Tibro Gorom Theke Bachar Amol – অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার দোয়া এবং উপায়।

 

Tibro-Gorom-Theke-Bachar-Amol

 

 

“যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় কর। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিশ্বাস”। (মিশকাত-৫৯১)

আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন, নিচে এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া দেওয়া হলোঃ

 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নি‘মাতিকা ওয়া তাহবিলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামি‘য়ি সাখাতিকা’

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে।

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বিভিন্ন দোয়ার মধ্যে এটি অন্যতম। (আবু দাউদ: ১৫৪৫)

জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ তাআলা। জন্মের পর মানুষ মৃত্যুবরণ করবে এটাই সুনিশ্চিত এবং আল্লাহর বিধান। অনেক মানুষই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যায়। তেমনি আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করাও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যু থেকে বেঁচে থাকতে তাঁর উম্মতকে শিখিয়েছেন দোয়া ও আমল।

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগুনে দগ্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়াটি পড়তেন। যারা এ দোয়াটি নিয়মিত পড়বে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আগুনে দগ্ধ হওয়াসহ অনেক দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত করবেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবুল ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي، وَالْهَدْمِ، وَالْغَرَقِ، وَالْحَرِيقِ،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি ওয়াল হাদমি ওয়াল গারাক্বি ওয়াল হারিক্বি। ওয়া আউজুবিকা আইঁ ইয়াতাখাব্বাত্বানিশ শায়ত্বানু ইংদাল মাওতি, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা ফি সাবিলিকা মুদবিরা। ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা লাদিগা। (ইবনে মাজাহ)

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
– উঁচু স্থান থেকে পড়ে এবং
– কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে এবং
– আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং পানি ডুবে যাওয়া থেকে।
আর আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
– মৃত্যুকালে শয়তান যেন আমাকে বিপথগামী করতে না পারে।
এবং আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
– আপনার পথে জিহাদ করার সময় যেন পালিয়ে মৃত্যুবরণ না করি।
এবং আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
– যেন সাপ-বিচ্ছুর মৃত্যুবরণ না করি।

উল্লেখ্য যে, কোথাও আগুন লাগলে তা দেখে উচ্চস্বরে (اَللهُ اَكْبَر) তাসবিহ পড়া এবং আজান দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি। হজরত ইবরাহিম আলালাইহিস সালামের জন্য প্রজ্জ্বলিত করা আগুনের লেলিহান শিখা বন্ধ হতে আল্লাহ তাআলা আগুনকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে আগুণ বন্ধ হওয়ার জন্য দোয়া করা-

يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ

উচ্চারণ : ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আগুনে মৃত্যুবরণ করা থেকে বিরত থাকাসহ বিপদ-আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত থাকতে উল্লেখিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায়

বৈশাখ মাস শুরুর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে গরমের মৌসুম। চৈত্রের শেষের কয়েকদিন দেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড় বৃষ্টি। আর ইতোমধ্যে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৌসুমি গরম। দিন যত যাচ্ছে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। আর এই গরমকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ও ডায়রিয়া। তবে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলে গরম থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

০১. সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা
সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। এ সময় জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে বের না হওয়াটাই ভালো।
০২. ছাতা ব্যবহার
বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করা, যাতে সরাসরি রোদের মধ্যে থাকতে না হয়। এ সময় চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপও ব্যবহার করা যেতে পারে।
০৩. বেশি করে পানি পান করা
গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিষ্কার পানি বের হয়ে যায়, তখন ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স তৈরি হতে পারে। এ কারণে এই সময়টাতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। লবণ মিশিয়ে পানি পান করতে পারলে আরো ভালো। ফলের জুস খাওয়া শরীরের জন্য ভালো, তবে এ জাতীয় জুস খাওয়ার সময় দেখে নিতে হবে সেটি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পানি দিয়ে তৈরি কিনা। খোলা, পথের পাশের দুষিত পানি বা সরবত এড়িয়ে চলতে হবে।
০৪. সূতি কাপড় পরতে হবে
গরমের এই সময়টায় জিন্স বা মোটা কাপড় না পরে সুতির নরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এ ধরণের কাপড়ে অতিরিক্ত ঘাম হবে না এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করবে। গরমের সময় কালো বা গাঢ় রঙের কাপড় এড়িয়ে সাদা বা হালকা রঙের কাপর পরিধান করা ভালো, কারণ হালকা কাপড় তাপ শোষণ করে কম।
০৫. সঠিক জুতা নির্বাচন
গরমের সময় খোলামেলা জুতা পরা উচিত, যাতে পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। কাপড় বা সিনথেটিকে বাদ দিয়ে চামড়ার জুতা হলে ভালো, কারণ এতে গরম কম লাগে। সম্ভব হলে মোজা এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
০৬. ভারী ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
এ জাতীয় খাবার হজম করতে সময় বেশি লাগে। ফলে সেটি শরীরের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে এবং শরীরের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য সেটি আরো বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাবারের মেন্যু থেকে গরমের সময় তেলযুক্ত খাবার, মাংস, বিরিয়ানি, ফাস্টফুড ইত্যাদি বাদ দেয়া যেতে পারে। বরং শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খাওয়া যেতে পারে।
০৭. পুরনো বা বাসী খাবার না খাওয়া
গরমে খাবার-দাবার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাসী খাবার বা আগের দিন রান্না করা খাবার খাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে যে, সেটি নষ্ট কিনা। এ জাতীয় খাবার খেলে ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানাসহ পেটের অসুখ হতে পারে।
০৮. ঘরে পানি ভর্তি বালতি রাখা
এসি না থাকলেও সমস্যা নেই। ঘরের ভেতর ফ্যানের নীচে একটি পানি ভর্তি বালতি রাখুন, যা ঘরকে খানিকটা ঠাণ্ডা করে তুলবে।
০৯. হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা
প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে মাংসপেশি ব্যথা, দুর্বল লাগা ও প্রচণ্ড পিপাসা হওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলে প্রেশার পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
১০. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করা
গরমের সময় প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করতে হবে, যা শরীর ঠাণ্ডা রাখবে। দিনে একাধিকবার হাত, মুখ, পায়ে পানি দিয়ে ধুতে পারলে ভালো। বাইরে বের হলে একটি রুমাল ভিজিয়ে সঙ্গে রাখতে হবে, যা দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মুখ মুছে নেয়া যাবে।

 

 

IDC Partner

 

 

গরমে অল্প আমল করে অধিক সোওয়াব লাভ

 

বাংলার ঋতু থেকে চির সৌন্দর্যের আধার বসন্ত বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড তাপদাহে চৌচির হয়ে পড়ে গ্রামের মেঠোপথ, মাঠঘাট। গরমের তীব্রতায় হাঁপিয়ে ওঠে পশুপাখি। দরদর করে ঘামতে থাকে মানুষ। বাইরে বেরোলেই জ্বলন্ত সূর্য থেকে মাথার ওপর ঝরে পড়ে আগুনের ফুলকি। লু-হাওয়ায় মনটা তখন বড্ডো উদাস বনে যায়। ভরদুপুরে গাছের শীতল ছায়ায় বসে গল্পে মাতেন গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা। একফোঁটা পানির আশায় চাতক পাখির মতো মুখিয়ে থাকে ঝিমিয়ে পড়া প্রকৃতি। হঠাৎ পশ্চিমাকাশ কালো করে ঝাঁপিয়ে নামে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রচ- ঝড়। ছোট ছেলেমেয়েরা বৃষ্টিতে ভিজে কুড়ায় পাকা আম। রিমঝিম ছন্দের দ্যোতনায় মিলেয়ে যায় ওদের হৈ হুল্লোড় আর আনন্দ ধ্বনি। মন চায় তখন শৈশবে ফিরে যাই।

আল্লাহ তায়ালার অপার নেয়ামত বৃষ্টি গাছ আর লতাপাতায় সজীবতার প্রলেপ এঁকে যায়। জমিনে ফলায় ফসল। সবুজে ভরিয়ে দেয় প্রকৃতি। ফলফলাদির পাকা ঘ্রাণে ম-ম করে চারদিক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, আমি তো অঝর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। অতঃপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাকসবজি, যয়তুন, খেজুর, ঘন উদ্যান, ফল-ফলাদি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুকুলের জীবনধারণের জন্যে’। (সুরা আবাছা: ২৪-৩২)

প্রচণ্ড গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় যে ভিটামিন বের হয়ে যায়, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মহান আল্লাহ তায়ালা গ্রীষ্মকালে রেখেছেন নানা রঙের সুস্বাদু ফল। আম, জাম, তরমুজ, জামরুল, লিচু, কাঁঠাল আরো কতো কি! বান্দার উচিৎ আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক আহার করে রিজিকের ব্যাপারে চিন্তাফিকির করা ও ঈমান মজবুত করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাকে তিনি তার ধারণাতীত স্থান থেকে দান করবেন রিজিক।’ (সুরা তালাক: ৩)

গরম থেকে শিক্ষা: গরমের তীব্রতা থেকে মুমিনের জন্যে রয়েছে শিক্ষা। কেননা, জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এর থেকে জাহান্নমের প্রখরতা অনুমান করে গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা উচিৎ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এ বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচ-তায়) আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ তাকে দুইটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচ- উত্তাপ এবং শীতকালে যে প্রচ- ঠা-া অনুভব করো।’ (বোখারি: ৫৪৫৫)গরমের সময় অল্প আমল করে অধিক সোওয়াব লাভের রয়েছে বেশ কিছু আমল রয়েছে। একজন মুমিন সে আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। আসুন আমলগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

নফল রোজা: গরমের রোজা শীতের থেকে বেশি কষ্টকর। সে কষ্ট উপেক্ষা করে যদি নফল রোজা রাখা যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা নেকীও দিবেন বেশি। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) অধিক সওয়াবের আশায় গরমকালে রোজা রাখতেন। তাছাড়া নভোম-ল ও ভূম-লের চিরাচরিত পরিবর্তনের ফলে পবিত্র রমজান মাস এখন গরমকালে পড়ছে। অধিক সোয়াব ও পরকালের ভয়কে সামনে রেখে সবার উচিৎ আবহাওয়া প্রচ- গরম হওয়া সত্ত্বেও ফরজ রোজাগুলো রাখা।

ছায়াদার বৃক্ষ নিধন থেকে বিরত থাকা: গ্রীষ্মের গনগনে রোদে গাছের শীতল ছায়া সকলের প্রিয়। তাই ছায়াদার বৃক্ষ নিধন থেকে বিরত থাকা সবার কর্তব্য। তাই নবী করিম (সা.) একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচলের পথে অবস্থিত ছায়াদার বৃক্ষ কাটতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ) ছায়াদার বৃক্ষের নিচে তথা মানুষের বিশ্রামের স্থানে মূলমূত্র ত্যাগের ব্যাপারেও বিশেষ নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে।

পিপাসার্তকে পানি পান করানো: পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ। আর যদি প্রচ- গরমে কাউকে ঠা-া পানি পান করানো হয়, তাহলে তো কাজটি আরো উত্তম হবে। এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করলেন, ‘কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ (নাসাই: ৫৪৫৬) ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’ অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ (আবু দাউদ: ৭৪৩৫)

সুতরাং গ্রীষ্মকালে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিকে পানি পান করানো জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষার অন্যতম উপায়। বনি ইসরাইলের এক পাপিষ্ঠ নারী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে তার জীবন রক্ষার কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এছাড়াও গরিব-দুঃখীদের মাঝে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সাহায্য করা, ঘর্মাক্ত শরীরে জনসমাগমে গমন না করা, গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ করেছে ইসলাম।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী (এম. এ. ইন ইংলিশ)