Discussion About Ruqyah – رقية شرعية – ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারে আলোচনা

Discussion About Ruqyah – رقية شرعية – ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারে আলোচনা – Discussion About Sweeping

 

السلام عليكم ورحمه الله وبركاته ۝

بسم الله الرحمن الرحيم ۝

استغفر الله الذي لا اله الا هو الحي القيوم واتوب اليه ۝

اللهم انت ربي لا اله الا انت خلقتني وانا عبدك وانا على عهدك ووعدك ما استطعت اعوذ بك من شر ما صنعت وابوء لك بنعمتك علي وابوء بذنبى فاغفر لى فانه لا يغفر الذنوب الا انت ۝

اللهم صل على محمد وعلى ال محمد كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد مجيد ۝ اللهم بارك على محمد وعلى ال محمد كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد مجيد ۝

ربي زدني علما ۝ ربي زدني علما ۝ ربي زدني علما ۝ ربي اشرح لي صدري ۝ ويسر لي امري ۝ واحلل عقده من لساني يفقه قولي ۝ واجعل لي وزيرا من اهلي ۝

============================================

ان الحمد لله ۝ ان الحمدلله نحمده ونستعينه ونستغفره ۝ ونعوذ بالله من شرور انفسنا ۝ ومن سيئات اعمالنا ۝ من يهده الله فلا مضل له ۝ ومن يضلل فلا هادي له ۝ . و نشهد ان لا اله الا الله الحي القيوم ۝ الذي لا تاخذه سنه ولا نوم ۝ ونشهد ان سيدنا وحبيبنا ومولانا محمدا عبد الله ورسوله ۝  صلى الله تعالى عليه وعلى اله وصحبه وسلم ۝ الذي اكمل الله به قصرا النبوه ۝ اي ختم الله به النبوه ۝ وحق ما الله نبيه بعده ۝ ( وحكم الانبياء بعده) ۝  واهلن في القران بالبرهان ۝ ان محمد صلى الله عليه وسلم ۝ خاتم النبيين والمرسلين ۝ الذي ارسله بالحق بشيرا ونذيرا ۝ وداعيا الى الله باذنه وسراجا منيرا ۝ فقد قال الله تعالى في كلامه المجيد والقران الحميد ۝ اعوذ بالله من الشيطان الرجيم ۝ بسم الله الرحمن الرحيم

 

:قال الله تعالى في القران المجيد

 ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – ﻭَﻳَﺸۡﻒِ ﺻُﺪُﻭۡﺭَ ﻗَﻮۡﻡٍ ﻣُّﺆۡﻣِﻨِﻴۡﻦَۙ (মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন)

২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, – ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻟِّﻤَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭۡﺭِۙ ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲۡﻥَ ( অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য)

৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াত, – ﻓِﻴۡﻪِ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻟِّﻠﻨَّﺎﺱِ (তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগমুক্তি)

৪. সুরা বনী ইস্রাঈলের ৮২ নং আয়াত, – ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ ﺍﻟۡـﻘُﺮۡﺍٰﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲۡﻥَ (আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত)

 

: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ دَاءً إِلاَّ أَنْزَلَ لَهُ شِفَاءً ‏”‏‏‏

Bukhari 5276

او كما قال عليه الصلاه السلام

– হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াআল্লাহতা’আলা আনহূ হতে বণিত। হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ মহান আল্লাহ পাক এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি” [বুখারী, ই. ফা; হাদীস নং-৫২৭৬; ]

 

وايضا قال الله تعالى في القران المجيد

 

ان الله وملائكته يصلون على النبي ۝ يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما……….. اللهم صل على محمد ۝ كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم ۝ انك حميد مجيد ۝ اللهم بارك على محمد ۝ وعلى ال محمد ۝ كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم ۝ انك حميد مجيد ۝ او اللهم صل على سيدنا مولانا محمد. وعلى ال سيدنا مولانا محمد

 

  1. উহুদের ময়দানে যিনি, দান্দান-ও শহিদ ও করি, বানাইলেন ইসলামের তরী, সেই তরী নিবেন পার করি………
  2. মদিনায় তাওফিক নাই যাওয়ার, সালাম ও পাঠাই বারে বার, আমরা যে উম্মাত গুনাহগার, হাশরে করে নিবেন পার………
  3. নবীগো দেখিলে আপনায়, জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়, মাওলার-ই দীদার নসিব হয়, জান্নাতের সন্ধান পাওয়া যা……
  4. দিদারে রওজাকে তামান্না-, দিল মে হেঁয় এহি তারানা, হোঁ কেয়ছে মদীনা যানা-, বেকাল হাঁয় দিলে দিওয়ানা ………
  5. আপহি মাহবুবে ছুবহাঁ-, আপহি মামদুহে আ’জম,, আপহি নওশাহে আকরাম-, আপহি নূরে মুজাস্সাম………
  6. এই দুনিয়া পড়ে থাকবে, আমরা একদিন থাকবোনা, সবাই মোদের ভুলে যাবে, নবী আপনি ভুইলেন না ………
  7. যেখানেই থাকো, যেভাবেই থাকো, নবীর দুরুদ ছাড়বানা, নবীর দুরুদ না ছাড়িলে, নবী তোমায় ছাড়বেনা……
  8. سعت الشجر . نطق الحجر . شق القمر . بعشرته……

 

Discussion About Ruqyah – رقية شرعية – ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারে আলোচনা – Discussion About Sweeping

 

রুকইয়াহ কী? রুকইয়াহ শারইয়্যাহ ( رقية شرعية ) মানে শরিয়াত সম্মত রুকইয়াহ, কোরআনের আয়াত অথবা হাদিসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা। তবে স্বাভাবিকভাবে ‘রুকইয়া’ শব্দটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা বুঝায়। এই ঝাড়ফুঁক সরাসরি কারো ওপর হতে পারে, অথবা কোনো পানি বা খাদ্যের ওপর করে সেটা খাওয়া অথবা ব্যাবহার করা হতে পারে। এক্ষেত্রে রুকইয়ার পানি, অথবা রুকইয়ার গোসল ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার হয়।

Muslim Shorif Hadith Nummber 5544

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : “‏ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏”‏ ‏.‏

রুকইয়ার বিধানঃ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫৪৪)

এজন্য ওলামায়ে কিরাম কয়েকটি শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন, সেসব হচ্ছে:

  • ১. কোন শিরক-কুফর অথবা হারাম বাক্য থাকা যাবে না।
  • ২. যা দ্বারা রুকইয়াহ করা হবে সেটা স্পষ্ট বাক্যে হতে হবে, যার অর্থ ভালোভাবে বোঝা যায়।
  • ৩. দুর্বোধ্য কোন সংকেত বা ভাষায় হওয়া যাবে না, যার অর্থ স্বাভাবিকভাবে মানুষ বুঝে না।   সালাফের মাঝে কেউ কেউ ঝাড়ফুঁক আরবিতে হওয়াকেও শর্ত বলেছেন।
  • ৪. সংখ্যা এবং নকশা দিয়ে রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁক করা যাবেনা।

আর হ্যাঁ! রুকইয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আক্বিদা রাখতে হবে, রাক্বির কোন সাধ্য নেই কাউকে সুস্থ করার কিংবা বিপদ দূর করার। সুস্থতা এবং বিপদমুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, এখানে রুকইয়াহ কেবল দোয়ার অনুরূপ ভূমিকা পালন করছে। অর্থাৎ রুকইয়াহ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি পদ্ধতি মাত্র। নোটঃ  যিনি রুকইয়াহ করেন, তাকে রাক্বী বলা হয়।

বিশুদ্ধ আক্বিদাঃ ‘রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার, আল্লাহ চাইলে শিফা হবে, নইলে নয়।’

রুকইয়া প্রকারভেদঃ

  1. দোয়া বা আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া হয়,
  2. মাথায় বা আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে দোয়া/আয়াত পড়া হয়।
  3. এছাড়া পানি, তেল, খাদ্য বা অন্য কিছুতে দোয়া অথবা আয়াত পড়ে ফুঁদিয়ে খাওয়া ও ব্যাবহার করা হয়।

রুকইয়া করে উপকার পেতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন।

  • নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
  • ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
  • মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)।

লক্ষণীয়ঃ 

  • রুকইয়ার  উপকার ঠিকমতো পাওয়ার জন্য দৈনন্দিনের ফরজ অবশ্যই পালন করতে হবে,
  • পাশাপাশি সুন্নাতের প্রতিও যত্নবান হতে হবে।
  • যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। ( ছেলে এবং মেয়েদের জন্য পর্দার বিধানও ফরজ)

কে রুকইয়াহ করতে পারে?

উত্তর হল- নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য যে কেউ রুকইয়াহ করতে পারে! এজন্য বিরাট বুজুর্গ হওয়া শর্ত না। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে এমন যে কোন ব্যক্তি, যদি দেখে-দেখে কিংবা মুখস্থ দোয়া অথবা কোরআনের আয়াত পড়তে পারে, তাহলে সেই সেলফ রুকইয়াহ করতে পারবে।

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে অথবা জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে রুকইয়াহ করতে চান, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনাকে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে।

Abu Daud hadith 4586

قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ تَطَبَّبَ، وَلَا يُعْلَمُ مِنْهُ طِبٌّ، فَهُوَ ضَامِنٌ

 

কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি চিকিৎসার জ্ঞান না রেখেই চিকিৎসা করে, তবে (কিছু ঘটলে) সেই দায়ী হবে।” (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস নং ৪৫৮৬)

 

সার্বিকভাবে রুকইয়ার উপকারিতা

আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যাদু – বদনজর – জ্বিন ইত্যাদি সমস্যাগুলো মানুষের মাঝে যত ব্যপক, এর সমাধানের ব্যাপারে মানুষ ততটাই অজ্ঞ, এই সমস্যায় মানুষ যে পরিমাণে আক্রান্ত, বিষয়টা তাঁর চেয়ে বহুগুণ বেশি অবহেলিত
আর শরঈ সমাধানের সাথে তো আমাদের দেশের ৯৯.৯৯% মানুষই পরিচিত নয়, বরং অধিকাংশ মানুষের ভ্রান্ত বিশ্বাস হচ্ছে “কুফরি যাদু কাটতে কুফরিই করা লাগবে” (নাউযুবিল্লাহ)! এজন্য তাঁরা কবিরাজ-বৈদ্যদের কাছে যায়, আর দুনিয়া এবং আখিরাতের শুধু ধ্বংসই অর্জন করে।

আমাদের চারপাশে অসংখ্য মানুষ এসব সমস্যায় আক্রান্ত, আমরা কেউ নিজেই ভিকটিম, কারো পরিবারস্থ লোক, আর কারো আত্মীয়স্বজন। বহু বৈদ্য – কবিরাজের কাছে ঘুরে ঘুরে বহু পরিশ্রম করে তারা প্রচুর টাকা পয়সা নষ্ট করে। এর পেছনে মেধা, শ্রম, সময় ব্যয় করে। অবশেষে কেউ সুস্থ জীবনের আশা ছেড়ে দেয়, আর কেউ স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। আর কবিরাজের কাজগুলো কুফরি-শিরকি হওয়ার কারণে নষ্ট হয় আখিরাতেও পুঁজিও।

 

আমার – আপনার চারপাশে এমন মানুষের অভাব নেই। আমাদের দেশে হয়তো এমন একটা প্রাপ্তবয়স্ক লোকও পাওয়া যাবে না, যার নিজের পরিবার অথবা আত্মীয়স্বজনদের মাঝে কেউই এজাতীয় সমস্যায় ভুগছে না। এদের দুনিয়া এবং আখিরাতে ধ্বংস থেকে বাঁচানোর জন্যই রুকইয়াহ শারইয়াহ দরকার!

 

রুকইয়ার বিনিময়ে নিচের ফজিলতগুলো পাবেন ইনশাআল্লাহ!

১. দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার সুযোগ: 

একজন রাক্বি মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার চমৎকার সুযোগ পেয়ে থাকেন, যা রুকইয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর জ্বিন যাদু ইত্যাদি সমস্যাগুলো নিয়ে যারা আসে, তাদের অনেকেই থাকে এমন, যারা দ্বীন পালনের ব্যাপারে উদাসীন, রুকইয়াহ করার সময় তাদেরকে দাওয়াত পৌঁছানোর সুযোগ পাওয়া যায়। আর এদের বিরাট একাংশ হয় এমন, যারা সুস্থতা লাভের লাভের আশায় কবিরাজ-বৈদ্যদের কাছে ঘুরে ঘুরে ইতিমধ্যে কুফরি বা শিরকি কাজ করে ফেলেছে। তাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদের বার্তা পৌঁছানোর সুযোগ হয়।
অবশ্যই রাক্বিদের এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত। কেননা যুগে যুগে এটা নবীদের সুন্নাহ, মানুষ দুনিয়াবি প্রয়োজন নিয়ে আসলেও তাঁর আখিরাতের দীর্ঘস্থায়ী কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়া। এক্ষেত্রে ইউসুফ ؑ এর ঘটনা লক্ষণীয়। দু’জন লোক তাঁর কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে এসেছিল, তিনি তাদের সমস্যা এবং সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে অল্প কথায় তাওহীদের দাওয়াত পৌছে দিয়েছেন, এরপর তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়েছেন।
এছাড়া খাইবার যুদ্ধের ঘটনা খেয়াল করুন, আলী রা. কে নির্দেশ দিয়েছিলেন- তুমি তোমার পথ ধরে তাদের মাঝে পৌছে যাও, এরপর তাদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান কর। আর তাদের উপর আল্লাহর হকগুলোর ব্যাপারে সংবাদ দাও। কারণ, আল্লাহর কসম, তোমার মাধ্যমে যদি একটা মানুষকেও আল্লাহ হিদায়াত দেন, তবে তা তোমার জন্য লাল উট প্রাপ্তি থেকেও উত্তম হবে। (সহিহ মুসলিম ৪৪২৩)

২. কোরআনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি:

যিনি রুকইয়াহ করেন, প্রতিদিন তাকে দীর্ঘক্ষণ কোরআন তিলাওয়াত করতে হয়। এতে কোরআনের সাথে সম্পর্ক দিনদিন বৃদ্ধি পায়। এর সাথে কোরআন পাঠের বিবিধ ফযিলত তো আছেই।
যেমনঃ কোরআন তিলাওয়াতের প্রতিটি হরফে সওয়াব! আপনি যদি প্রতিদিন এক ঘন্টাও রুকইয়াহ করেন, এই একঘণ্টায় আপনার ঝুলিতে অনেকগুলো সওয়াব জমে যাবে।
Muslim Sharif Hadith Nummber 1910
এছাড়া রাসুল ﷺ বলেছেন, “তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকের জন্য সুপারিশ কারী হবে।” (মুসলিম ১৩৩৭)

৩. মুসলিম ভাই-বোনদের বিপদে সহায়তা করা:

প্রথমে একটি হাদিস খেয়াল করি, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সময় ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে আমর ইবনু হাযমের বংশের লোকেরা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের নিকট একটি রুকইয়াহ ছিল, যা দিয়ে আমরা বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করতাম, এখন আপনি তো ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
বর্ণনাকারী বলেন, তারা সেটা রাসুল ﷺ এর নিকট উপস্থাপন করল। তখন তিনি বললেন, কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের কোনও উপকার করতে সমর্থ হয়, তাহলে সে যেন তা করে। (সহিহ মুসলিম ৪০৭৮)
এই হাদিসে আমরা দেখলাম রুকইয়ার মাধ্যমে যে মানুষের উপকার করা যায়, এটা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ ﷺ স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আর একজন মুসলিম ভাইকে সাহায্য করার অনেক অনেক লাভ আছে। যেমন: আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন মুমিনের কোন বিপদ-আপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৬৭)
হাদিসের গ্রন্থসমূহে বিপদগ্রস্ত ভাইবোনদের সহায়তা করার আরও অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, রুকইয়াহ করে আপনি সেসব লুফে নিতে পারেন।

৪. কুফরের বিরুদ্ধে এবং তাওহিদের পক্ষে সংগ্রাম করা:

 

ইবনে তাইমিয়া রহ. এজন্য মুখলিস রাক্বিদের ব্যাপারে বলেছেন,
وجنب الذنوب التي بها يسلطون عليه فإنه مجاهد في سبيل الله وهذا من أعظم الجهاد فليحذر أن ينصر العدو عليه بذنوبه
“রাক্বির উচিত গুনাহ থেকে দূরে থাকা, যেন এই সুযোগে জ্বিন তাঁর ওপর প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। সে তো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারির ন্যায়। আর রুকইয়াহ করাও জিহাদের একটি উত্তম পদ্ধতি। তাই তাঁর সতর্ক থাকা উচিত, যেন গুনাহ তাঁর শত্রুকে বিজয়ী হতে সহায়তা না করে।” (মাজমুউল ফাতওয়া ১৯/৫৩, রিসালাতুল জ্বিন ৬৫পৃ)
লক্ষণীয়ঃ ইবনে তাইমিয়া রহ. মূলত এই কথাটি মুবালাগা হিসেবে বলেছেন, উনার পূর্বাপর কথাগুলোয় গুরুত্বারপ করার জন্য। হাক্বিকী জিহাদের সাথে রুকইয়াহ চর্চার তুলনা যদিও হয় না, তবুও ইবনে তাইমিয়া রহ. এর কথাটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, হক্বের ব্যাপারে অনড় একজন রাক্বি সমাজ থেকে কুফর-শিরক দূর করার জন্য নিজের প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলে মেহনত করেন, আর যখন কুফরি যাদু আক্রান্ত কারো চিকিৎসা করে অথবা শয়তান ভর করা ব্যক্তির ওপর রুকইয়াহ করে, তখন সে আল্লাহর কালামের সাহায্যে সরাসরি শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে।

৫. তাওয়াককুল:

রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি হাদীসে বলেন, “আমার উম্মতের মধ্যে ৭০,০০০ হাজার লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” রাসূলুল্লাহ ﷺ এই হাদীসের মধ্যে এসব ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, আর বলেছেন “এরা শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে।”
আর এমন লোকদের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, “যারা রুকইয়ার জন্য অনুরোধ করে না, শুভ-অশুভ লক্ষণ নির্ণয় করায় না, ছ্যাকা দিয়ে চিকিৎসা করে না বরং শুধু তাদের রবের উপরই ভরসা করে।” (বুখারি ৫৪২০, মুসলিম ৩২৩)
একজন রাক্বি এই হাদীসে উল্লিখিত ব্যক্তিদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য দাবিদার। কারণ, সে নিজেই রুকইয়াহ করে, অন্যের কাছে গিয়ে রুকইয়াহ করানোর প্রয়োজন তাঁর নাই। আর সে যখন আল্লাহর অনুগ্রহে জটিল জটিল সমস্যা সামাল দেয়, শক্তিশালী শয়তানদের শায়েস্তা করে, ভয়ংকর সব যাদু নষ্ট করে – আর এতসব অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে স্রেফ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা রেখে লড়ে। একের পর এক নুসরত প্রত্যক্ষ করে মুখলিস রাক্বির ঈমান এক অনন্য স্তরে পৌঁছে যায়। বস্তুতঃ এটা এমন এক মেহনত, যেখানে আল্লাহ ওপর তাওয়াককুল ব্যতীত কোন দুনিয়াবি সাহায্য উপকারে আসে না।
মোটকথা, এভাবেই একজন রাক্বি তাওয়াককুলে পুর্ণতা লাভ করে। সুতরাং তাঁর জন্য খুবই যৌক্তিক, সে এই পুরস্কার আশা করতে পারে।

যেই সব বিষয়ে রুকইয়াহ করা যায়।

 

 

শিশু / বাচ্চাদের রুকইয়াহ গাইড ( https://islamidawahcenter.com/ruqyah-for-baby/ )

 

 

জ্বিনে আক্রান্ত রুগীর রুকইয়াহ

 

 

যৌন সমস্যার জন্য রুকইয়াহ

 

 

 

বিবিধ

 

মিলাদ, তাওয়াল্লুদ কিয়াম এবং কাসিদা।

اعوذ بالله من الشيطان الرجيم ۝ بسم الله الرحمن الرحيم ۝ لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ ۝ فَإِن تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ

عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ  وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ۝

 

(সূরা তাওবা, আয়াত ১২৮, ১২৯)

مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ ۗ  ۝ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا ۝ إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ ۝ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ( সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)

তারপরঃ اللهم صل على محمد ۝ كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم ۝ انك حميد مجيد ۝ اللهم بارك على محمد ۝ وعلى ال محمد ۝ كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم ۝ انك حميد مجيد او اللهم صل على سيدنا مولانا محمد. وعلى ال سيدنا مولانا محمد

কুল কা’য়িনাত সবাই বলেন, আজকে মোদের ঈদের দিন। এ জমিনে তাশরীফ আনলেন রহমাতুল্লিল আলামীন।

গাছে চিনলো মাছে চিনলো, চিনলো বনের হরিণে, উম্মত হইয়া চিনলাম নারে, দুঃখ রইলো মনেতে।

“তাওয়াল্লুদ”

نحمد و نصلي علي رسوله الكريم ۝ و اله واصحابه اجمعين ۝ ولما تم من حمله صلي الله عليه وسلم ستة اشهر الاقوال المروية ۝ توفي بلمدينة الشريفة  ابوه عبد الله ۝ وكان قد اجتاز باخواله بني عدي من الطاءفة النجارية ۝ ومكث فيهم شهرا سقيما يعانون سقمه و شكواه ۝ ولما تم من حمله صلي الله عليه و سلم علي الراجح تسعة اشهر قمرية ۝ وان للزمان ان ينجلي عنه صداه ۝ حضرت امه في نسوة من الحظيرة القدسية ۝ واخذها المخاض ۝ فولدته النبية صلي الله عليه و سلم نورا يتلا لاسناه

 

 

has been added to the cart. View Cart