Prophet Saleh A. & Camel – হযরত সালেহ (আঃ) ও আল্লাহর উষ্ট্রী।

💢 হযরত সালেহ (আঃ) সামুদ জাতির জন্য পয়গম্বর নিয়োজিত হয়েছিলেন। তাঁর জাতি মদীনা ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে বসবাস করতো। হুদ (আঃ) এর উম্মত আ’দ জাতি যখন আল্লাহ তা’য়ালার গজবে পড়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তখন হুদ (আঃ) এবং তাঁর অনুসারী মোমেনগন আল্লাহর অশেষ রহমতে রক্ষা পেয়েছিলেন। তারাই পরবর্তীকালে সামুদ জাতি হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।

সামুদ জাতি পার্থিব সভ্যতায় বেশ উন্নত ও প্রগতিশীল ছিল। তারা ‘ওয়াদিল কুরা’ নামক এলাকায় পাহাড়-পর্বতের ভিতরে, উপরে ও সমতলভূমিতে সুরম্য প্রসাদ নির্মান করতো। কালের বিবর্তনে যখন সামুদ জাতি এক আল্লাহর এবাদত বন্দেগী ত্যাগ করে পৌত্তলিকতায় এবং মূর্তি পূজায় লিপ্ত হলো, তখন সালেহ (আঃ) তাদের মাঝেই জন্ম গ্রহন করলেন এবং তাদের জন্য নবীরূপে মনোনীত হলেন।

সামুদ বংশীয় লোকজন অনেক আরামে থেকেও আল্লাহ তা’য়ালাকে বিশ্বাস করতো না। অসহায় দরিদ্রদের উপর অত্যাচার করতো। তাদেরকে গো-চরনভূমি ও জলকূপ হতে বঞ্চিত করতো।

সালেহ (আঃ) সামুদ জাতির লোকদের বলেছিলেন, ‘হে আমার উম্মত, তোমরা এক আল্লাহর বন্দেগী কর। তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই। তিনি আমাদেরকে মাটি থেকে পয়দা করেছেন। ধন-দৌলত, রিযিক দিয়েছেন। আল্লাহকে ছাড়া অন্য কারো পূজা করা মহাপাপ। অতএব তোমরা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আল্লাহ অসীম দয়ালু। তিনি নিশ্চই তোমাদের প্রার্থনা কবুল করে ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু তারা সালেহ (আঃ) এর কোন কথাই মানলো না। বরংচ একদিন তারা সালেহ (আঃ) কে বললেন, ‘আপনি যদি এই পাহাড়ের পাথর হতে একটি উট বের করে দেখাতে পারেন, তবে আমরা ঈমান আনবো। হযরত সালেহ (আঃ) তাদের ঈমানের প্রতি ভীষন অনুরাগী ছিলেন। তিনি তাদের এই প্রস্তাবকে বিশেষ একটি সুযোগ মনে করে আল্লাহর কাছে সামুদ জাতির আশা পূরনের জন্য দোয়া করলেন। এবং তাদের ফরমায়েশ মতো পাহাড়ের ভেতর থেকে একটি উট বের করার জন্য প্রার্থনা করলেন।

আল্লাহ সালেহ (আঃ) এর দোয়া কবুল করলেন। তখনি পাহাড়ের একটি পাথরে ভীষন কম্পন হলো ও তা ফেটে একটি বিশালাকায় গর্ভবতী উট বের হলো। কিছুদিন পরই উষ্ট্রী (স্ত্রী উট) টি একটি বাচ্চা দিল।

দুষ্ট কাফের লোকেরা শুধু মৌখিক ওয়াদা করেছিল। মূলত: তারা ছিল মোনাফিক। তাই তারা তাদের স্বীকারোক্তি হতে ফিরে গেল। তারা ভেবেছিল সালেহ (আঃ) পাহাড় থেকে উট বের করে আনতে পারবে না। ফলে তাদেরকে ঈমানও আনতে হবে না। সামুদ জাতির শত অন্যায় আল্লাহ তা’য়ালা সহ্য করলেন। তিনি অশেষ ধৈয্য সহকারে তাদেরকে আবারও সুযোগ দিলেন।

উষ্ট্রীটি ছিল অনেক বড়। তাই অনেক বেশী বেশী খেত। মাঠের সমস্ত ঘাস ও কূপের সমস্ত পানি সে একাই খেয়ে ফেলতো। দেশের পশুপাল এই উটটিকে দেখলেই ভয়ে ছুটে পালাতো। তাই দেশবাসী উটটিকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ও অস্থির হয়ে পড়লো। হযরত সালেহ (আঃ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, এই উটটি তোমাদের জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষার বস্তু। কাজেই এর কোন অনিষ্ট করবে না। তাহলে আল্লাহর গযব নেমে আসবে। এবং তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

সালেহ (আঃ) তাদেরকে একটি সুপরামর্শ দিলেন যে, আল্লাহর উট একদিন মাঠে চড়ে বেড়াবে, ঘাস খাবে ও কূপের পানি পান করবে। সেদিন তোমাদের পশুপাল গৃহে আটক থাকবে। আর একদিন তোমাদের পশুপাল মাঠে চড়ে বেড়াবে ও পানি পান করবে। এভাবে আল্লাহর উট ও তোমাদের পশু-পাখি পালাক্রমে একদিন মুক্ত থাকবে ও একদিন আটক থাকবে।

কেউ আল্লাহর কাছ হতে জোর করে বা অতি আবদার করে কিছু চেয়ে নিলে শত কষ্ট হলেও সে ওয়াদা পূরন করতে হয়। সামুদ জাতিও আল্লাহর কাছে হতে উটকে চেয়ে নিয়েছিল। তাই উট সংক্রান্ত সকল ক্লেশ তাদের মেনে নেয়া উচিৎ ছিল।

সালেহ (আঃ) লূত (আঃ) এর জাতির ধ্বংসের কাহিনী বলেও সামুদ জাতিকে সতর্ক করলেন। তাও তারা কোন কথাই গ্রাহ্য করলো না। তারা সালেহ (আঃ) কে বললো, তুমিতো আমাদের মতই সাধারন মানুষ, তোমার উপর কোন ওহী নাযিল হয়নি। নিজেকে বড় প্রমান করার জন্যই এসব করছো। তারা অসৎ পথ অবলম্বন করলো। আল্লাহর রাসুল সালেহ (আঃ) এর কোন কথাই তারা শুনলো না, মানলোও না। একদিন বাচ্চাসহ উটটি জবেহ করে খেয়ে ফেললো। তারপর সালেহ (আঃ) কে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে লাগলো।

সামুদ জাতির গর্বিত সর্দার দলটি সালেহ (আঃ) কে বললেন, ‘তুমি যদি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হয়ে থাক, তবে আমাদেরকে যে আযাবের ভয় দেখাও, তা নিয়ে আসতো।’ সালেহ (আঃ) বললেন, ‘তোমরা মাত্র তিন দিন নিজ গৃহে ভোগ-বিলাস করে নাও। তারপরই আযাবে পতিত হবে এর ব্যতিক্রম হবে না।’

নিদিষ্ট দিনে আল্লাহর গযব এলো, ভীষন ভূমিকম্প এসে তাদের সব কাফেরদের ধ্বংস করে দিল। তারা পালাবার সুযোগ ও সামর্থ পেল না। সামুদ জাতির অভিশপ্ত লোকেরা নিজ নিজ ঘরে অধ:মুখে মরা অবস্থায় পড়ে রইলো। মূহুর্তে সারা দেশ নীরব-নিস্তব্দ হয়ে গেল। শুধুমাত্র যারা আল্লাহর ভয়-ভীতিতে ছিল ও ঈমান অবলম্বন করেছিল, তারাই রক্ষা পেল।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ‘তবুক অভিযানে যখন সামুদ জাতির হেজর অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন রসুল (সাঃ) নিজ সঙ্গীদের বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ঐ এলাকার নিদিষ্ট একটি কূপ ছাড়া অন্য কূপের পানি যেন কেউ ব্যবহার না করে। ভুলে এক সাহাবী ওখানকার একটি কূপের পানি দিয়ে রুটি বানাবার আটা তৈরী করলে তা সব ফেলে দেয়া হয়েছিল। নবী করীম (সাঃ) বলেছিলেন, সে এলাকার মধ্য দিয়ে যাবার সময় সবাই যেন ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় কেঁদে কেঁদে দ্রুত বেগে এলাকাটি ত্যাগ করে।

এই অঞ্চলটি মদীনা হতে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। বর্তমানে আরবী মানচিত্রে এটি ‘মাদায়েনে সালেহ’ অর্থাৎ সালেহ (আঃ) এর বস্তি সমূহ নামে পরিচিত।
—————————————————–
তথ্যসূত্রঃ
আল্ কোরআন: সূরা আ’রাফ, পারা ৮, রুকু ১৭, পারা ১২ রুকু ৬, পারা ১৯ রুকু ১২, ১৯, পারা ২৭ রুকু ১, পারা ২৪ রুকু ১৬, পারা ২৯ রুকু ৯, সূরা শামস, পারা ৩০, সূরা ফাজর।

 

হজরত সালেহ (আ.)-এর অলৌকিক উট

 

হজরত সালেহ (আ.) ছিলেন হজরত নুহ (আ.)-এর ছেলে সামের বংশধর। তার সম্প্রদায়ের নাম ছিল সামুদ। সামের অধস্তন বংশধরে একজন প্রতাপশালী লোক ছিল সামুদ। সেই বীরপুরুষের নামেই এই গোত্রের নামকরণ হয়। এই গোত্রের বসবাস ছিল সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে হিজর নামক স্থানে; সেই স্থানটি এখন ‘মাদায়েনে সালেহ’ নামে পরিচিত। সামুদ ছিল শক্তিশালী ও বীরের জাতি। প্রস্তর খোদাই ও স্থাপত্যবিদ্যায় তাদের বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। পর্বত খোদাই করে তারা বাসস্থান নির্মাণ করত। মাদায়েনে সালেহ অঞ্চলে এখনও সেই আমলের স্থাপত্যের নিদর্শনাবলি ও সামুদি শিলালিপি বিদ্যমান রয়েছে।

সামুদ জাতিও প্রথমে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এক সময় আল্লাহ ও পরকালকে ভুলে যায় এবং মূর্তিপূজা শুরু করে এবং শিরকে লিপ্ত হয়। আল্লাহ তায়ালা স্বীয় চিরন্তন বিধান অনুযায়ী তাদের হেদায়েতের জন্য হজরত সালেহ (আ.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করেন। হজরত সালেহ (আ.) ছিলেন সম্ভ্রান্ত, বিচক্ষণ, প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। যতদিন তিনি অহিপ্রাপ্ত হননি এবং মূর্তিপূজা পরিত্যাগ করে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহ্বান করেননি গোত্রের লোকজন ততদিন তাকে সমীহ ও মান্য করত। নবুয়ত লাভের পর তিনি তাদেরকে মূর্তিপূজা পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করতে আহ্বান করেন। তিনি বললেন, ‘হে আমার জাতি! আল্লাহর ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো উপাস্য নেই। তিনিই জমিন হতে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে তোমাদের বসতি দান করেছেন। অতএব তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে চলো। আমার পালনকর্তা নিকটেই আছেন। কবুল করে থাকেন, সন্দেহ নেই।’ (সুরা হুদ : ৬১)

সালেহ (আ.) ছিলেন বিশুদ্ধভাষী এবং উচ্চকণ্ঠের বাগ্মী। বড় বড় সমাবেশে তিনি দাওয়াতের কাজ করতেন। যুক্তির নিরিখে দরদি কণ্ঠে আল্লাহর বাণীসমূহ শোনাতেন। মূর্তিপূজার কঠিন পরিণতির কথা বলতেন। আখেরাতের কথা শোনাতেন। জান্নাতের নেয়ামতরাজির কথা বলে তাদের উদ্বুদ্ধ করতেন। জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করতেন। কিন্তু গোত্রের লোকজন যেই মাত্র তার মুখে মূর্তিপূজার অসারতার বাণী শুনল, সঙ্গে সঙ্গে হজরত সালেহের প্রজ্ঞা ও পাণ্ডিত্য অস্বীকার করে বলল, ‘হে সালেহ! ইতঃপূর্বে তোমার কাছে আমাদের বড় আশা ছিল। আমাদের বাপ-দাদা যা পূজা করত তুমি কি আমাদেরকে তার পূজা করতে নিষেধ করো? কিন্তু যার প্রতি তুমি আমাদের আহ্বান করছ আমাদের তাতে এমন সন্দেহ রয়েছে যে, মন মোটেই সায় দিচ্ছে না।’ (সুরা হুদ : ৬২)। হজরত সালেহ (আ.) তাদেরকে বিভিন্নভাবে উপমা ও দৃষ্টান্ত বলে বলে বোঝাতে থাকলেন। বললেন, দুনিয়া চিরস্থায়ী বাসস্থান নয়। এখানকার ভোগবিলাস ক্ষণিকের মাত্র। সুতরাং তোমরা পরকালের চিন্তা করো।

কিন্তু সামুদ জাতির অধিকাংশ লোক হজরত সালেহ (আ.)-কে অস্বীকার করল। তবে যুক্তিতর্কে কোনোভাবেই যখন তারা হজরত সালেহ (আ.)-কে সত্যের দাওয়াত থেকে নিবৃত করতে পারল না তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল- তার কাছে অলৌকিক কোনো দাবি পেশ কববে। এক দিন তারা সবাই একত্রিত হয়ে হজরত সালেহকে বলল, আপনি যদি সত্যি আল্লাহর নবী হন তবে আমাদেরকে কাতেবা পাহাড়ের ভেতর থেকে দশ মাসের গর্ভবতী সবল ও স্বাস্থ্যবতী উষ্ট্রী বের করে দেখান। হজরত সালেহ (আ.) তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার নিলেন, যদি আমি তোমাদের দাবি পূরণ করতে পারি তা হলে তোমরা আমার প্রতি ও আমার দাওয়াতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে কি না? সবাই এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করলেন। সেই পাহাড় ফেটে ভেতর থেকে তাদের দাবির অনুরূপ একটি গর্ভবতী উষ্ট্রী বের হয়ে এলো।

এই অলৌকিক উষ্ট্রী দেখে উপস্থিত অনেকেই হজরত সালেহ (আ.)-এর ওপর ঈমান নিয়ে আসে। কিন্তু এমন প্রকাশ্য মুজেজা প্রত্যক্ষ করেও কিছু হতভাগা ঈমান আনল না। হজরত সালেহ (আ.) তাদের সতর্ক করে বললেন, ‘আল্লাহর এই উষ্ট্রীটি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন। অতএব তাকে আল্লাহর জমিনে বিচরণ করতে দাও এবং তাকে মন্দভাবে স্পর্শও করো না। নতুবা অতিসত্বর তোমাদেরকে আজাব পাকড়াও করবে।’ (সুরা হুদ : ৬৪)। কিন্তু গোত্রের কিছু দুষ্কৃতকারী লোক এই অলৌকিক প্রাণীটি হত্যা করে ফেলে। হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হলো না, হজরত সালেহ (আ.)-এর কাছে এসে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে বলল, তুমি সত্যিকারের রাসুল হলে তোমার প্রতিশ্রুত আজাব আনো দেখি! আমরা তো উষ্ট্রীটি হত্যা করেছি। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ওপর শাস্তি নেমে আসে।

আল্লাহ তায়ালা সেই অবস্থার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘অতঃপর তারা উষ্ট্রীকে হত্যা করল এবং স্বীয় প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। তারা বলল, হে সালেহ! নিয়ে এসো যা দ্বারা আমাদের ভয় দেখাতে, তুমি যদি রাসুল হয়ে থাকো। অতঃপর পাকড়াও করল তাদেরকে ভূমিকম্প। ফলে সকালবেলায় নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে রইল।’ (সুরা আরাফ : ৭৭-৭৮)। অন্য আয়াতে আছে, তাদের ওপর প্রচণ্ড ও বিকট শব্দবোমা নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। সামুদ সম্প্রদায়ের ওপর একই সঙ্গে ভূমিকম্প ও বিকট গর্জন এসেছিল এবং তারা এই দুটি শাস্তিতে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা বহু নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাদের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষদের হেদায়েত ও পথপ্রদর্শন করেছেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল তাদের ভয়াবহ ও রোমহর্ষক পরিণতি হয়েছে। সেসব পরিণতির কিয়দংশ পরবর্তীদের শিক্ষার জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ রেখে দিয়েছেন। যেমন- ডেড সি, ফেরাউনের লাশ এবং হজরত সালেহ (আ.)-এর সম্প্রদায়ের বিধ্বস্ত বাড়িঘর। মানুষ যেন এসব নিদর্শন দেখে দাম্ভিকতা পরিত্যাগ করে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁর প্রতি সেজদাবনত হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের শিক্ষা অর্জনের তৌফিক দান করুন, আমিন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী (এম. এ. ইন ইংলিশ)

 

 

IDC Partner