে আকাশের কাছে পৌঁছে যাওয়া দেখিলে – বিদেশ গমনের আলামত৷

 

স্বপ্নে আকাশে আরোহণ করতে দেখিলে – আসন্ন মৃত্যুর লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে দেখিলে – অমঙ্গলের নিশানা৷

 

স্বপ্নে আকাশের নিচে ঝুলে থাকতে দেখিলে – ব্যবসায়-বাণিজ্যে উন্নতির লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশে খণ্ড খণ্ড মেঘ দেখিলে – অধিক ফসল জন্ম ও শান্তির লাভের চিহ্ন ৷

 

স্বপ্নে আকাশে আওয়াজ শোনা দেখিলে – দেশে সুখ-শান্তির লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ লাল বর্ণের দেখিলে দেখিলে – যুদ্ধ-বিগ্রহ ও মারামারির লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আকাশ সবুজ বর্ণের দেখিলে – অধিক বৃষ্টিপাতের আলামত৷

 

স্বপ্নে আকাশ কালো বর্ণের দেখিলে – দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত৷

 

স্বপ্নে আকাশ আলোকিত দেখিলে – উন্নতির নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়তে দেখিলে – পবিত্র স্থান দর্শনের আলামত ৷

 

স্বপ্নে আকাশ থেকে সর্প পড়তে দেখিলে – মহামারী ও দুর্ভিক্ষের আলামত৷

 

স্বপ্নে আয়্না দেখিলে – আত্মীয়ের নিকট থেকে সাহায্য লাভের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আয়না ভাঙ্গা দেখিলে – বালা-মুছিবত ও গর্ভপাতের আলামত ৷

 

স্বপ্নে আয়্নায় নিজ চেহারা দেখিলে – বাসনা পূর্ণ ও মান-সম্মান লাভ করবে৷

 

স্বপ্নে আলু দেখিলে – দুর্ণামে পড়িবার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আলু গাছে দেখিলে – দুঃখ-কষ্ট ও অশান্তির লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আওরাত দেখিলে – অভাব মোচন ও সুখ লাভের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আওরেতের সাথে সহবাস করতে দেখিলে – ধনলাভ ও শত্রুজব্দের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আওরাতকে তালাক দিতে দেখিলে – নেক কাজ ও অর্থ লাভের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আওরাতকে গর্ভবতী দেখিলে – অর্থ প্রাপ্তি ও সম্মান লাভের আলামত৷

 

স্বপ্নে আওরাতের প্রতি জুলুম করতে দেখিলে – সুখ-শান্তি লাভের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আতর বিক্রেতা দেখিলে – সরকারী পদ মর্যাদা লাভের আলামত ৷

 

স্বপ্নে আতর লাগাতে দেখিলে – সুন্দরী স্ত্রী লাভ ও দুনিয়াতে সুখে থাকবে৷

 

স্বপ্নে আতরওয়ালা দেখিলে – সম্পদ উপার্জনের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আঙ্গুর দেখা ও খাওয়া দেখিলে – ধন লাভ ও উত্তম সন্তান জন্মের নিদর্শন ৷

 

স্বপ্নে আনার গাছ দেখিলে – রুজিতে বরকত ও বাবা হবার লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আনার গাছ লাগাতে দেখিলে – অর্থ প্রাপ্তি ও সুখ লাভের নিদর্শন৷

 

স্বপ্নে আরশ দেখিলে – সুনাম, সুখ্যাতি ও সৌভাগ্যের লক্ষণ৷

 

স্বপ্নে আমানতি টাকা পেতে দেখিলে – আত্মীয় দ্বারা অত্যাচারিত হবার লক্ষণ৷

 

 

আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

 
 
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
✅ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
 
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
 
✅ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
 
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
 
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
 
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
 
✅ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
 
✅ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
 
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
 
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
✅ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
 
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
 
✅ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
 
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
 
✅رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
 
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
 
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
 
✅ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
 
✅ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
 
✅ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
 
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
 
✅ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
 
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
 
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
 
✅ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
 
✅ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
 
✅ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
 
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
 
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
 
✅ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
 
✅ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
 
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
 
✅ رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
 
✅ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
 
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
 
✅ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
 
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
 
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
 
✅ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
 
✅ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
 
✅ رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
 
✅ رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
 
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
 
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
 
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
 
✅ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
 
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
 
✅ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
 
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
 
✅ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
 
✅ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
 
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
 
 
 

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )